নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার আওতা বাড়ানোর পর একদিনেই নতুন করে নয়জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০ জন। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক দিনে নতুন রোগীর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে দেশে নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সর্বশেষ এই পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এখন পর্যন্ত দশটির মত জেলায় করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যতদূর জানা যায়, ছুটিকালে বিশেষ করে বর্ধিত ছুটিকালে কিভাবে ম্যাজিস্ট্রেটদের (vacation) দায়িত্ব বন্টণ করা হয়েছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
আমার ধারনা অধিকাংশ জেলায় সীমিত আকারে বিজ্ঞ (vacation) ম্যাজিস্ট্রেটগণ কাজ করছেন। সাধারণ ছুটি আরও বাড়ানোর বিষয়ে কোন আভাস পাওয়া যায়নি। তবে আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেলে ( আল্লাহ না করুক) সরকার নিশ্চয়ই যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অনেক তরুন আইনজীবী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাচ্ছেন যে, আদালত বন্ধ থাকায় তাঁদের আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে।তার চেয়েও বড় কথা, আদালত বন্ধ থাকায় অনেক জরুরী ও গুরুত্বপূর্ন বিষয় শুনানী কিংবা নিষ্পন্ন হচ্ছেনা।
পরিস্থিতির কারণে যদি সাধারণ ছুটি আরও দীর্ঘায়িত হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কি করনীয় তা চিন্তা ভাবনা করা দরকার। বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগ বিচারক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সকল বিচারক বিচার কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে চান বলেই আমার বিশ্বাস। তাই সাধারণ ছুটি বাড়লেও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম কিভাবে সচল রাখা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
বিচার প্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ কমাতে বিচার কাজে তথা দেশের সকল আদালতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহরের বিকল্প নাই। সরকার অন্যান্য বিভাগের সাথে তাল মিলিয়ে বিচার বিভাগকে যদি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করতো তাহলে করোনা সংকটে ছুটির মেয়াদ বাড়লেও ঘরে বসে বিচারকগণ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচার কাজ সমাধা করতে পারতো। তাতে বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হতো।
লেখকঃ বিচারক, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস