সব
facebook apsnews24.com
কৃষি ও কৃষক আমাদের যে সংকেত দিচ্ছে? - APSNews24.Com

কৃষি ও কৃষক আমাদের যে সংকেত দিচ্ছে?

কৃষি ও কৃষক আমাদের যে সংকেত দিচ্ছে?

নূরুন্নবী সবুজ

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে যে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হবে একথা সবাই এক বাক্যে স্বিকার করে। অনেক শিল্প কলকারখানায় শ্রমিক ছাটাই হবে বলেও অনেকের অভিমত। শ্রমিক ছাটাই হোক বা না হোক শ্রমিকদের বর্তমানে তাদের ন্যায্য মজুরী পাওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । অনেক বে সরকারী প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। এ নিয়ে অতীতেও অনেক আন্দোলন হচ্ছে ও হবে। কিন্তু খুব বেশী যে ফল হবে এমনটি কখনো দেখা যায় না আর যাবার সম্ভাবনাও আপাতত কম। করোনা শুধুমাত্র আমাদের দেশের সমস্যা নয় বরং পুরো বিশ্ব জুড়ে একটি আতঙ্ক।

একটা সময় ছিলো যখন ভারত, চীন এবং অন্যান্য থেকে কাচামাল যেমন পেয়াজ, রসুন আদা, ধান ইত্যাদি আমদানি করা হতো। কৃষকরা পেয়াজের মৈীসুমে ১০ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি করে , রাস্তায় পিয়াজ ছিটিয়ে প্রতিবাদ করে আরো দাম বৃদ্ধির জন্য আরজি তুলে ধরে তবুও তার সঠিক সমাধান হয় না। কিন্তু বছর শেষে দেখা গেল এই ১০ টাকার পিয়াজ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি কর হচ্ছে। আবার ধানের দাম যখন ১০৪০ টাকা ঘোষণা দেবার পরও প্রকৃত কৃষক কারা তা নির্ধারণ করার অভাবে তার সাঠিক বিক্রি বা বিপনণ সম্ভব হয় না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়েই ক্ষতিতে ধান বিক্রি করে। এমন ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই কৃষকদের হতাশ করে। একটা সময় শুনা যেত খাদ্যের প্রয়োজনীয় মজুত আছে। কিন্তু পেয়াজ নিয়ে যা হয়েছে তাতে তার আর ভিত্তি থাকে না।

দেশে একদিকে কৃষকরা ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে না পেরে আন্দোলন করে আর অন্য দিকে ভারত থেকে ধান আমদানি করা হয় । দেশের কৃষকদের কৃষির মূল্য না দেবার ফলে আজ কিছু কুফল ভোগ করতেই হবে। কৃষি ও কৃষকদের উপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। তার কিছু বোঝা টানাতেই হবে এখন। পবিত্র মাস রমজান ঘিরে যখন অন্যান্য দেশে পণ্য মূল্য কমানো হয় তখন এদেশে তা বৃদ্ধি করার ঘৃণা প্রবণতা দমানো সম্ভব হয় না। একদিকে খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে নিজের মুনাফা বাড়ানো হয় অন্যদিকে ধর্মের নাম করে কিছু দান খয়রাত করে তা ঢাক ঢোল পিটিয়ে তা প্রচার করা হয় । সাধারনকে ধর্মে কথা বলে সহজেই বশ করা যায় বলে অনেকেই ঘৃণিত পন্থায় মহৎ কাজ করার চেষ্টা করে লোক দেখানো মহৎ হবার প্রচেষ্টা চালায়।

অর্থনীতি বা সামগ্রিক উন্নতির পথে খারাপ কাজ ঢেকে রাখার জন্য লোক দেখানো ভালো কাজ বাধা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ চলতি অর্থ বছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবার কথা ৪৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা টাকা কিন্তু ৬ মাসের ( জুলাই- ডিসেম্বর ) মধ্যেই প্রায় ৪৮ হাজার ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। গত ১৮-১৯ অর্থ বছরে সরকারের ব্যাংক থেকে ধারের পারিমাণ ছিলো ৩০ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। এই অর্থ বছরের মাত্র ৬ মাসেই ধার সহ ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১১১কোটি টাকা। প্রত্যেকটি ব্যাংকের তারল্য সংকট,বিদেশে পাচার করা টাকা ইত্যাদি দেশ ও দেশের জনগণকে বড় ধরণের বিপদে ফেলার জন্য উপযুক্ত কারন।

আরো লজ্জার আর হতাশার বিষয় হলো বর্তমানে করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে যে ত্রাণ কাজ চালানো হচ্ছে তার মজুদ যখন অসৎ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসছে। এমন কাজ যে কোন জাতির জন্য লজ্জার ও জাতির পিছিয়ে পড়ার জন্য যতেষ্ট । কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো এর চেয়েও ঘৃণিত কাজ গোচরে বা অগোচরে ঘটে যাচ্ছে কিন্তু তার কোন সঠিক মোকাবেলা করা হচ্ছে না।সত্য প্রকাশ করার পর যখন সাংবাদিক ও পত্রিকার নামে মামলা হয় তখন অন্য সাংবাদিকদের তা সাহসী থেকে ভীরু হতে উৎসাহিত করে।এমন কাজ পরোক্ষ ভাবে বাক, ভাব বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে কোন না কোন ভাবে খাটো করে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ তার যে কোন সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে। চিকিৎসা খাত ও কর্ম খাত যদি যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে থাকে তাহলে যে কোন ধকল কাটিয়ে উঠা সময়ের ব্যপার মাত্র। দ্বায়িত্ববান আর প্রকৃত রাজনীতি বীদ হলে দেশের সংকটময় মুহূর্তও আশির্বাদ হয়ে আসতে পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে সম্ভাবনা ময় খাতকে নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষা খাত বাস্তবমুখী না হলে কোন খাতকে তার যোগ্যতার আসনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। শিক্ষার সমস্যা আজ অন্যান্যা ক্ষেত্রেও বিশেষ সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই কৃষি এবং কৃষকদের প্রতি নজর দেয়া উচিত ছিলো। কিন্তু তা না করে করেছি উল্টো টা।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার কথা থাকলেও নানা ভাবে কৃষি ও কৃষকদের বঞ্চিত করে তাদের বুঝাচ্ছি যে কৃষি কাজে সম্মান, অর্থ বা নিরাপদ জীবনের কোন নিশ্চয়তা নাই। কৃষি, কৃষক ও কৃষক পরিবার তাদের অর্থনৈতিক সংকটের মত পরিচয় সংকটে ভুগছে। এই পরিচয় সংকট দেশে কৃষি পণ্য যতেষ্ট উৎপাদনে বাধা হয়েছে ও নতুন কৃষক সৃষ্টিতে প্রধান অন্তরায়। পাশাপাশি দেশের অনুৎপাদনশীল আয় খাতগুলো যে দেশকে হুমকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে তার দিকেও কোন নজনদারী নাই । যদি এমন চালাতে থাকে তাহলে সামনে এমন কিছু ঘটেবে যা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত থাকবো না আর তাই তা সামাল দিতেও পারবো না। পূর্ব থেকেই আমরা কৃষক ও কৃষির ক্ষতি করে চলছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই সমস্যা নতুন রুপে হাজির হয়েছে।

আমদনী রপ্তানী বাণিজ্য কমে গেছে। মানুষের অন্য দিক থেকে আয় কমে গেছে। এখন কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়ছে কিন্তু কৃষির মূল্য বাড়ছে না। অনেকের কাছে কিছু জমানো অর্থ আছে তা শেষ হয়ে গেলে পুরো সংকটের ভিতর দিয়ে যেতে হবে। গরীবরা সাহায্য পাচ্ছে তাও তো ছাইয়ে ঘি ঢালার মত অবস্থা । হত দরিদ্রে একটা বিরাট অংশ বঞ্চিত আছে মধ্যবিত্তদের কথা না হয় বাদ থাকলো । তবে এদের সামান্য কিছু পুজি শেষ হয়ে গেলে এরাও আহাজারি করতে বাধ্য । একটা সময় উত্তরবঙ্গে মঙ্গা ছিলো একটি স্বাভাবিক ঘটনা। গামেন্টর্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করার জন্য বিশেষ কোন যোগত্যার দরকার না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণে শিশু, কিশোর ও যুবক সেখানে কাজ করে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছিলো তেমন পরিবারেও আশা জাগিয়েছিলো কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সম্ভাবানার জায়গাকে নষ্ট করছে। অনেকেই গ্রামে এসে অলস জীবন যাপন কারছে। এদর অবস্থা এমন এরা অন্য কোন কাজ করার সমর্থ্য নষ্ট করে ফেলেছে। সবচেয়ে বড় কথা অন্য কোন কাজের প্রতি তাদের মানসিকতা নাই বিশেষ করে কৃষি কাজের প্রতি। একজন কৃষকও আর কৃষি পেশার সাথে যুক্ত থাকতে চায় না।

দেশের ভিতরও করোনা পরিস্থিতিতে পণ্য পরিবহন খুবই সীমিত হয়েছে। আগে বাজার একটা নিদৃষ্ট স্থানে বসত এখন দেখা যায় প্রায় প্রত্যেক গ্রামে সময়ের প্রয়োজনে নির্দৃষ্ট রাস্তার মোড়ে বাজার বসছে। সেখানে যেমন স্বানীয় উৎপাদিত পণ্য পাওয়া যায় তেমনি চালানের পণ্যও পাওয়া যায় সীমত পরিসরে। স্থানীয়Nurunnobi Islamস্থানীয় ভাবে উৎপাদিত পণ্য বাজার জাত করা যাচ্ছে না বলে অনেক পণ্য মূল্য অনেক কমে গেছে। যে পণ্য যে স্থানে বেশী উৎপাদন হচ্ছে সে অঞ্চলের মানুষ এখন সে পণ্য খুবই কম দামে পাছে। যেমন দেখা যায় অনেক এলাকায় ডিমের হালি এখন ১২ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।কিছু দিন আগেও যেখানে ডিমের হালির মূল্য ছিলো ৩৫-৪০ টাকা । শুধু ডিমের ক্ষেত্রেই নয় অন্যান্য স্থানীয় পণ্যের মূল্য তার পযাপ্ততার জন্য কমে গেছে। বর্তমানে কিছু দিনের মধ্যেই ধান কাটাই এবং মাড়াই করার সময় আসবে। কিছু অঞ্চলে বাইরে থেকে শ্রমিক না গেলে তারা একাই এসব কাজ করতে পারবে না। যেহেতু যাতায়াত ব্যাবস্থা বন্ধ তাই শ্রমিক সংকট কাটাতে কোন ব্যবস্তা নেয়া যায় কিনা তার বিষয়ে কোন সুনির্দৃষ্ট পরিকল্পনা এখনো করা হয় নাই। শ্রুমিক ও পণ্য বিপনণ নিয়ে যতেষ্ট কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে কৃষির প্রধান ব্যার্থতা হলো এই সম্মানজনক এ পেশায় নতুন কোন কৃষক বা কৃষি শ্রমিক যে হারে যুক্ত হবার কথা তা হচ্ছে না।

এটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ভোগাবে আর আমাদের ভুগতেই হবে। বর্তমানে পরিবহন সংকটের কারনে ও খাদ্য মজুদ রাখার কাচামাল মজুদ রাখার ব্যবস্থার অভাবে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । এমনিতেই দেশের উৎপাদন সমস্যা তার উপর যদি এমন চলতে থাকে তাহলে তথাকথিত উচু থেকে নিচু প্রত্যেক প্রত্যেক গোষ্ঠীকেই ভুগতে হবে। ধানকাটা বর্তমানে রাজনীতির গুটি বাজিতে পরিণত হয়েছে। সরকারী অনুদান, সরকারী সেবা ও অন্যন্যা বিষয়গুলো তো অনেক আগে থেকেই রাজনীতির গুটি হয়ে আছেই।ধীরে প্রত্যেকটি কাজ যদি রাজনীতির গুটিবাজির স্বিকার হতে থাকে তাহলে তাতে দেশের দেউলিয়াত্ব আর অব্যাবস্থাপনা প্রকাশ পাবে। শ্বাস-কষ্ট হলে সারাজীবন যদি শুধু অক্সিজেন দিয়ে রাখতে হয় তাহলে সে মানুষ কি আদেী কোন উপকারে আসে।বড় সমস্যার ছোট সমাধান করে সমস্যা দমিয়ে রাখলে তার ফল অবশ্যই ভালো হবে না। যার শরীরে ঘা হয়েছে তার শুধু যদি ব্যাথা কমানোর ঔষুধ দেই ঘা কমানের ঔষুধ না দেই তাহলে আজ হোক কাল হোক সে মরবেই ।

আমরা ব্যাথা কমানোর ঔষুধ দিয়ে আর বেশী দিন চলতে পারবো না । সাবধান হওয়া জরুরি। ভালো কাজ প্রচার করে তা যদি উৎসাহ সৃষ্টি করে তাতে হয়ত সমস্যা নেই ।কিন্তু সমস্যা তো অবশ্যই আছে। আপনি একজনের উপকার করে গেলেন প্রচার করে গেলেন । কিন্তু বাকী ৯৯ জনের কি হবে সেটি নিয়ে ভাবলেন না ।এতে করে বাকীরা আরো সমস্যায় পড়ে। এমনর কাজ করতেও সাংগঠনিক কিছু দ্বায়িত্ব আসে সাংগনিক দ্বায়িত্বহীনতা প্রকাশ করে ব্যাক্তিবাদ যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুভ হয় না।

কৃষিতে সংকট যেগুলো , ১. কৃষি কাজ অধিক শ্রমের ব্যায়ের কিন্তু তার থেকে প্রাপ্তি অনেক কম। ২. অধিকাংশ কৃষক ২য় পেশায় নাই বলে তাদের আয় সীমিত কিন্তু ব্যায় সীমিত নয় ৩. ফসল প্রাপ্তি পূর্বে তারা একটা বড় সময় অলস ভাবে নষ্ট করে। ৪. তারা রাজনীতি বা ধর্ম ভালোবসে তার সঠিক উপকার পায় না বরং ব্যবহৃত হয়। ৫. কৃষি কাজে শ্রমিক সংকট। ৬. কৃষি কাজে মজুদ সমস্যা। ৭. কৃষি কাজে ঋণ সমস্যা। ৮. কৃষি কাজ সুপরামর্শের অভাব ৯. সামাজিক ও অর্থনৈতিক কোন নিরাপত্তা নাই ১০. বিপনণ ব্যবস্থা খুবই বাজে ইত্যাদি। কৃষিতে বর্তমানে বিশেষ জোর দেয়া উচিত আর কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা আশু দরকার। এমনিতেই এখন কৃষি কাজের গুরুত্ব বাড়াতেই হবে। না চাইলেও কৃষির প্রতি গুরুত্ব দিতে বাধ্য হতে হবে ।

কিছু ব্যবস্থা এখন থেকেই গ্রহণ করলে অনেক বড় ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। ১. প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর চিন্তা না করে কৃষি, কৃষক ও কৃষি শ্রমিক তৈরী করতে হবে। ২. সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন বৃদ্ধি না করে বরং সরকারী আয়ের খাত বাড়াতে হবে ও তাতে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। ৩. ১৮ বছর থেকে বাধ্যতামূলক মাঠে বা কলকারখানার কাজে প্রজন্মকে নিয়োগ করতে হবে। ৪. ইতিহাস ভিত্তিক পড়াশুনা থেকে বের হয়ে কাজ ও কর্মী হবার সিলেবাস গঠন করতে হবে। ৫. কৃষিকে ও কৃষি শ্রমিকদের জন্য সরকারী বরাদ্দ হাতে হাতে দিতে হবে। ৬. বাজার ও বিপনণ ব্যবস্থা মজবুত করতে হবে। ৭.থানায় বা উপজেলায় কি পরিমাণ উৎপাদন হয় তার উপর ভিত্তি করে সংরক্ষণাগার তৈরী করতে হবে। ৮. কৃষির সাথে সংশিষ্ট যে কোন কাচামাল সহজ লভ্য ও সস্তা করতে হবে। ৯. কৃষকদের কৃষি কর্মকর্তার সাথে মাসে কমপক্ষে একবার আলোচনার ব্যবস্থা থাকবে। ১০. কৃষকদের বাড়ি তৈরীর বিষয়ে সরকারী সহযোগিতা দিতেই হবে। নতুন নতুন বাড়ি করে আবাদী জমি যেন নষ্ট না হয় তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বহুতল বাড়ি নির্মাণ করে অনেক পরিবারের বসবাস নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে অনেক আবাদী জমি তৈরী করা সম্ভব। ১১. কৃষকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা করতে হবে। সামরিকখাতে ব্যায় কমাতে হবে। ১২. কৃষকদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক করে সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. কৃষকদের শিক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে আরো অনেক ব্যবস্থা নিতে হবে। বড় রকমের বিপদ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পারবে এর কোন বিকল্প নেই।

শহর পুড়লে যেমন দেবালয় এড়ায় না তেমনি দেশের উপর কৃষিতে কোন সমস্যা হলে তা যে কোন শ্রেণী পেশার মানুষকে ভোগাবে এবং ভালোভাবেই ভোগাবে। কৃষি, কৃষক ও কৃষি শ্রমিক সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সংকেত দিচ্ছে । এই সংকেত বুঝে কাজ করা অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মধ্যে সর্বাধিক উপকারী হবে।

লেখকঃ নূরুন্নবী সবুজ, আইন বিশ্লেষক ও কলামিষ্ট। mdnurunnobiislam379@gmail.com 01774140422

আপনার মতামত লিখুন :

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj