ফৌজদারী মামলা একটি বিধিবদ্ধ আইন দিয়ে পরিচালিত হয়।ফৌজদারী কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন এবং পদ্ধতিগত আইন বিচার বিশ্লেষণ করে এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, কতজন সাক্ষী নিয়ে মামলা শেষ করতে হবে তার কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। আইনের সুষ্পস্ট নীতি হলো যদি একজন উপযুক্ত সাক্ষী ও পাওয়া যায় তবে মামলা নিস্পত্তি করা যায়, একজন সাক্ষীর বক্তব্যে বিশ্বাসযোগ্য হলে সেই সাক্ষী উপযুক্ত সাক্ষী যা মামলা নিস্পত্তির জন্য যথেষ্ঠ। এখানে মামলা নিস্পত্তির জন্য ০১ জন সাক্ষী যথেষ্ঠ তবে কথা হলো আসামী খালাস পাবে নাকি সাজা পাবে সে বিষয়টি আজকের লেখার মূল প্রতিপাদ্য নয়।মামলাজট কমাতে বিদ্যমান আইনানুগ পন্থায় সাক্ষ্য গ্রহণ পূর্বক মামলার ধরণ ও অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় কিভাবে দ্রুত নিস্পত্তি করা যায় সে বিষয়ে অত্যন্ত সুক্ষ জ্ঞান ও মেধার স্বাক্ষর রাখা যায় কিভাবে তা খতিয়ে দেখতে মূলত আজকের এই প্রচেষ্টা। তবে সবসময়ই মনে রাখতে হবে আসামীপক্ষকে সব ধরনের ডিফেন্স নেওয়ার সুযোগ দিয়েই মামলা নিস্পত্তি করতে হবে। বিচার শুধু করলে হবে না এটা দেখাতে হবে ন্যায় বিচার হয়েছে।বিচার বিলম্ব যেমন ন্যায় বিচারকে অস্বীকার করার সামিল তেমনি দ্রুত বিচার নিস্পত্তি ও বিচারকে কবর দেয়ার সামিল। তাই মামলা নিস্পত্তিতে কোররুপ বাড়াবাড়ি প্রযোজ্য নয়।
একটা গল্প দিয়ে লেখা শুরু করবো। গল্পটা মামলা নিষ্পত্তিতে কেন দেরী হয়, কে মামলা জটের জন্য দায়ী, সাক্ষী হয় না কেন ইত্যাদি। বিচার বিভাগে মামলাজট রয়েছে মোটাদাগে সবাই স্বীকার করবে। একদিন একজন বয়োঃবৃদ্ধ লোকের সাথে কথা হয়। তিনি মূলত বিচার প্রার্থী। তবে আসামি নয় বাদী। মার্ডার কেসের বাদী। বৃদ্ধ লোকটা ১৩ বছর ধরে আদালতে আসা যাওয়া করে। ছেলে হত্যার বিচার চাই। এতোদিনে আদালতে যাওয়া আসার ফলে তার মামলা মোকদ্দমা সম্পর্কে ধারণা জন্মেছে। জিজ্ঞেস করলাম মামলা নিষ্পত্তি হতে দেরী হচ্ছে কেন? উত্তরে বৃদ্ধ লোকটা বললো তার পুত্র হত্যা মামলায় অভিযোগ পত্রে ২৫ জন সাক্ষীর নাম তদন্তকারী কর্মকর্তা দিয়েছে। আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করে। কিছু লোক প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলো। মামলা দায়ের হলে তদন্তকালে একজন আসামী স্বেচ্ছায় দোষ-স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রটের নিকটে। বৃদ্ধ লোকটি বলেন তার মধ্যে বিগত বছরে অভিযোগ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ০৭ জন সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করেছে। বাকী সাক্ষী ভয়ে আদালতে আসছে না। কার ভয়ে জিজ্ঞেস করলে বলে মূল আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ফলে সাক্ষীরা আদালতে আসছে না।
বয়স্ক লোকটি আরও বলেন তিনি বাদী ও ০৪ জন দেখা সাক্ষী এবং একজন শোনা সাক্ষী ও দোষ-স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সুরতহাল প্রস্তুতকারী দারোগা, ময়না তদন্ত প্রস্তুতকারী ডাক্তার ও তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সাক্ষ্য না দেয়ায় মামলার বিচার থমকে আছে। লোকটির কথামতো্ আইনজীবী বা আইনের সংস্পর্শে আসা মানুষ বুঝবে সুরতহাল প্রস্তুতকারী দারোগা, ময়না তদন্ত প্রস্তুতকারী ডাক্তার ও তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সাক্ষীগণ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাদের জবানবন্দি বা সাক্ষ্য গ্রহণ না করে মামলার বিচার শেষ করা যাবে না। যাইহোক কি কারণে সাক্ষীকে যথাসময়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনা তন্মোধ্যে অন্যতম তারণ হলো ডাক্তার ও পুলিশ সরকারি অফিসিয়াল সাক্ষী হওয়ায় তারা অন্যত্র বদলী হয়ে যায়। অনেক সময় সাক্ষীর প্রতি আদালত থেকে জারীকৃত প্রসেস বা সমন নোটিশ সঠিকভাবে জারী না হওয়ায় বা বিচার বিলম্বিত করতে আসামী পক্ষের তৎপরতায় সমন যথাযথ ব্যাক্তির নিকট পৌছাতে ব্যর্থ হয় ফলে সাক্ষী হতে দেরী হয়। সাক্ষীর সমন জারীতে বিঘ্ন ঘটাতে আদালতের কর্মচারীরাও জড়িত থাকে।
এখন মনে মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কয়জন সাক্ষী হয়েছে তারা উপযুক্ত সাক্ষী কি-না? আরও কিছু জানা আবশ্যক সাক্ষী ও সাক্ষ্য কি, সাক্ষ্য অর্থ হচ্ছে যা প্রমাণ হাজির করে।আর সাক্ষ্য দ্বারা কোন কিছু প্রমাণের অর্থ, যৌক্তিক পদ্ধতিতে কোন জানা তথ্য থেকে অজানা বিষয়ে তথ্য পাওয়া। সাক্ষ্য আইনে সাক্ষ্য (EVIDENCE) বলতে বোঝানো হয়েছে কোন বিচার্য বিষয়ে বা অন্য কোন বিষয়কে যে উপায়ে আদালতে প্রমাণ বা অপ্রমাণ হয়ে থাকে।[১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা]।সাক্ষ্য আইনে ০২ ধরনের সাক্ষ্যের উল্লেখ আছে। ক) মৌখিক সাক্ষ্য ও ০২) দালিলিক সাক্ষ্য।দালিলিক সাক্ষ্য আবার কয়েক প্রকার হতে পারে যেমন- ১) বস্তু সাক্ষ্য (MATERIAL/REAL EVIDENCE) যেমন- পা ও আঙুলের ছাপ, হাতের লেখা, গুলির খোসা, রক্তমাখা মাটি ও জামাকাপড়,, চুল বস্ত্রাদি এবং এতদসংক্রান্তে আলামত, দলিল, বা কাগজপত্রাদি, কম্পিউটার, মোবাইল, ডিজিটাল যন্ত্রপাতি,, মাদকদ্রব্য, জাল নোট বা মুদ্রা ছুরি কাচি, শরীর থেকে নিঃসৃত ঘাম [সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা ও সিআরপিসরি ৫১০ ধারা], ২)অভিযুক্তের বিবৃতি [দোষ-স্বীকারোক্তি-ধারা ২৪], ০৩) আদালতের নজরে আসার বিষয়, ৪) বাদী- বিবাদীর ও সাক্ষীদের আচার-আচরণ ইত্যাদি।
এছাড়া মামলার কোন বিষয় প্রমাণের জন্য কতজন সাক্ষীর প্রয়োজন তার সংখ্যা নিদিষ্ট নয়।[ধারা-১৩৪] এধারার ব্যাখ্যায় বলা যায় কোন বিশেষ ঘটনা প্রমাণের জন্য সাক্ষীর কোন নির্ধারিত সংখ্যা আইনে উল্লেখ নেই। ঘটনা প্রমাণের জন্য ঘটনার গুরুত্ব অনুসারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যাক্তিকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।তবে কোন মামলা প্রমাণের জন্য মামলার বাদীসহ কমপক্ষে তিনজন সাক্ষী করার প্রচলন রয়েছে। ধারা-১৩৫ কোন ক্রমানুযায়ী সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হবে তা দেওয়ানী বা ফৌজদারী আইন নির্ধারন করবে তবে কোন আইন না থাকলে আদালত তা নির্ধারন করবে। ধারা-১৩৬ সাক্ষ্যের গ্রহনযোগ্যতা আদালত নির্ধারন করবে। কোন ঘটনার প্রমাণ যদি অন্য ঘটনার প্রমাণের উপর নির্ভর করে তবে প্রথম ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়ার আগে শেষোক্ত ঘটনা অবশ্যই প্রথমে প্রমাণ করতে হবে। ২০,সাক্ষীদের পরীক্ষা (১৩৭-১৬৪)ক বাদীর পক্ষে যারা সাক্ষী দেন তাদের কে বাদীর সাক্ষী বা PW বলা হয় এবং বিবাদীর পক্ষে যারা সাক্ষী দেন তাদেরকে বিবাদীর সাক্ষী বা DW বলে।
সাক্ষীগণকে সাধারণত রাষ্ট্রপক্ষ পিপি অফিস আদালতে উপস্থিত নিশ্চিত করে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় পিপি অফিসে সাক্ষী আসলে তা আদালতে উপস্থাপন না করে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজিরা না দিয়ে সাক্ষীকে ফেরত পাঠানো হয়। এই পর্যায়ে পিপি অফিসের কেউ কেউ সাক্ষী আদালতে হাজির না করে মামলা বিলম্বিত করার জন্য দায়ী। যাইহোক একটা হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হলো এজাহার কারী বা বাদী, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দেখা সাক্ষী, হত্যার সংবাদ পাওয়ার পরে পুলিশ এসে যিনি মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট করেন তিনি, দোষ-স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ডাক্তার যিনি মৃতের সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য পোস্ট মর্টেম করেন। মাদক ও অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে যে সমস্ত মামলায় আসামীর প্রত্যক্ষ দখর ও নিয়ন্ত্রণ থেকে মাদক ও অস্ত্র গুলি জব্দ করা হয় সেসব মামলা অভিযোগপত্রে সাধারণত আই/ও এজাহারকারী, জব্দতালিকা প্রস্তুতকারী, জব্দতালিকার স্থানীয় ২/৩ জন, রেকর্ডিং অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষী থাকে। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। অস্ত্র ও মাদক মামলায় যদি আসামী দোষ-স্বীকার করে তাহলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষী হিসেবে থাকে। স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় স্বর্ণের সঠিকতা যাচাইকারী জুয়েলার্স সমিতির সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সাক্ষী থাকতে পারে। মারামারির মামলায় জখমী সনদের সাক্ষী এবং জব্দতালিকার সাক্ষীরা অতি গুরুত্বপূর্ণ।চাঁদাবাজির মামলায় যার সামনে চাঁদা দাবী করে সে সাক্ষীও উপযুক্ত সাক্ষী।নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ভিকটিমের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ।
সাক্ষ্য আইনের (১১৮-১৩৬)ক ধারায় বলা আছে -কোন ব্যক্তির সাক্ষী দেওয়ার যোগ্যতা তার বোধ শক্তির উপর নির্ভর করে এক্ষেত্রে কোন নিদিষ্ট নিয়ম বা বয়স বাধা হতে পারে না। সাক্ষীর সাক্ষ্য দানের যোগ্যতাঃ সাক্ষ্য আইনের ১১৮ ধারায় বলা আছে কোন ব্যক্তি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতে পারলেই তিনি হবেন সাক্ষ্যদানের যোগ্য সাক্ষী। যেকোন বয়সের কোন ব্যক্তি কোন কারণে প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতে না পারলে আদালত তাকে সাক্ষ্যদানে অযোগ্য বলে বিবেচনা করতে পারেন। সাক্ষ্য আইনের ১১৯ ধারায় বলা আছে কোন বোবা সাক্ষী লিখে বা ইশারায় প্রকাশ্য আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন যা আদালতে মৌখিক সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। সাক্ষ্য আইনের ১২০ ধারায় বলা আছে স্ত্রী বা স্বামী আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে যেমন একে অপরের জন্য যোগ্য সাক্ষী তেমনি ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে ও সাক্ষী হিসেবে যোগ্য। উত্তর দানে সাক্ষীর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে বলা হয়ে থাকে সাক্ষী যা জানে সে বিষয়ে সাক্ষ্য দানে বাধ্য তবে কিছু কিছু বিষয়ে তাকে বাধ্য করা যাবেনা। মামলায় সাক্ষী কতজন হবে বা কতজনের সাক্ষ্য আদালত গ্রহণ করবে তার কোন ধরাবাধা আইন বা নিয়ম না থাকায় আদালত উপযুক্ত ০১ জন সাক্ষীর বক্তব্য নিয়েও মামলার বিচার শেষ করতে পারে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতর দুয়েকটি সিদ্ধান্ত উল্লেখ করা যেতে পারে। অবু তাহের বনাম রাষ্ট্র {42 DLR (AD) at page 261 in Paragraph 37} মামলায় সুপ্রিমি কোর্ট বলেন যে, “37……….It is settled law that a conviction may be based on the sole testimony of a single witness, if believed, and mere interestedness is not ground to reject the testimony of a witness, if otherwise the testimony is free from doubt. It is equally settled that when a conviction rests on the testimony of a single witness who is interested and partisan in nature, the Court, apart from requiring corroboration of the said testimony, as a rule, subjects the same to maximum and closest scrutiny……….” আইনের ভাষ্য মতে যদি উপযুক্ত সাক্ষী একজন ও হয় তবে মামলা নিস্পত্তি করে আসামীকে সাজা প্রদান করা যাবে তবে তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হতে হবে এবং তার বিপরীত কিছু হলে আসামী খালাস পাবে। আসামী খালাস হোক আর সাজা হোক মূখ্য বিষয় হলো আইনের মধ্যে থেকে মামলা নিস্পত্তি করে মামলাজট কমাতে হবে।
যাইহোক কতজন সাক্ষী হলে মামলা নিস্পত্তি হবে বিষয়টি কেস টু কেস ভ্যারি করবে। হত্যা মামলা, অস্ত্র ও মাদক মামলা, চোরাচালান মামলা, মারামারির মামলা একেক মামলায় ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট থাকে এবং সাক্ষীর ধরন এবং গুরুত্বও পৃথক। তবে আইনের দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে এগুতে হবে। বিচার করা কাজটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কোনভাবেই খামখেয়ালি ভাবে মামলা নিস্পত্তি করা যাবে না। ফৌজদারী মামলা দায়ের হওয়ার পরে বিচারে সাধারণত দুই পক্ষ থাকে। উভয়পক্ষ ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে। আইনে বলা হয় ১০০ জন অপরাধী খালাস হোক তাতে সমস্য নেই কিন্তু ০১ জন নিরাপরাধী যেন সাজা না পায়। আবার ন্যাচারাল জাস্টিস হলো উভয়পক্ষকে শুনে বিচার শেষ করতে হবে। তাই উপযুক্ত সাক্ষীর বক্তব্য আদালত খুবই সাবধানে যাচাইবাছাই করে আসামীর পক্ষে বিপক্ষে ব্যবহার করবে। হত্যার বদলে হত্যা, চোখের বদলে চোখ কিংবা দাঁতের বদলে দাঁত প্রাচীন প্রবাদটি শাস্তির প্রাচীন নীতি। যেহেতু হত্যার বদলে হত্যা কথাটি এখন আর সরাসরি প্রচলিত নেই বিধায় কমন ল সিস্টেসের নীতি মেনেই সাক্ষ্য গ্রহণ করে জেরা করার সুযোগ দিয়ে মামলা নিস্পত্তি করতে হবে।তবে মামলার ধরণ ও গুরুত্ব ভেদে মামলা নিস্পত্তি করতে সাক্ষী কতজন হবে তা বিচারক আইন ও অভিজ্ঞতা মাফিক নির্ধারণ করবেন এটা বিচারকের অর্ন্তনিহিত ক্ষমতা বটে তবে এই ক্ষমতা প্রয়োগে যথেষ্ট সাবধানী হতে হবে।
লেখকঃ মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, আইন গবেষক ও কলামিস্ট।