দুই পিলারের মাঝে যে দূরত্ব, তাতে তিনটি বড়সড় ফেরি অনায়াসে একসাথে যেতে পারে, তাহলে কেন এত অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন তিনবার ধাক্কা? স্রেফ কাকতালীয়, ষড়যন্ত্র নাকি ভিন্ন কোন শত্রুতা??
“ফেরি রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা, জানো না, আমার সাথে সেতুর শত্রুতা!”
ফেরির সাথে সেতুর কিসের শত্রুতা? যে শত্রুতা সাপের সাথে নেউলের/ সূর্যালোকের সাথে কালো মেঘের!
একের উত্থানে অন্যের পতন অনিবার্য হলে, চিরশত্রুতা তো অবশ্যম্ভাবী!
এই যে যুগ যুগ ধরে দুই পাড়ের ফেরি ঘাট ও ফেরিকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা জীবিকা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা, কর্তৃত্ব… সেতু চালু হওয়া মাত্রই সব শেষ!
অন্যসব বাদ দিন, সেতু চালু হলে এই ফেরিগুলোতে দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করা চালক, মাষ্টার, সুপারভাইজার, সহকারীসহ অন্যান্য যারা সহসা জীবিকা হারাবেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA) তথা নৌ-মন্ত্রনালয় কি তাদের যথাযথ পুনর্বাসন বা বিকল্প কিছু ভেবেছেন? এবিষয়ে তাদের সাথে কথা বলেছেন? কর্ম ও জীবিকা হারানোর নিশ্চিত শঙ্কায় থাকা মানুষগুলো কি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সন্তোষজনক কোন ভরসা বা আশ্বাস পেয়েছেন? সম্ভবত না।
ফলশ্রুতিতে, কর্তৃপক্ষের উপর তাদের যে অনাস্থা, রাগ-ক্ষোভ-হতাশা, সেটার বহিঃপ্রকাশ, ‘ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো’র মতো তারা সেতুর পিলারের উপর ঝাড়ছেন কিনা, সেটা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে বৈকি।
ফেরির চালক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মজীবী মানুষের চোখে, তাদের অনাহূত কর্মহীনতার মূল নাটেরগুরু তো এই পদ্মা সেতু! তো এই ঝিয়ের উপর রাগটা ঝাড়াই যায়!!
BIWTA ও সেতু কর্তৃপক্ষের উচিত, সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ফেরি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মজীবীদের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়া।
Collected