সব
facebook apsnews24.com
নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মত নৈতিক অবক্ষয় সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘটছে..... - APSNews24.Com

নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মত নৈতিক অবক্ষয় সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘটছে…..

নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মত নৈতিক অবক্ষয় সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘটছে…..

সাজিদ মাহমুদ ভুইয়া

প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে সমাজ। আগে যেসব ঘটনা মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিত, এখন আর সেগুলো নিয়ে কেউ ভাবেন না। মানুষ হিসেবে কতখানি সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হলে নবজাতককে ফেলে দিতে পারে? নবজাতক কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। একের পর এক নবজাতক উদ্ধার। কখনো জীবিত কখনো মৃত। পরিত্যক্ত স্থান, ডাস্টবিন, ড্রেন, ডোবা-নালা, ঝোপঝাড়  সবখানেই মিলছে জীবিত অথবা মৃত নবজাতক। শুধু এসব জায়গায় নয়, হাসপাতালের ডাস্টবিনেও নবজাতক পাওয়া যাচ্ছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনে সামাজিক অবক্ষয়, ইন্টারনেটের অপব্যবহার, মাদকের আগ্রাসন, পর্নোগ্রাফি, অবাধ মেলামেশা মূলত এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দায়ী। যে শিশুটি মায়ের  কোলে নিরাপদে থাকার কথা, সেই শিশুটি ডাস্টবিনের স্তূপে কাক-কুকুরের খাবারে পরিণত হচ্ছে। নবজাতক হত্যার মতোই দেশে এখন গর্ভপাত ব্যাপক হলেও এর সংখ্যা হারে বেড়ে চলেছে।

আমাদের দেশে আইন অনুযায়ী, এবরশন বা গর্ভপাত নিষিদ্ধ দিনে দিনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শুধু ২০১৪ সালেই দেশে প্রায় ১২ লাখ গর্ভপাত করানো হয়। গর্ভপাত ছাড়াও প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার এমআর হয়েছে। ২০১৪ সালেই সন্তান নষ্টের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ লাখেরও বেশি। যেখানে দেশে মোট গর্ভের সংখ্যা সাড়ে ৪২ লাখ। (সূত্র : গুটম্যাকার,২০১৭)এক গবেষণায় দেখা গেছে এবরশনের দিক দিয়ে অবিবাহিত নারীরা এগিয়ে। ঢাকা সহ দেশের প্রায় সবখানেই ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অসংখ্য বেসরকারি ক্লিনিক যার বেশিরভাগ আবার রাজধানী ঢাকাতে। অল্পবয়সী তরুণতরুণীরা পশ্চিমা সংস্কৃতি আদলে চলতে যেয়ে লিভটুগেদারের মতো শারীরিক সম্পর্ক করে তুলছে যার শেষ পরিণতি অকাল গর্ভধারন। শেষ পর্যন্ত যখন সম্পর্কে ফাটল ধরে বা সমাজ অথবা পরিবার তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাই না তখনইবাধ্য হয়ে গর্ভপাতের পথ বেছে নিচ্ছে। গত বছর ২৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে ‘দৈনিক যুগান্তরে’ “বিশ্বে গর্ভপাতে প্রতি বছর ২৬ লাখ শিশুর মৃত্যু” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যেখানে বলা হয় বিশ্বে প্রতিবছর গর্ভপাতের কারণে ২৬ লাখ বা দুই দশমিক ৬ মিলিয়ন শিশুর মৃত্যু ঘটে। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার ১৭৮ শিশুর মৃত্যু ঘটে। যাদের গড় বয়স ২৮ সপ্তাহের নিচে। এই মৃত্যুর ৯৮ ভাগই ঘটে থাকে মধ্য ও নিম্নআয়ের দেশগুলোতে।

গর্ভপাত কি?  
সাধারনভাবে কোন নারীর গর্ভস্থ ভ্রণ নষ্ট করাকে গর্ভপাত বলা হয়। যদি কোন নারীর গর্ভে ভ্রণ সৃষ্টির পর থেকে গর্ভকাল পূরন হওয়ার আগেই গর্ভস্থ ভ্রণ অপসারণ করা হয় তাহলে তাকে গর্ভপাত বলে। দন্ডবিধি অনুযায়ী নারীর সম্মতি সহকারে কিংবা সম্মতি নিয়ে যে কোন প্রকারেই হোক না কেন সকল প্রকার গর্ভপাত অবৈধ এবং শাস্তিযাগ্যে অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় গর্ভপাতের জন্য বিভিন্ন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে গর্ভপাতকে শর্তসাপেক্ষে (যেমন-গর্ভবতী নারীর জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে) বৈধতা দেয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়াতে গর্ভপাতের অধিকার চেয়ে জনস্বার্থ মামলা  
নিজেদের ইচ্ছে মতো গর্ভপাতের সময় বেছে নেওয়ার জন্য স্বাতী আগরওয়াল, গরিমা সাকসেরিয়া এবং প্রাচী বৎস নামের তিন মহিলাগর্ভপাতের অধিকারকে সুনিশ্চিত করার জন্য  আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ তাদের দাবি ছিল ভারতের সংবিধান একজন নাগরিককে তাঁর পছন্দ ও ব্যক্তি স্বাধীনতার যে অধিকার প্রদান করেছে যা সেই দেশের গর্ভপাত আইন, ‘মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইন ১৯৭১’ খর্বকরেছে। এই আইনের ৩(২), ৩(৪) এবং ৫ ধারাকে সংবিধানের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন তিন আবেদনকারী৷  আইন অনুযায়ী মহিলাদের দেহে গর্ভস্থ ভ্রূণের ১২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত গর্ভপাত করতে পারেন কোনও রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার৷ এই ভ্রুণের বয়স ১২ সপ্তাহের বেশি কিন্তু ২০ সপ্তাহের কম হলে সংশ্লিষ্ট মহিলার গর্ভপাতের আগে দু’জন চিকিৎসকের সম্মতির প্রয়োজন হবে৷ আইনের ৫ নম্বর ধারায় ২০সপ্তাহের বেশি বয়সী ভ্রূণের গর্ভপাতের অনুমতি তখনই বৈধ বলে জানানো হয়েছে, যখন তা একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হবে৷

‘ভারতীয় সংবিধানের ২১ ধারায় একজন ব্যক্তির স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মহিলার ক্ষেত্রে এই সাংবিধানিক অধিকার প্রতি পদে ক্ষুণ্ণ হয়। একজন মহিলা নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের গর্ভস্থ সন্তানের ভূমিষ্ঠ হওয়ার বিষয়ে৷ আবেদনকারী তিন মহিলা গর্ভপাত আইনের ধারাগুলো খারিজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়ের রেফারেন্স তুলে ধরেন। “রো বনাম ওয়েড” মামলার রায়ের উল্লেখ করে ‘ইচ্ছে অনুযায়ী গর্ভপাতের অধিকারের ক্ষেত্রে একজন মহিলার গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করার জন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই৷ শুধুমাত্র নিরাপদ গর্ভপাতের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকা উচিত৷তাঁদের দাবি, ‘যে কোনও সময়ে গর্ভস্থ সন্তানের গর্ভপাতের অধিকার এদেশে বৈধ না হওয়ায় একজন অবিবাহিত মহিলার জীবন দুবির্ষহ হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যায়’৷ (সুত্রঃএইসময় প্রকাশের তারিখ- জুলাই ১৬, ২০১৯)

ইসলাম ও রাষ্ট্রীয় আইনে গর্ভপাতেরবিধানঃ    
যদিও গর্ভপাতকে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভপাতের বিষয়কে বৈধতা দেয়া হয়েছে। যদি কোন মহিলা গর্ভবতী হয়ে যায় এবং তার কোলের বাচ্চার জন্য তা ক্ষতিকর হয়, এমতাবস্থায় গর্ভবতী হওয়াতে দুধ শুকিয়ে যাওয়া, দুধ নষ্ট হয়ে যাওয়া, যা কোলের শিশুকে খাওয়ানো যায় না, এমতাবস্থায় গর্ভ চারমাস পূর্ণ হওয়ার আগে ওয়াশ করে বা অন্যপদ্ধতিতে গর্ভপাত করানো যেতে পারে যদি এ কাজ না করে কোলের শিশুকে বাঁচানোর কোন ব্যবস্থা না থাকে তবে। (সূত্রঃফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩৫৬, ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/১৭৬)

গর্ভপাত ঘটানো সম্পর্কে আলেমদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো- শরয়ী কারণ ব্যতীত গর্ভের কোনো পর্যায়ে বাচ্চা ফেলা বৈধ নয়। গর্ভ যদি প্রথম পর্যায়ে থাকে, যার বয়স চল্লিশ দিন, অথবা জমাট বাঁধা রক্ত অথবা গোশতের টুকরা হয়ে থাকে, কিংবা গর্ভ যদি তৃতীয় স্তর পার করে ও তার চার মাস পূর্ণ হয়, আর গর্ভপাত করার কারণ যদি হয় সন্তান লালন-পালন করার কষ্ট অথবা তাদের ভরণ-পোষণ করার দুশ্চিন্তা অথবা ভবিষ্যৎ গড়ার চিন্তা অথবা যে সন্তান আছে তাদেরকে যথেষ্ট জ্ঞান করা, তাহলে বৈধ নয়।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তাদের জন্য হালাল হবে না যে, আল্লাহ তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন, তা তারা গোপন করবে, যদি তারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮]

তবে সকল মাযহাবের সর্বসম্মতি অভিমত হলো, গর্ভসঞ্চারের ১২০ দিন পর গর্ভপাত হারাম। অবশ্য যদি গর্ভধারিণীর জীবন রক্ষার কারণে প্রয়োজন হয়, সেটা ভিন্নকথা। এমন কি রাষ্ট্রীয় আইনেও গর্ভধারিণীর জীবন রক্ষার কারণে গর্ভপাতের বৈধতা দেয়া হয়েছে।

ইসলাম ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী গর্ভপাতেরশাস্তির বিধান  
ভ্রণ হত্যা ও গর্ভপাত সন্তান হত্যার প্রাথমিক স্তর। আল্লাহতায়ালা ভ্রণ হত্যা ওগর্ভপাতকে গোপন হত্যা হিসেবে উল্লেখ করে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন- ‘যখন কবরস্থ কন্যা সন্তানটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হবে, কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো।’(সূরা তাকবির:৮-৯)

ইসলামে ব্যক্তি স্বাধীনতা স্বীকৃত হলেও তা প্রশ্নাতীত নয়। মানুষ তার প্রতিটি কাজের জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র; সর্বোপরি মহান আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে আত্মপ্রকাশ করবে, যাতে তাদের কৃতকর্ম প্রদর্শন করা যায়। অতঃপর যে এক অণু পরিমাণ ভালো কাজ করেছে তা দেখতে পাবে এবং যে এক অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করেছে তা দেখতে পারবে।’ (সূরা জিলজাল:৬-৮)

ইসলাম প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠির নিজস্ব সংস্কৃতির স্বীকৃতি দিয়ে বলেছে, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেককেই দিয়েছি স্বতন্ত্র ধর্ম ও জীবন প্রণালী।’ (সূরা মায়েদা:৪৮)  

“দণ্ডবিধি ১৮৬০” এর ধারা ৩১২ থেকে ধারা ৩১৪ পর্যন্ত গর্ভপাত বিষয়ে আলচনা করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩১২ নং ধারা অনুযায়ী, যদি কোন নারীর জীবন রক্ষার উদ্দেশ্য ছাড়া, অন্য কোন খারাপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় উক্ত নারীর গর্ভপাত ঘটায় তবে তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হবেন এবং এই অপরাধের জন্য শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

আইনগত ব্যাখ্যাঃ ভ্রূণ হত্যা খুনের শামিল৷ গর্ভধারিণীর সম্মতি নিয়ে অথবা তার বিনা সম্মতিতে যে ভাবেই করা হোক না কেন, জীবন রক্ষার উদ্দেশ্য ছাড়া যে নারী নিজের থেকে অকাল গর্ভপাত করে সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে।গর্ভস্থ শিশু সচল হয়ে ওঠার পর গর্ভপাত ঘটালেদণ্ডবিধির ৩১২ ধারা অনুযায়ী উক্ত গর্ভপাতকারীর শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে অর্থদণ্ড।গর্ভস্থ শিশু সচল হয়ে ওঠার পর গর্ভপাত ঘটালে যে ব্যক্তি উহা করবেন তিনি অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। নিজেই নিজের গর্ভপাত ঘটালে গর্ভধারিণী নারীও এই ধারার আওতায় আসবেন।

দন্ডবিধির ৩১৩ ধারাতে বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি কোন নারীর সম্মতি ছাড়া তার জীবন রক্ষার উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য যে কোন কারণে উক্ত নারীর গর্ভপাত ঘটান তবে সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে একই সাথে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

এই ধারায় নারীর সম্মতি ব্যতীত গর্ভপাতকরণের অপরাধের জন্য দন্ডের কথা বলা হয়েছে। সমাজে এমন দেখা যায় যে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের ফলে কোন নারী অন্তঃসত্তা হলে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে বাভিক্টিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটায়। এমতাবস্থায় যে চিকিৎসক গর্ভপাত সম্পন্ন করেছেন তিনিও অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। কেননা গর্ভপাত করার পূর্বে তিনি অবশ্যই পরিক্ষা করে নিবেন গর্ভপাত করার যথেষ্ট সংগত কারন আছে কি না?যদি থাকে তাহলে তিনি প্রয়োজনে ভিক্টিমের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি নিবে অন্যথায় গর্ভপাত করানো থেকে বিরত থাকবেন।

গর্ভপাত করার উদ্দেশ্যে সম্পাদিত কার্যের ফলে নারীর মৃত্যু ঘটলে কি হবে তা দন্ডবিধির ৩১৪ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি কোন গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে এমন কোন কাজ করে, যাতে সে নারীর মৃত্যু ঘটে তবে উক্ত ব্যক্তি সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে অর্থদেন্ড দন্ডিত হবেন। নারীর সম্মতি ছাড়াই উপরোক্ত গর্ভপাতের চেষ্টার ফলে যদি নারীর মৃত্যু ঘটে তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে অথবা উপরোক্ত দন্ডে দন্ডিত হবেন।

যদি কোন ব্যক্তি গর্ভপাত করতে যেয়েভিক্টিমের মৃত্যু ঘটালে এই ধারার অধীন অপরাধ অনুষ্ঠিত হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রেউক্ত ব্যাক্তিবলতে পারবেন না যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যু ঘটান নাই বা তিনি যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন বা গর্ভবতীকে রক্ষা করতে পারেন নাই বা তিনি তার কাজের পরিণাম সম্পর্কে ভাল ভাবে অবগত ছিলেন না।

আইনগত প্রতিকার কি হতে পারে?     
যদি কোন ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করতে চান তাহলে তাকে থানায় যেয়েএজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলা করতে পারেন। যদি কোন কারণে থানা এজাহার বা অভিযোগ গ্রহন করতেঅপারগতা প্রকাশ করে বা এজাহার নিতে না চাই সে ক্ষেত্রে আপনাকে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটেরকাছে শপথ পাঠ পূর্বক পিটিশন দাখিলের মাধ্যমে
সি আর মামলা দায়ের করতে পারেন।

সবশেষে গর্ভপাত সম্পর্কে বলা যেতে পারে প্রতিটি এবরশন মানে একটি হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া, একটি হাঁসি থেমে যাওয়া, দুটি হাত যা কখনো কাওকে স্পর্শ করবেনা, দুটি চোখ যা পৃথিবীর কোন আলো দেখবে না…।

লেখকঃসাজিদমাহমুদভুইয়া
     শিক্ষানবিশআইনজীবী
     ঢাকা জজকোর্ট
ইমেইল- shajidmahmud@gmail.com

মন্তব্যে সম্পূর্ণই লেখকের ব্যাক্তিগত পত্রিকা এই বিষয়ে কোন দায়িত্ব নেবে না

আপনার মতামত লিখুন :

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj