আইন পেশাকে বলা হয় Noble পেশা। এ পেশায় স্বাধীনতা যে কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান। বিজ্ঞ আইনজীবীদেরকে তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে মানবাধিকার, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার, নাগরিক উত্থান বা সংঘাত ইত্যাদি অনেক কিছু বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। আর এসব কারণে প্রায়ই তাঁদের জীবন তীব্র ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। আইনজীবী যাঁরা রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে কথা বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা যাঁরা রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা বা সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আসেন তাঁরা বিরোধীয় দলগুলির মধ্যে প্রায়শই সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
যেখানে বিজ্ঞ আইনজীবীরা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বা মামলা-মোকদ্দমার সাথে প্রকাশ্যে যুক্ত সন্ত্রাসী, সুপরিচিত অপরাধী, সংগঠিত অপরাধ গ্রুপ বা মাদকের সদস্য পাচারকারীদের সাজা প্রদানে সহায়তা করেন সেখানে উল্টো তাঁদের উপর অনেক ক্ষেত্রে হুমকি বা হামলার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ হামলা বা ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না। সারা বিশ্বে একই প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করা যায়।
আসুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশে কর্মরত বিজ্ঞ আইনজীবীদের ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের চিত্র….
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কিছুদিন পূর্বে একটা খবর এসেছিল যে, বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেলকে Anonymous ব্যক্তি হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি General Diary করা হয়েছে। শাহবাগ থানা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে বেনামী চিঠি প্রেরণ প্রথমবার নয়, এর আগেও কয়েক দফা এ ধরণের চিঠি প্রেরণ করা হয়েছিল। এটর্নি জেনারেল বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা। তিনি আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে ওকালতি করেন। তিনি যা করেন সেটা তাঁর দায়িত্ব কর্তব্যের জায়গা থেকে। এজন্য তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কোন মানে হয় না। তবে যারা এ ধরণের হুমকি দেন তাদের বিরুদ্ধে আইনের যা ব্যবস্থা আছে তা নেওয়া হয়ে থাকে। আর এটর্নি জেনারেলের নিরাপত্তার জন্য থাকে অস্ত্রধারী পুলিশ। এটাতো জানালাম এটর্নি জেনারেলের কথা।
এবার আসি অন্যান্য আইনজীবীদের কথায়। আইনজীবীরা বিবাদমান পক্ষদের নিয়ে আদালতে কাজ করেন। কেউ বাদি পক্ষে, কেউ বিবাদি পক্ষে। কেউ আসামি পক্ষে আবার কেউ ফরিয়াদি পক্ষে। আদালতে আইনজীবীরা যাঁর যাঁর মক্কেলের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। কিন্তু অনেক সময় মামলার পক্ষদের আইনী সেবা দিতে গিয়ে কোনো কোনো পক্ষ আইনজীবীর উপর ক্ষুব্ধ হন। এটা নিতান্তই Injudicious ব্যাপার। আবার এই ক্ষোভ থেকে অনেক সময় আইনজীবীদের উপর আক্রমণও হয়। দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী তার বিচারও হয়। কিন্তু এই আইন যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন ভুক্তভোগীসহ সব বিজ্ঞ আইনজীবীরা। তাই তাঁদের অন্যতম দাবী আইনজীবী সুরক্ষা আইন। আসলে কি এ চাওয়া অমূলক?
আমরা যদি বিগত কয়েক বছরে(২০০৫ – ২০২০) বিজ্ঞ আইনজীবীদের উপর হামলা আর নির্যাতনের কিছু ঘটনা যাচাই করি তবে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবো। পাঠকের সুবিধার্থে এখানে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তুলে ধরলাম……
৫ জুন ২০২০ খ্রিঃ দুপুর দেড়টার দিকে
রংপুর নগরীর তাজহাট ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসাদুল হককে তার বাসায় গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী রতন নামে এক তরুণকে আটক করেছে।
২ মে ২০২০ খ্রিঃ বরিশাল শহরে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করার জেরে, আইনজীবী রবিউল ইসলাম রিপন কে ৭ সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল। এই ঘটনায় সারাদেশের আইনজীবীরা Social Media তে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় তোলে। পরে ঐ আইনজীবী জামিনে মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটার শিকার হন আইনজীবী তুহিন হাওলাদার। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
২০২০ সনের মার্চ মাসে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী খন্দকার মোঃ মিকাইল মিয়া, নিজের পুকুরে খনন কাজ চালানর সময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাঁর নিকট চাঁদা দাবী করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণ করে।
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ পটুয়াখালি আইনজীবী সমিতির সদস্য বশিরুল আলমের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে এই ঘটনায় থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
২১ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত হন কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের ছেলে তানজিম আল ইসলাম ও শ্যালক খালিদ হাসান। পরে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তার করেন।
এবার বহির্বিশ্বের কথা একটু বলি। Neighbouring Country ভারতের কলকাতার হাওড়ায় ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে আইনজীবী ও পুলিশের মাঝে কোর্ট প্রাঙ্গণে গাড়ি পার্কিং নিয়ে যে হাতাহাতির বিষয়টি ঘটেছে নিঃসন্দেহে তা নিন্দনীয়। অবশ্য এজন্য বিজ্ঞ আইনজীবীরা Drastic Action নিয়েছেন। একই সাথে আইনজীবী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের জন্য জোড়ও দিয়েছেন।
দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আইনজীবীদের সুরক্ষা এবং আইনী পেশাগুলি স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনী সম্প্রদায় দ্বারা। মূলত এটি একটি সমালোচনামূলক সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আঞ্চলিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিও একই ধরণের বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে আইনী স্বাধীনতার জন্য বিস্তীর্ণ হুমকির স্বীকৃতি হিসাবে।
UN Special Rapporteur এর মতে,
” নিষেধাজ্ঞার উপর আইনী পেশায় হস্তক্ষেপ নিয়মিতভাবে লঙ্ঘিত হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটে প্রায়শই যখন আইনজীবী রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের রক্ষা করে।”
Special Rapporteur আরও বলেছে যে “বেশিরভাগ জাতীয় পরিস্থিতি “স্পেশাল র্যাপার্টোরের” মনোযোগ এনেছে “এতে হুমকি জড়িত সংবেদনশীল মামলার প্রতিনিধিত্ব এবং অনুপযুক্ত হওয়ার ফলস্বরূপ আইনজীবীরা তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে চিহ্নিত হচ্ছে।”
Specially, বিশেষ প্রতিবেদক নোট করে যে,মিডিয়া এবং অন্যরা প্রকাশ্যে সহযোগিতা করলে হয়রানির ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
তাই সুরক্ষা আইনজীবীদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ বলাই শ্রেয়। উদাহরণস্বরূপ, Special Rapporteur আরও উল্লেখ করেছেন যে, রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপক্ষের অবস্থান হলো একটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ, কারণ উচ্চ আদালতে মামলা করা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি বা তিনিই দায়বদ্ধ। এতে অনেক ক্ষেত্রে তিনি গুরুতর হুমকির শিকারও হয়ে পড়েন।
এ কারণে আন্তর্জাতিক আইন স্পষ্টত নেতিবাচক এবং ইতিবাচক উভয় রাষ্ট্রীয় বাধ্যবাধকতাগুলিকে নির্ধারণ করে আইনী পেশার স্বাধীনতা বজায় রাখতে এবং আইনজীবীদের আক্রমণকারীদের কাছ থেকে রক্ষা করতে নির্বিচারে আটকে দেওয়া সহ তাদের প্রতি নির্যাতন ও হুমকি, অন্তর্ধান এবং আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়সহ একটি স্বাধীন আইনী পেশার সুরক্ষায় হয়রানির আশঙ্কা ছাড়াই আইনজীবীদের দায়িত্ব পালনের দক্ষতার আওতায় আনার ব্যবস্থা করছে। যেখানে প্রাণহানির হুমকি রয়েছে সেখানে রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে যে আইনজীবীরা সুরক্ষিত কিনা তা নিশ্চিত করা।
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনার রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন “বিচারক এবং আইনজীবীদের স্বাধীনতার সম্মান এবং সমর্থন যোগাতে এবং সেই লক্ষ্যে, কার্যকর আইন প্রয়োগ এবং অন্যান্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।”
The ICJ Geneva Declaration আইনের শাসন এবং বিচারক ও আইনজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরে Times of Crisis এ ঘোষণা করেন যে:
“All branches of government must take all necessary measures to ensure the protection by the competent authorities of lawyers against any violence, threats, retaliation, de facto or de jure adverse discrimination, pressure or any other arbitrary action as a consequence
of their professional functions…The authorities must desist from and
protect against all such adverse actions.”
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মান এবং নিয়ম থেকে এটি পরিষ্কার যে আইনজীবী সমিতি তৈরির মাধ্যমে আইনজীবী পেশাকে সুরক্ষিত করার জন্য রাষ্ট্রের রয়েছে বাধ্যবাধকতা। তাই জরুরী পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের সুরক্ষায় বার অ্যাসোসিয়েশন গুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আমার মতে কেবল হুমকি বা আক্রমণের বিষয় নয় আরো কিছু কারণেও বিজ্ঞ আইনজীবীদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা দরকার। ১২ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ “বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডারস অ্যান্ড রুলস-১৯৭২” এ আইনজীবীদের সুরক্ষার বিধান সংযোজন করার নির্দেশনা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম কোর্ট রুলস (হাইকোর্ট বিভাগ) ১৯৭৩ এর বিধি-৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মামলার সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করে আদালতে যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক হলফ সম্পাদনের মাধ্যমে মামলা করা সম্ভব। এ সুযোগে দালালচক্র ও জালিয়াতচক্র অনেক সময় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সুবিধামতো কাগজ তৈরি করে যেকোনো একজন তদবিরকারীকে দিয়ে আইনজীবীদের কাছে পাঠান, আর আইনজীবী এসব কাগজ সংযুক্ত করে সরল বিশ্বাসে অনেক ক্ষেত্রে নামমাত্র ফি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, পরবর্তীতে যদি এসব কাগজ জাল বলে আদালতে প্রমাণিত হয় তখন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। যদিও এসব কাগজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অবগত থাকেন না বা দেখেও প্রতীয়মান করা সম্ভব না। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ প্রদান করা হয় না। তারপরও মামলা হলে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সন্দেহের তির থাকে তদবিরকারক ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের বিরুদ্ধে এবং অনেক আইনজীবী এ ধরনের মিথ্যা মামলার জালে পড়ে নানারকম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডারস অ্যান্ড রুলস-১৯৭২” এর অনুচ্ছেদ ১৭ ও ১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কমিটি, বার কাউন্সিলের নিযুক্তীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়মুক্তির বিধান থাকলেও আইনজীবীদের মামলা-সংক্রান্ত সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের জন্য দায়মুক্তির বিধান নেই যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এতে আইনজীবীদের দায়মুক্তির বিধান সংযোজিত হলে তারা অনেক হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
পরিশেষে বলতে চাই, বিজ্ঞ আইনজীবীরা প্রায়শই আক্রমণ, সহিংসতা, এবং সম্মানহানীর হুমকির জন্য নিজেকে দুর্বল মনে করেন। যেখানে মানুষের ব্যাপক লঙ্ঘন অধিকার বা ব্যাপক সহিংসতা দেখা দেয়, আইনজীবীদের অবশ্যই সংবেদনশীল কাজ করতে হয় মূলত সমাজের মৌলিক মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ যেখানে বাংলাদেশের সব নাগরিক ও দেশে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও তাদের জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম ও সম্পত্তির অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য সৃষ্টি করেনি সেখানে বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য সুরক্ষা আইন দাবী কেন যৌক্তিক নয়? আইনজীবীরা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দ্বন্দ্ব বা সংকট নিরসনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাই তাঁদের জীবনের সুরক্ষার জন্য সুরক্ষা আইন তৈরি ও বাস্তবায়ন বর্তমান সময়ের অন্যতম দাবী। তাছাড়া বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিও এখন এ বিষয়টিতে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাহলে আমাদের দেশ নয় কেন?
আয়েশা সিদ্দিকা লোপা।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী।