সব
facebook apsnews24.com
বিসিএস বিরক্তি, বৃথা শ্রম ও জাতীয় সমস্যা। - APSNews24.Com

বিসিএস বিরক্তি, বৃথা শ্রম ও জাতীয় সমস্যা।

বিসিএস বিরক্তি, বৃথা শ্রম ও জাতীয় সমস্যা।

ডাক্তারি পড়া শেষ, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ বা অন্য যে কোন বিষয়ে পড়া শেষ করে দশের কাছ যে কথাটি শুনতেই হবে বিসিএস প্রস্তুতি কেমন?  বিসিএস কয় বার দেয়া হয়েছে, দেয়া হলে হচ্ছে না কেন? বিসিএস না হলে তো জীবনটাই বৃথা। বিসিএস হচ্ছে না তার মানে মেধা নাই, পড়াশুনার কোন দাম নাই জীবনটা অন্ধকার।

বিয়ের জন্য পাত্রী খুজছেন। ছেলে বিসিএস ক্যাডার বা সরকারী চাকুরী করে মেয়ের বাবা-মা হুমড়ি খেয়ে পড়বে বিয়ের জন্য। ছেলে বে-সরকারী চাকুরী করে বা উদ্যোক্তা মেয়ের পরিবার শুনেই নাক ছিটকানো শুরু করবে বলবে এই পরিবারে বিবাহ .দেয়া যাবে না। কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন কিন্তু আপনার সরকারী চাকুরী নাই বিধায় বিবাহ হবার সম্ভাবনাও তৈরী হচেছ না।

১ম শ্রেণী থেকে আপনি যে পড়াগুলো পড়েছেন সরকারী চাকুরীর জন্য বা বিসিএস পরীক্ষার জন্য তা আবার নতুন করে পড়তে হবে। অনেক ক্ষেত্র্রে অনার্স মাস্টার্স পড়া শেষ করার পরও মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের অংক, বিজ্ঞান  বা সমাজ না পারার কারনে চাকুরী হয় না ও এই হতাশায় অনেকের আত্মহত্যার মত ঘটনাও যে ঘটে। দেশে মেধাবী সংকট নাই কিন্তু মেধার বিকাশে পরিবেশ সংকট জাতীয় বড় বড় সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। যেখানে গিয়ে উচ্চ স্তরের পড়াশুনা ও কাজ করা দরকার সেখানে চিন্তা ও কাজের মান হচ্ছে নিম্নমুখী।

বিসিএস দিতে গেলে বা সরকারী চাকুরী করতে গেলে আপনাকে এমন কিছু পড়া পড়তে হবে যার বাস্তবমূল্য নাই বললেই চলে। আবার যে চাকুরীতে যোগদান করা হবে তার সাথেও তার কোন যোগসূত্র খুজে পাওয়া মুসকিল। যে জ্ঞান কারো ভিতর আলো না হয়ে অন্ধকার তৈরী করে তার মূল্যায়ন সমাজ ও সমাজের মানুষ কিভাবে করে তা গুরুত্ব দিয়ে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। পড়াশুনা যদি বুঝ না হয়ে বোঝা হয় তার ভার শুধু ব্যক্তির উপর পড়ে না বরং রাষ্ট্রের উপরও আসে।

একটানা বিসিএস পড়াশুনা করার পর বাইরের জগৎ ত্বাত্তিক হয়ে উঠে। সে মানুষটা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনে হাত মেলাতে অভ্যস্ত হয়। আজকে দেশে সাহেদ বা সাবরিনার মত হাজার হাজার মেধাবী আছে যারা সুকাজের চেয়ে কুকাজে সময় ব্যয় করে ও দেশে ও দশের মঙ্গলের কথা বলে অমঙ্গল করে। শিক্ষা পদ্ধতি ও জীবন মান নির্ধারণে যদি সমস্যা থাকে তাহলে এমন অপকর্মগুলো অবশ্যই বেড়ে যাবে। এদের থামানোর জন্য সামাজিক স্থর ও সামাজিক নিরাপত্তায় বিশেষ পরিবর্তন আনা জরুরী। আর শিক্ষার পরিবর্তনের বিষয়টি তো একবাক্যে যে কোন বিশিষ্টজন স্বিকার করবেন।

দেশের নীতি নির্ধারণে নির্বাচিত প্রতিনিধির যেমন ভূমিকা আছে তেমনি ভূমিকা আছে আমলাদের। একজন ব্যাক্তির যদি টাকার বিনিময়ে চাকুরী হয় বা তার যদি সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য চাকুরী না থাকে প্রমোশন আটকে যায় তাহলে সে অপরাধ কর্ম করবেই। বাংলাদেশের মত একটি দেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভূমিকা আছে। যে কোন অন্যায় ও অবিচারে তারা তাদের নৈতিকথা ও সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যদি এক না হতে পারে তাহলে পুরো দেশের জনগণকে তার ভুক্ত ভোগী হতে হবে ও তার প্রমাণ বাস্তবতায় দৃশ্যমান।

যে সমাজে অন্যায় ন্যায়ের স্থান দখল করে নেয় তা নিমূর্লে যেমন রাজনৈতিক দল ভূমিকা রাখতে পারে তেমনি রাখতে পারে সঠিক দেশপ্রেমিক আমলাগণ সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুনাগরিকগন। তাদের ভিতর যদি গলদ থাকে তাহলে তারা  নিরাপদ জীবনের চিন্তা করে সত্য ও ন্যায়ের পথে দাড়াবে না। দেশের ভিতর দেশীয় বা আন্তর্জাতিরক সমস্যায় আমরা মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যামিকের সিলেবাস শেষ করে চাকুরী পাওয়া তাই সরকারী চাকুরীজীবীদের কোন ইস্যুতেই মাঠে থাকা বা জনগণের মঙ্গল হয় এমন কাজ করতে যে শক্তি সাহস জ্ঞান আর নৈতিকথা দরকার তা গড়ে উঠে না।

বিসিএস প্রস্তুতির জন্য যে পরিমান বই কিনতে ও মুখস্ত করতে হয় পাশাপাশি কোচিং বা প্রাইভেট নিয়ে যেভাবে অনার্স মাস্টার্স পাস করার পরেও একজন ছাত্র-ছাত্রীকে দেীড়াতে হয় তা দেখলে মনে হবে তারা কোন বিশ্ব যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হওয়া উচিত নতুন কিছু তৈরী করা সেখানে কিছু কিছু বিষয়ের ছেলে মেয়ে শুধু বিসিএস দেবার আশায় বিশ্ববিদ্যালয় বা অনার্স পড়ে। অনেক বিষয়ে গভীর গবেষণার সুযোগ থাকলেও তাতে সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক স্বিকৃতির অভাবে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে করতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষা পদ্ধতিতে গলদ থাকার কারনেও বিশ্ববিদ্যালয়ে  এসেও অনেকে বিশ্বমানের মন ও সৃজনশীলতা তৈরী না করে বরং বিসিএস মন মানসিকতা তৈরী করে।  এই মন মানসিকতা আভ্যন্তরীণ হতাশা ও নৈতিকথার স্খলন যে ঘটায় না তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে গবেষণা পত্র নিয়ে শিক্ষকদের সামনে আসার কথা সেখানে আমরা দেখি শিক্ষকদের নারী কেলেঙ্কারী ও বদনাম নিয়ে সবার সামনে হাজির হতে। বিষয়টি শুধুমাত্র লজ্জার নয় বরং দূর্ভোগের। এর থেকে বেরিয়ে আসা কর্তব্য।

৪১তম বিসিএসে আবেদনকারী ৪ লাখ ৭৫ হাজার। যা অনেক দেশের জনসংখ্যার সমান ও অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশী। বিষয়টি নিয়ে নানা ভাবে আলোচানা ও সমালোচনা হতেও দেখা যায়। হয়ত এদের ভিতর সবাই বেকার নয়। কেউ কেউ ফুল টাইম আর কেউ কেউ পার্ট টাইম কোন কাজে জড়িত আছে। তবুও বিসিএসের প্রতি এতো ঝোক ও প্রত্যাশা যে বিষয়টি পরিস্কার করে তা হলো সরকারী চাকুরীর কাছে অন্য সব তুচ্ছ ও বৃথা।

বেকার কি ও কেন এই বিষয়টি নিয়ে নানা বিতর্ক প্রচলিত আছে। অনেকের কাছে ব্যবসা করা কোন কাজ না আবার অনেকের কাছে উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমেও বেকারত্ত ঘোচানো যায় না। এটা অবশ্য বাংলাদেশের অবস্থা। যে খাতগুলো দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে তাতেও প্রজন্মের অনাগ্রহ তৈরী হয়েছে আর তার বিপরীতে বিসিএস বা সরকারী চাকুরী হয়েছে প্রথম পছন্দ। বেসরকারী চাকুরীর অনিশ্চয়তা বা অতিরিক্ত খাটুনির কারনে তা অনেকের কাছেই পছন্দ না। এই মানসিকতা ভবিষ্যেতে উৎপাদন বৃদ্ধি বা কমাতে অবদান রাখবে।

অনেকেই কিছু কিছু কাজ করে তাদের বেকাত্ব সাময়িক ঘোচানোর চেষ্টা করেন বা তাদের পড়াশুনার পর নিজের খরচ নিজে চালানোর কাজ করেন। এক্ষেত্রে আয় হয় অতি সামান্য যা দিয়ে তার নিজের ও পরিবারের ভরণপোষণ করা বেশ মুসকিল।  আর বিসিএস বা সরকারী চাকুরীর জন্য যেহেতু লম্বা সিলেবাসের জটিল পড়াশুনা করতে হয় তাই অনেকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত পড়াশুনায় সময় দিতে না পারায় তার যোগ্য পদে যেতে পারে না।

বিসিএস আজ একটি সমস্যার নাম:

বিসিএস বা সরকারী চাকুরী এখন শিক্ষাকে যান্ত্রিক করে দিয়েছে। যে তার অধিকার ও তার কর্তব্য সমন্ধে সচেতন তাকে বঞ্চিত করা সম্ভব না। যেখানে ৯০ভাগ শিক্ষার্থী শিক্ষার শুরু থেকে স্বপ্ন দেখে ও দেখানো হয় ডাক্তার হবার বিষয়ে সেখানে একটা সময় বিসিএস নামক চিন্তা বাস্তব অবস্থায় যুক্ত হয়ে এই গৎবাধা চিন্তা আরো যান্ত্রিক করে তোলে। নিজেকে চেনার আগে বিসিএস, সরকারী চাকুরী  বা ডাক্তার হবার ইচ্ছা অনেক স্বপ্ন আর সম্ভাবনা মেরে ফেলে। বুঝে না বুঝে ছোট বেলায় ডাক্তার হবার চিন্তা ও পরে বিসিএস চিন্তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সবার উপর।

একজন শিক্ষার্থী যখন সরাসরি তার শিক্ষকের সাথে টিউশন বা অন্য কোন কারনে সরাসরি টাকার লেনদেন করে তখন তা শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই ঘুষ গ্রহণের প্রাকটিশ যে হচ্ছে না তা বলা ভুল হবে না হয়ত। আবার বছরে এতো পরীক্ষা ও ফলাফলের চাপ, মিডিয়ার কুপ্রভাব কোন না কোন ভাবে শুরু থেকেই একজন শিশুকে মিলেমিশে কাজ না করার প্রতি আগ্রহ তৈরী করে যা জাতীয় যে কোন ইস্যুতে সবার একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে সহজেই বাধা তৈরী করতে পারে। আবার অনেক বাবা মা শিশুদের সবার সাথে মিশতে বা কারো সাহায্য নিতে ও কাউকে সাহায্য করতেও দেয় না যা তাদের নেতিবাচক শিক্ষার একটা দিক হয়ে থাকে।

প্রমথ চেীধুরী বলেছেন,. ‘দেহের মৃত্যুর রেজিস্ট্রি রাখা হয়, আত্মার মৃ্ত্যুর রেজিস্ট্রি রাখা হয়না।’ আজ কত শত প্রতিভা ও স্বপ্ন অযত্মে অবহেলায় মৃত্যুবরণ করছে তার কোন হিসাব বা তাকে বাচিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না আমরা। যদি এমন চলতে থাকে তাহলে আত্মাহীন আত্মকেন্দ্রিক যে জাতি সমানে অপেক্ষা করছে তা জাতীয় সমস্যা তৈরী করতে যে খারাপ ভুমিকা রাখতে পারে সে ভয় পাওয়া উচিত।

শিক্ষিত হয়েও কেউ আর সামষ্টিক অধিকার নিয়ে ভাবতে ও কাজ করতে চায় না। রাজনৈতিক যে জ্ঞান আর প্রজ্ঞা রাখা দরকার তা তৈরী না করার ফলে প্রতিবাদ গুলো হয়ে উঠে পানসে। একটা চাকুরী যখন জীবনের লক্ষ্য হয় তখন জাতীয় বিষয়গুলোর গুরুত্ব বুঝতেও সমস্যা হয়। কেউ ভুক্তভোগী হলে তা পাশ কাটিয়ে গিয়ে নিজের চিন্তা করার মন্দ অভ্যাস অভ্যাস হয়ে যায়। এই বাজে অভ্যাস সবাইকে ভোগায় কিন্তু ভুক্ত ভোগীদের এক করে একতার শক্তি তৈরী করে ইতিবাচক পরিবর্তনে কাজ করাতে পারেনা।

বিসিএস বা কর্ম ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন অবশ্যই জরুরী:

অর্থনীতির জনপ্রিয় একটি কথা হলো সীমিত সম্পদের মধ্যে অসীম অভাব পূরণের চেষ্টা করতে হবে। সকলের সুবিধার্থে যদি কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান করার জন্য দৃশ্যমান কিছু কাজ করা হয় তাহলে পুরো দৃশ্যপট পরিবর্তনে তা ভূমিকা রাখতে পারবে।

১, বিসিএসকে করতে হবে গবেষণার একটি প্লাটফরম। যার গবেষণা যত বেশী উন্নত হবে সেই বিসিএস টিমে কাজ করতে পারবে।

২. সরকারী চাকুরীতে ঢোকার আগে সবাইকে বেসরকারী চাকুরীতে বধ্যতামূলক কাজ করতে হবে। বেসরকারী চাকুরীতে কাজের মান আন্তুরিকতার মাধ্যমে সে প্রমোশন পেয়ে সরকারী চাকুরী পেতে পারে।

৩, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফলাফল দেখে নয় বরং তাদের জ্ঞানের মাধ্যম দেখে হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজিরা খাতার বা শিক্ষকের হাতের নাম্বার বাদ দিতে হবে।

৪, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গবেষণাপত্র দেখার জন্য প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে গবেষক প্যানেল তৈরী করতে হবে।

৫. ইতিহাস ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করে কর্ম ও গবেষণামুখী শিক্ষার কাঠামো প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে।

৬. কর্ম হিসেবে যে কাজগুলো আমরা সম্মান করি না তার সমস্যা দূর করে তাকে জনপ্রিয় করতে হবে।

৭. চাকুরীর পরীক্ষা পদ্ধতি বাদ দিয়ে বরং তার অধ্যায়নরত বিষয়ের গবেষণা ও কাজ দেখে নিয়োগ করতে হবে।

৮. সকল নাগরিকের জন্য অবসর কালীন সময় নিরাপদ জীবনের জন্য সকল প্রকার আর্থিক ও সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নূরুন্নবী সবুজ
আইন বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।
MDNURUNNOBIISLAM379@GMAIL.COM

আপনার মতামত লিখুন :

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj