সব
facebook apsnews24.com
ম্যাজিস্ট্রেট বনাম নির্বাহী কর্মকর্তা (বিসিএস- প্রশাসন) - APSNews24.Com

ম্যাজিস্ট্রেট বনাম নির্বাহী কর্মকর্তা (বিসিএস- প্রশাসন)

ম্যাজিস্ট্রেট বনাম নির্বাহী কর্মকর্তা (বিসিএস- প্রশাসন)

মতিউর রহমান

ম্যাজিস্ট্রেট নামে বিসিএসে কোন ক্যাডার নেই। বিসিএস (প্রশাসন)-এ যারা নিয়োগ পান, তারা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার হিসেবে জয়েন করেন। প্রশাসনিক কাজই তাদের মূল কাজ এবং তাদের পদবী হল সহকারী কমিশনার, ম্যাজিস্ট্রেট নয়। তবে CrPC এর ধারা ১০(৫) অনুযায়ী সরকার চাইলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে সীমিত আকারে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করতে পারে। তাদেরকে তখন বলা হয় “নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট” (not magistrate)। Section 10(5) হুবহু – “The Government may, if it thinks expedient or necessary, appoint any persons employed in the Bangladesh Civil Service (Administration) to be an Executive Magistrate and confer the powers of an Executive Magistrate on any such member.” Executive Magistrate মূল পদ নয় বরং Delegated duty. প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য (এ ধারায় লেখা হয়েছে The Government may… ) আইনে Shall এবং May শব্দ দুটির মাঝে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। যখন “may” শব্দটি ব্যবহৃত হয়, তখন সেই কাজটি ঐচ্ছিক হিসেবে গণ্য হয়। “Shall” ব্যবহৃত হলে কাজটি করা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। সুতরাং প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে সরকার বাধ্য নয়।

তবে, এ আইনের ধারা ১০(৬) অনুযায়ী প্রশাসনের এসব কর্মকর্তাগণ তাদের অধিক্ষেত্রের মাঝে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হবেন (Shall be). অর্থাৎ, প্রশাসনের একজন সহকারী কমিশনার একই সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও বটে।

Executive Magistrate সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড যোগ্য অপরাধের বিচার করতে পারেন। এই বিচারের শর্ত হল উক্ত অপরাধমূলক কাজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সংঘটিত বা উদঘাটিত হতে হবে + অভিযুক্ত কর্তৃক তার কৃত অপরাধ লিখিতভাবে স্বীকার করতে হবে। তা না হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কোন দণ্ড দিতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে তিনি অভিযুক্তকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে চালান করবেন। (ধারা-৬, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯)। নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ইতিমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে এই রায়ের বিরুদ্ধে অ্যাপিলেট বিভাগে আপিল পেন্ডিং রয়েছে। অ্যাপিলেট ডিভিশন হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় বহাল রাখলে পার্লামেন্ট ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন সংশোধন করতে বাধ্য হবে। এরপর নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না এবং এ স্থলে জুডিসিয়াল অফিসার কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। তবে যতদিন এ রায় না হচ্ছে, তততিন নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত চলতে বাঁধা নেই।

তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মূল কাজ হল- লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স বাতিলকরণ, প্রসিকিউশন অনুমোদন বা প্রত্যাহারকরণ ইত্যাদি যেসব কাজের প্রকৃতি প্রশাসনিক বা নির্বাহী ধরণের তা সম্পাদন করা। (ধারা-৪(২)(খ)) শুধুমাত্র “ম্যাজিস্ট্রেট” বলতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বুঝায়।

CrPC এর ধারা 4A(1)(a) তে বলা হয়েছে, “without any qualifying word, to a Magistrate, shall be construed as a reference to a Judicial Magistrate.” অর্থাৎ কেউ যদি বলেন, “আমি ম্যাজিস্ট্রেট।” এর অর্থ হল উনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। কোন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিজেকে শুধুমাত্র “ম্যাজিস্ট্রেট” হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন না। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মূল কাজ বিচার করা।

আরো বিস্তর আলোচনা করতে গেলে বলতে হয় রাষ্ট্রের বিভাগ তিনটি-

১) আইন বিভাগ- বাংলাদেশে এই বিভাগ MP (সংসদ সদস্য) -দের নিয়ে গঠিত। তাদের কাজ হল আইন তৈরী করা।

২) নির্বাহী বা শাসন বিভাগ – প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রী, সচিব, বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ও অন্যান্যভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শাসন বা নির্বাহী বিভাগ গঠিত। আইন অনুযায়ী শাসন কাজ চালনা করাই হল শাসন বিভাগের কাজ। তাছাড়া শাসন বিভাগ বিচার বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায় বাস্তবায়ন করে থাকে।

৩) বিচার বিভাগ- সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট ডিভিশন ও অ্যাপিলেট ডিভিশন) এবং অধস্তন আদালত ও বিভিন্ন ট্রাইবুনালের সমন্বয়ে বিচার বিভাগ গঠিত।

আইন বিভাগ যে আইন প্রনয়ন করে, সে আইন অনুযায়ী বিচার করাই হল বিচার বিভাগের মূল কাজ। যারা বিচার করেন তাদেরকে বিচারপতি (সুপ্রিম কোর্টের বিচারক) , জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট (প্রতি জেলায় অধস্তন আদালতের বা ট্রাইবুনালের বিচারক) বলা হয়। বিচার বিভাগ হল সংবিধানের অভিভাবক। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে আইন বিভাগ কোন আইন তৈরী করলে কিংবা অন্য কোন আইনের সাথে বিরোধপূর্ণ আইন তৈরী করলে কিংবা নির্বাহী বিভাগ আইন বহীর্ভূত কাজ করলে বিচার বিভাগ জুডিসিয়াল রিভিউ কিংবা রিট এখতিয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে আইন বিভাগ কর্তৃক প্রণীত কোন আইন বা নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক কৃত যেকোন কাজকে বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণা করে আদেশ দিতে পারেন। আইনের ব্যাখ্যা দেবার দায়িত্বও বিচার বিভাগের হাতে ন্যস্ত।

শাসন বিভাগের বিভিন্ন উপবিভাগের মধ্যে অন্যতম হল প্রশাসন (Public Administration)। বিসিএসের মাধ্যমে যেসব মেধাবী ও সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে জয়েন করেন, তাদের পদবি হল- সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেট নয়। পুলিশের ASP পদমর্যাদার ব্যক্তিদেরকে কিংবা Board examination ও বিভিন্ন পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কলেজের শিক্ষকদেরকেও (বিসিএস- শিক্ষা ক্যাডার) সরকার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন। যাকে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বলে। তবে তারা কিন্তু নিজেদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন না। যখন বলা হচ্ছে,”অমুক ভাই একজন ম্যাজিস্ট্রেট।” তার অর্থ – অমুক ভাই হলেন বিচার বিভাগে নিযুক্ত একজন বিচারক এবং তার আইনের ডিগ্রি রয়েছে।

যার বেতন স্কেল শুরুতে ৬ষ্ঠ গ্রেড (ব্যাসিক ৩০,৯৩৫ টাকা)। আর যিনি বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন, তার বেতন স্কেল শুরুতে ৯ম গ্রেড (ব্যাসিক ২২,০০০ টাকা)। উভয়ই প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার। তবে এই বেতন স্কেল স্বতন্ত্র। কোন সহকারী কমিশনারকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দিতে হলে অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই বলতে হবে তিনি “নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা Executive Magistrate”। শুধুমাত্র ” ম্যাজিস্ট্রেট” বলা যাবে না। প্রশাসনের কোন সহকারী কমিশনার যখন ভূমি অফিসের দায়িত্ব পালন করেন, তখন তাকে বলা হয় Assistant Commissioner of Land (প্রচলিত AC Land)। এরপর সহকারী কমিশনারগণ প্রমোশন পেতে পেতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার (UNO- UNO, DC উনাদেরও কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে, অথচ লোকে তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট বলে না৷ বরং সদ্য জয়েন করা সহকারী কমিশনারকে ম্যাজিস্ট্রেট বলে ভুল করেন), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ADC), জেলা প্রশাসক (DC), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ইত্যাদি পদ অর্জন করেন। বলা বাহুল্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ নির্বাহী অফিসার হলেন সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের প্রধান হলেন মন্ত্রী। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত সচিব হয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক হয়ে UNO এবং সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ নিঃসন্দেহে সরকারের অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। আবার, একটি জেলার সর্বোচ্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা প্রশাসকের উপরে সরকার ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেসির দায়িত্ব অর্পণ করে। কখনো কি শুনেছেন কোন জেলা প্রশাসক সাধারভাবে নিজেকে জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচয় না দিয়ে শুধু ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন? অন্যান্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যেসব রায় দেন, তাদের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হয় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) কাছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশ্লীষ্ট বিষয়ে জেলা প্রশাসকের রায়ের বিরুদ্ধে এরপর আপিল করতে হয় জেলা ও দায়রা জজের নিকটে। (ধারা-১৩(৩), ভ্রাম্যমান আদালত আইন, ২০০৯) প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রমোশন পেয়ে এক সময়ে জেলা ও দায়রা জজ হন। আবার কেউ কেউ উচ্চ আদালতের বিচারপতি হন। একটি জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা যেমন জেলা প্রশাসক, তেমনি একটি জেলার সর্বোচ্চ জুডিসিয়াল অফিসার হলেন জেলা ও দায়রা জজ। উপরের আপিল সংক্রান্ত বিষয় থেকে পরিষ্কার হয় জেলা ও দায়রা জজের পদমর্যাদা জেলা প্রশাসকের থেকে উপরে। হাইকোর্ট ডিভিশন ও অ্যাপিলেট ডিভিশনের রায়ে উল্লেখিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সি অনুযায়ী জেলা ও দায়রা জজের পদমর্যাদা প্রশাসনের সচিব সমমানের (তথ্যসূত্র কমেন্টে)। তবে এ ব্যাপারে এখনো গেজেট না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। যাহোক, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে অবশ্যই আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের হতে হবে। এরপর বিসিএসের মত করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (BJS) পরীক্ষা দিতে হবে।

সহকারী কমিশনার (প্রশাসন) যেকোন সাবজেক্টে পড়ে হওয়া যায়, তবে ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে অবশ্যই আইনের ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) এবং সহকারী কমিশনার (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) সংক্রান্ত ধারণা পরিষ্কার হয়েছে আশা করি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে ছোট করে দেখার অভিপ্রায়ে এই লেখাটি লিখিনি, বরং প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা দূর করতে সচেষ্ট হয়েছি। বিচার বিভাগ এবং শাসন বিভাগ রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং তাদের কাজের ক্ষেত্র আলাদা। বিসিএস প্রশাসন নিঃসন্দেহে চমৎকার প্রেস্টিজিয়াস একটি চয়েস।

Admin ক্যাডারদের সার্ভিস লাইফে ৯০-৯৫% কাজই প্রশাসনিক কাজ। ৫-১০% বা তারও কম ম্যাজিস্ট্রেসির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবু সমাজে এটাই (ম্যাজিস্ট্রেসি) যেন তাদের বড় পরিচয়।

কাজেই, বিসিএস প্রশাসনে সদ্য সুপারিশ প্রাপ্ত বা নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তির পদবীকে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা প্রচলিত অ্যাডমিন ক্যাডার বলুন, ম্যাজিস্ট্রেট নয়।

– মতিউর রহমান, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ২০১৫-১৬ সেশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। Email: motiurmdm@gmail.com

আপনার মতামত লিখুন :

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্ষুধার্ত মানুষ ও আমাদের তামাশা!

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্ষুধার্ত মানুষ ও আমাদের তামাশা!

দেনমোহর পরিশোধের বাধ্যবাধকতা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবতা

দেনমোহর পরিশোধের বাধ্যবাধকতা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবতা

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj