বাংলাদেশ বার কাউন্সিল একটি এডভোকেট সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।যার কাজ প্রতি বছর দুটি পরীক্ষা নেওয়া, কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৪ বছরে মাত্র ১টি পরিক্ষা নিতে সক্ষম হয়,বাকি ১টি MCQ পরীক্ষা নেওয়ার আগে বার বার তারিখ পরিবর্তনের কারনে অনেকেরেই প্রস্তুতিতে সমস্যা/ঘাটতি দেখা যায়,তারপরও অনেক নাটকীয়তার জন্মদিয়ে ২দিন পর MCQ ফলাফল,যার ১৫% উত্তীর্ণ হয়,তবে বলে রাখা ভালো,মেধা যাচাইয়ের জন্য না বাদ দেওয়ার জন্য MCQ পরীক্ষা কতটুকু যুক্তিসম্মত প্রায়োগিক ও কার্যকর তা নিয়ে শিক্ষাবিদদের বিতর্ক রয়েই গেল।এরপরই Covid 19 বৈশ্বিক মহামারীর কারনে গোটা পৃথিবী সহ বাংলাদেশ তথৈবচ।
একদিকে যারা এলএলবি(সন্মান),তাদের ধ্যান ও জ্ঞান এডভোকেট হওয়া, তাদের কথা চিন্তা করুন,তারা যদি এডভোকেট হতে না,পারে, তারা কি করবে? দেশের এত টাকা খরচ করে পড়ালেখা!দেশ/ রাস্ট্র কি সেবা ফেল?বা পাবে?অন্যসব বিশেষায়িত পেশায় কিন্তু এমনটা নেই,যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,কৃষিবিদ,রসায়নবিদ প্রভৃতি।যারা এলএলবি(পাস),এটা কিন্তু সত্যি কথা,তারা কোন কোন ছদ্মবেশী পেশায় জড়িত,তাদের ওতো শেষ চাওয়া এডভোকেট হওয়া,পাবলিক/প্রাইভেট /সন্মান /পাস কোর্স,যে যেখান থেকেই পাস করুক না কেন সবাই কিন্তু ৬মাস সিনিয়র এর সাথে প্র্যাকটিস করেই ইন্টিমেশান জমা দিয়েছে,করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মানবিকতার বিষয় বিবেচনা করে বারকাউন্সিল এমনকি সরকার প্রধান নির্বাহী আদেশ ইন্টিমেশান জমা দেওয়া প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী কে তথা সবাইকে গেজেট প্রকাশ করে এডভোকেট সনদ দিতেই পারে,যেখানে মহামারীর জন্য ৪৫% লোক চাকুরী হারাচ্ছে,১.৫ কোটি লোক দারিদ্র্য সীমা নীচে নেমে যাচ্ছে, ১০% লোক বেতন ছাড়া চাকুরী করছে,১০% লোক পেশা পাল্টাবে শুধু বেচে থাকার জন্য।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে কে মেধাবী, কে MCQ উত্তীর্ণ, কে MCQ ফেল,এইসব বিবেচনা না করে চলুন এক সাথে আন্দোলন অথবা জোরালো দাবী করি সবার আমরা সনদ চাই,সনদ চাই, দিতেই হবে, দিয়ে দাও। শুধু মাত্র বার কাউন্সিলের খামখেয়ালিপনার এর জন্য প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী,আজ অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন যাপন করছে,এমনকি পরিচয় দানে ব্যর্থ,সত্য কথা, হ্যাঁ সর্বোপরি পেশা ছাড়তেও বাধ্য হবে!এখন পেশাগত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদল ভাংতে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ,কারন পরীক্ষার জন্য আন্দোলন করার সময় তো আমরাও ছিলাম,আপনারা ১২০০০ আন্দোলন করলেই কি MCQ পরীক্ষা হইতো??
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল মানবিক কারণে সকল ইন্টিমেশন প্রাপ্ত শিক্ষানবীশকে সরাসরি নির্বাহী আদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বার কাউন্সিলের মাধ্যমে নিবন্ধন/প্রবেশপত্র দিয়ে অ্যাডভোকেটশীপ তালিকাভুক্তি করতে পারে।এটাতো চাকুরী না,ভাতা না,এতে সরকারের কি কোন ক্ষতি আছে!বরং রাজস্ব বাড়বে,সবাই আমরা অর্থাৎ ৬০ হাজার এক সাথে বলি,এডভোকেট সনদ চাই,গেজেট করে সনদ চাই,বাচার জন্য সনদ চাই।সর্বোপরি সনদ চাই।