জাহিদ আহমেদ হিরো
বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে যার নাম হবে“জাতীয় সংসদ”। সংবিধানের ৬৫ নংঅনুচ্ছেদে আমাদের সংসদের নাম এবং সংসদ প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সংসদের সসদ্য হওয়ার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এখন প্রশ্ন আসে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সাংবিধানিক যোগ্যতা ও অযোগ্যতা গুলোকিকি? এই সম্পর্কে সংবিধানের ৬৬ নংঅনুচ্ছেদে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য সর্ব প্রথম তাকে বাংলাদেশর নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়স ২৫ বছর পূর্ন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবে না, যদি সে ব্যাক্তিকে কোন উপযুক্ত আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষনাকরেন; তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; তিনি যদি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষনা করেন; তিনি যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবংতাহার মুক্তি লাভের পর ৫ বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোন অপরাধের জন্য দন্ডিত হইয়া থাকেন; আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষনা করিতেছে না, এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন; অথবা তিনি কোন আইনের দ্বারা বা অধীন অনূরুপ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হন। উপরোক্ত সাংবিধানিক শর্তসমূহ পালন করেই কাউকে সংসদ সদস্য হইতে হবে, অন্যথায় সে সাংবিধানিক ভাবে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে ধরা হবে।
লেখকঃ জাহিদ আহমেদ হিরো, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট