শখের জিনিস কিনতে মানুষ অনেক কিছুই করে। কিন্তু তাই বলে নিজের সন্তান বিক্রি! এমন লজ্জাজনক, অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুরের তিনাকাল গ্রামে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কর্ণাটকের মহিলা এবং শিশু সুরক্ষা দফতর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।
আটক করা হয়েছে শিশুটির মাকে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক তার বাবা। সে পেশায় জনমজুর।ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮ জানায় , জন্মের পরেই মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষেছিল বাবা-মা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা কোনোভাবে জেনে ফেলায় প্ল্যান বাতিল হয়ে যায়। যদিও তক্কে তক্কে ছিল দুজনেই। যোগাযোগ রেখেছিল দালালের সঙ্গে। সুযোগ ডিল ফাইনাল হয়। শেষপর্যন্ত নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে ১ লক্ষ টাকায় মেয়েকে বিক্রি করে দেয় দম্পতি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎই দম্পতির দৈনন্দিন আচরণে বদল আসে। একদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৫ হাজার টাকার ফোনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নতুন বাইক কেনেন। আর তাতেই সন্দেহ হয় সকলের। এরপরেই তাঁরা লক্ষ্য করেন শিশুটি বাড়িতে নেই। এরপরেই পুলিশে খবর যায়।পুলিশ গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এলাকায় যায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। জেরা করা হয় শিশুটির মা’কে। তাতেই ভেঙে পড়ে সে। স্বীকার করে নেয় মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা। তবে ওই মহিলা জানিয়েছে, সে মেয়েকে বিক্রি করতে চায়নি।
স্বামী মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল ক্রমাগত। তাই বাধ্য হয়েই এই কাজে সম্মতি জানিয়েছিল সে। এ দিকে, মহিলার স্বীকারোক্তির পরে মামাচ্ছানাহাল্লির বাসিন্দা নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
আপাতত হোম রয়েছে সেই সদজ্যাত সন্তান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েকে নিজের কাছে ফেরৎ চেয়েছে ওই মহিলা। যদিও বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।