সব
facebook apsnews24.com
বিচার কী এত সহজ? - APSNews24.Com

বিচার কী এত সহজ?

বিচার কী এত সহজ?

মতিউর রহমান

সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি, ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং দায়রা আদালতের ক্ষমতা সংক্রান্ত বিশ্লেষণ ।

প্রতিটা বিচার এক একটা গবেষণার ব্যাপার। প্রথমত- Principles of Natural Justice  বা বিচাররের মূলনীতি জানা যাক। ন্যায় বিচারের প্রধান মূলনীতি ২ টি। তা হল-১) Audi alterum pertem-  অভিযোগ পক্ষ এবং অভিযুক্ত উভয় পক্ষকে আদালতে  আত্মপক্ষ সমর্থন করে যথেষ্ট কথা বলা এবং আনুসঙ্গিক এভিডেন্স প্রডিউস করার সুযোগ দিতে হবে। এবং ২) Nemo judex causa sua-  বিচারককে নিরপেক্ষ ব্যক্তি হতে হবে। মামলার কোন পক্ষের সাথে বিচারকের কোন প্রকার পূর্ব ভাল সম্পর্ক বা খারাপ সম্পর্ক বা আত্মীয়তা বা পূর্ব যোগাযোগ থাকা যাবে না। এমনকি কোন বিচারকের গাড়ির ড্রাইভার বা পেশকার, অফিসের কেউ বা গৃহকর্মী বা স্ত্রী-স্বামী-সন্তান-ভাই-বাবা-মা সহ কোন আত্মীয় কোন মামলায় ভিক্টিম বা আসামী যাই হোক না কেন, সে মামলার বিচার উক্ত বিচারক করতে পারবেন না। সালমান শাহ, শাবানা, আলমগীর অভিনীত  বিখ্যাত বাংলা সিনেমা “সত্যের মৃত্যু নাই” তে দেখা যায় বাবা আলমগীর সন্তান সালমান শাহের বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেন। আইন অনুযায়ী এটা হাস্যকর : এই সিনেমাটি সাধারণ দর্শকদের জন্য অনেক আবেগী ব্যাপার হলেও উক্ত পরিচালক আইনের ছাত্রদের জন্য কমেডি বানিয়ে ফেলেছেন।

এছাড়াও বিচারের আরেকটা মূলনীতি হল বিচারের রায় হতে হবে speaking order. অর্থাৎ, রায়ের আদেশে উক্ত রায়ের পক্ষে যথেষ্ঠ লিখিত যুক্তি দেখানো থাকতে হবে।

এবার বাংলাদেশে বিচারকের যোগ্যতা এবং ক্ষমতা কেমন দেখা যাক। বিচারক হতে গেলে প্রথমত আইনে স্নাতক হতে হয়। এরপর ১০০ নাম্বারের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। এতে বিসিএসের বিষয়গুলো  এবং আইন থেকে প্রশ্ন হয়। এরপরের ধাপ হল ১০ দিনে  ১০০০ মার্ক্সের লিখিত পরীক্ষা হয়। এখানে বিসিএসের বিষয়গুলো থেকে ৪০০ মার্ক্স এবং আইন থেকে ৬০০ নম্বর থাকে। এরপর ১০০ নাম্বারের ভাইভা হয়। লিখিত এবং ভাইভার প্রাপ্ত নাম্বার যোগ করে সর্বমোট নাম্বারের ভিত্তিতে সিরিয়াল হয়। এই সিরিয়াল থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। কোন ওয়েটিং লিস্ট থাকে না। বিগত বছরগুলোতে দেখা যায়, সার্কুলার থেকে গোটা নিয়োগ পরীক্ষা এবং চূড়ান্ত রেজাল্ট ছয় মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হয়। BJS এর এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের শতভাগ আস্থা আছে।
এবার দেখি, এত সংগ্রাম করে বিচারক হবার পর বিজ্ঞ বিচারকেরা কেমন ক্ষমতা অর্জন করেনঃপ্রথমে সিভিল মামলার ব্যাপারে বলি- নিয়োগের পর প্রথম পদ হল Assistant Judge. সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা মূল্যমানের প্রপার্টির মামলা উনি বিচার করতে পারেন। এরপর 4/5 বছর চাকরির পর প্রমোশন পেয়ে যদি Senior Assistant Judge হন, তখন তিনি ৪ লাখ টাকার প্রপার্টির মামলা বিচার করতে পারেন। এরপর Joint District Judge হলে তখন যেকোন মূল্যমানের প্রপার্টির মামলা বিচার করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।

এবার দেখি Criminal Court এর বিচারকেরা কে কতটা ক্ষমতা চর্চা করতে পারেনঃ নিয়োগের প্রথম ধাপ হল তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। উনি সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানার যোগ্য মামলা বিচার করতে পারেন। এরপর প্রমোশন পেয়ে হন ২য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। তখন ৩ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যায় এমন অপরাধের বিচার করতে পারেন। এরপর আরো কয়েক বছর চাকরির পর প্রমোশন পেয়ে ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  হলে তখন সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি দেয়া যায় এমন মামলার বিচার করতে পারেন। যুগ্ম দায়রা জজ ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ড যোগ্য মামলার বিচার করতে পারেন না। এরপর অতিরিক্ত দায়রা জজ বা দায়রা জজ মৃত্যুদণ্ড যোগ্য অপরাধের বিচার করতে পারেন। (CrPC, section 32, 31) এভাবে ধীরে ধীরে একজন বিচারক বিজ্ঞ থেকে বিজ্ঞতর হয়ে ওঠেন, এবং সে অনুযায়ী ধীরে ধীরে ছোট থেকে বড় মামলার বিচার করেন।

কী? মাথা ঘুরে যাচ্ছে ?

এবার আসি নির্বাহী অফিসার তথা Public Administration তথা Admin Cadre এর বিষয়ে। CrPC এর section 10(5)  অনুযায়ী সরকার  প্রয়োজন মনে করলে প্রতিটা জেলায় Admin cadre এর কোন ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন। উনাদের মূল কাজ বিচার করা নয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতাঃ

ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা  ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আইন শৃংখলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করিবার সময়  আইনের অধীন কোন অপরাধ, যাহা কেবল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য,  তাহার সম্মুখে সংঘটিত বা উদ্ঘাটিত হইয়া থাকিলে তিনি উক্ত অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলেই আমলে গ্রহণ করিয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, দোষী সাব্যস্ত করিয়া, এই আইনের নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন। (মোবাইল কোর্ট আইন,  ২০০৯, ধারা ৬)

খেয়াল করুন, উক্ত অপরাধ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিজের চোখের সামনে না হলে তিনি তার বিচার করতে পারবেন না। আর জুডিশিয়াল বা মেট্রোপলিটন  ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা কতটুকু তা উপরে আগেই আলোচনা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই বিচারের পূর্বশর্ত ২ টি। তা হল-১) ম্যাজিস্ট্রেটের নিজের সামনে উক্ত ছোটখাটো অপরাধ সংঘটিত বা উদঘাটিত  হতে হবে। এবং২) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোন প্রকার জোর জবরদস্তি ছাড়া নিজের দোষ স্বীকার করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার না করলে তাকে থানার মাধ্যমে এজাহার দায়ের পূর্বক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বা দায়রা আদালতে প্রেরণের আদেশ দিয়ে সম্মানিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  বিদায় নেবেন।

এবার দেখুনঃ তফসিলে বর্ণিত কোন আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন্ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য হইবে তাহা উক্ত আইনে নির্ধারণ করা না থাকিলে, ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ২৯ এর সংশ্লিষ্ট দ্বিতীয় তফসিলের অষ্টম কলাম অনুযায়ী নির্ধারিত আদালত কর্তৃক উক্ত অপরাধ বিচার্য বলিয়া গণ্য হইবে এবং যদি অনুরূপ কোন অপরাধ বিচার করিবার এখতিয়ার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের না থাকে, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ, তফসিলে বর্ণিত আইনের অধীন অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও, এই আইনের অধীন আমলে গ্রহণ করিয়া দণ্ড আরোপ করিবার এখতিয়ার এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে না।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার সময় যদি এইরূপ কোন অপরাধ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর সন্মুখে সংঘটিত বা উদ্ঘাটিত হয়, যাহা সেশন আদালত কিংবা অন্য কোন উচ্চতর বা বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য, তাহা হইলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এজাহার হিসাবে গণ্য করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন। (একই ধারা ৬, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯)

এরপর দেখুন- এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার সময় কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে গৃহীত হইবার পরপরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সংক্ষিপ্ত অভিযোগ লিখিতভাবে গঠন করিয়া উহা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঠ ও ব্যাখ্যা করিয়া শুনাইবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি গঠিত অভিযোগ স্বীকার করেন কি না তাহা জানিতে চাহিবেন এবং স্বীকার না করিলে তিনি কেন স্বীকার করেন না উহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানিতে চাহিবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক  প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হইলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগটি বিচারার্থে উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে প্রেরণ করিবেন। (ধারা ৭)

এবার দেখুন ক্লাইমেক্স পর্বঃ এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া দণ্ড আরোপ করিবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে যে দণ্ডই নির্ধারিত থাকুক না কেন, ২ বছর এর অধিক কারাদণ্ড এই আইনের অধীন আরোপ করা যাইবে না। (ধারা ৮)অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করিতে ব্যর্থতার কারণে আরোপনীয় বিনাশ্রম কারাদণ্ড তিন মাসের অধিক হইবে না। (ধারা ৯) সম্প্রতি ঢাকায় তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিশুদের বিচার করেছেন। শিশু আইন, ২০১৩ এর  ধারা ১৬(২) অনুযায়ী দায়রা জজ স্পেশাল রুমের স্পেশাল ডেকোরেশন সহ শিশু আদালতের বিচারক হিসেবে অত্যন্ত সতর্কতার সহিত প্রচলিত বিচার পদ্ধতির বাইরে শিশু  আইনে নির্দেশিত অন্য প্রক্রিয়ায় বিচার করবেন।

খেয়াল করুন ভাই ও বোনেরা। জেলা ও দায়রা জজের পদমর্যাদাঃসরকারের সচিবগণ,#জেলা ও #দায়রা জজগণ,সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর সমপদমর্যাদার অফিসারগণ,RAB প্রধান, পুলিশের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান উনারা হলেন সম পদ মর্যাদার ব্যক্তি।

রাষ্ট্রপতি, প্রধাধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদের এ তালিকায় দায়রা জজের অবস্থান ১৬শ অবস্থানে। DC মহোদয়ের অবস্থান ২৪শ। একটি জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ DC মহোদয়ের অধীনস্থ। (#তথ্যসূত্রঃ ১ম কমেন্টে দেয়া হল)

নির্বাহী  কর্মকর্তার কাজ কী?-মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন;জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অর্পিত নির্বাহী দায়িত্ব পালন;সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকি করা। যেমন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প, বিভিন্ন পুনর্বাসন প্রকল্প; সিনিয়র সহকারী কমিশনারের অবর্তমানে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব, ভূমি অধিগ্রহণ, জেনারেল সার্টিফিকেট শাখায় দায়িত্ব পালন;সরকারী বিভিন্ন বাস্তবায়িত নীতির ফলাফল যাচাই ও ফিডব্যাক প্রদানে ইউ এন ও এবং জেলা প্রশাসককে সাহায্য করা;ইট ভাটার লাইসেন্স প্রদান, সার্কাস, যাত্রা, মেলা ইত্যাদির জন্য অনুমতি প্রদানমোটরযানের রেজিষ্ট্রেশন, মোটরযানের মালিকানা সনদ, রোড পারমিট সংক্রান্ত আবেদন গ্রহন ও নিষ্পত্তিআগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজ ইত্যাদি। CrPC এর ধারা ১০ অনুযায়ী কিছুটা বিচারিক ক্ষমতা পেয়ে কেউ কেউ নিজেকে যেন প্রধান বিচারপতির থেকেও বেশি ক্ষমতাবান মনে করেন!  তারা অল্প বয়সে ছোট একটা পদে থেকে পারলে যেন যেকোন মামলার বিচার করে ফেলেন! 

একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসে 40-60 টা মামলায় রায় দেন, এগুলো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করেন না। কিন্তু এই মহান আবেগী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাসে ১/২ টা ক্ষমতাবহীর্ভূত বে-আইনী  বিচার করে প্রমাণ করতে চান তারা না থাকলে দেশে কোন বিচারই হত না। অজ্ঞ জনগণ এসব দেখে না বুঝেই লাফান। তারা ভেবে বসেন দেশে বুঝি সারা মাসে এই ১/২ টা বিচার হয়। ভাইরে ভাই, মাঝেমাঝে সময় পেলে আদালতে গিয়ে একটু ঘুরে আসেন, আদালতে যে কেউ গিয়ে বিচার দেখতে পারবেন। আবেগে না লাফিয়ে জেনে বুঝে লাফান।
 ক্ষমতা বহীর্ভূত  কোন কাজ করলে আইনের ভাষায় তাকে Ultra Vires  বলে।  Ultra Vires হলে যেকোন বিচারকের কাজ অবৈধ এবং বাতিল হয়ে যায়। ক্ষমতা বহীর্ভূত এই কাজটা কোন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট করলেও  এটা অবৈধ হত।

আলোচিত কিছু ঘটনায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বা আইন বা পরিণাম না জেনে আবেগে লাফানো অতি জ্ঞানী পাবলিকের সামনে বা মিডিয়ায় হিরো সাঁজার নেশায় মত্ত কিংবা ক্ষমতার বহীর্ভূত কাজে লাফিয়ে চলা আবেগের নেশায় নেশাগ্রস্ত  এসব ম্যাজিস্ট্রেটকে সম্প্রতি উচ্চ আদালত “অদক্ষ” বলে মন্তব্য করেছেন।কাজেই আমি আইনের চতুর্থ বর্ষের চলমান পরীক্ষার্থী এবং স্বল্পজ্ঞানী  হিসেবে বিকল্প বিশেষ মন্তব্য করার যোগ্য নই।

লেখকঃ মতিউর রহমান,ছাত্র, ২০১৫-১৬ সেশন,আইন বিভাগ, রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয় ।

মতামত লেখকের ব্যক্তিগত।

আপনার মতামত লিখুন :

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj