ফাইজুল্লাহ ফয়েজ
গত ২৬ শে মার্চ থেকে ই সারাদেশে সরকারি বেসরকারি সকল অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তবে জরুরি সেবা সমূহ বন্ধের আওতামুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট সহ সারাদেশে আদালত ও বন্ধ রয়েছে, অন্যদিকে চলছে লকডাউন। স্বাভাবিক অবস্থায় সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার সমূহ লঙ্ঘিত হলে তা বলবৎ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার ও মানুষের মৌলিক অধিকার। তবে জরুরি অবস্থা জারি হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ মূলে সকল মৌলিক অধিকার অথবা কিছু মৌলিক অধিকার স্হগিত থাকতে পারে।
বর্তমানে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি তবুও Right to movement, freedom of association, right to enforcement of fundamental rights সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক অধিকার স্হগিত হয়ে আছে, এটা কি ঠিক হচ্ছে, নাকি হচ্ছে না, এটা আলোচনার বিষয়। জরুরি অবস্থা জারি করার মতো অবস্থা বর্তমানে হয়েছে কিনা এটাও আলোচনা হচ্ছে, দুই দিকেই মতামত পাওয়া যাচ্ছে, তবে আমি মনে করি ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ গোলোযোগ এর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিকে চিন্তা করা করা যায় এবং জরুরি অবস্থা জারি করা যায়, অন্যথায় সরকারের অনেক কার্যক্রম ই অবৈধ হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট বসছে না তাই মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হলেও মানুষের জন্য কোন ফোরাম নেই, অন্যদিকে অধস্তন আদালত বন্ধ তাই জরুরি আইনগত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। এঅবস্থায় আমার কয়েকটি প্রস্তাব হচ্ছে:
১. সুপ্রিম কোর্টে একটি জরুরী রিট বেঞ্চ চালু করা যেখানে এফিডেভিট ছাড়াই জরুরি বিষয় আদালতের নজরে আনা যাবে আদালত যদি জরুরি মনে করেন তবে টেলিকনফারেন্সে শুনানি করে আদেশ অনলাইনে আপলোড দিবেন।
২. ভার্চুয়াল আদালত চালু করা যেখানে ইমেইল এ পিটিশন দায়ের করা যাবে এবং ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি করা যাবে।
৩. অধস্তন আদালতে ইমেইল এ কম্পলেইন্ট পিটিশন ও বেইল পিটিশন দায়ের করার সুযোগ করে দেয়া, কোন আসামি গ্রেফতার হলে তাকে যখন প্রডিউস করা হয় তখন ই জামিনের গ্রাউন্ডস দেখা প্রয়োজনে টেলি কনফারেন্সে বা ভিডিও কলে শুনানি করা।
৪. সকল আদেশ অনলাইনে আপলোড করা এবং অনলাইনের মাধ্যমে ই আপাতত জামিন, এ্যারেস্ট সহ জরুরী ফাইলিং গ্রহন করা।
লেখকঃ ফাইজুল্লাহ ফয়েজ, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট ও লেখক ।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত।