মানব সম্পদ উন্নয়ন/ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে মন চায়।একবিংশ শতাব্দীতে এসে সবই যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে,পচন দেখা দিচ্ছে সব সেক্টরে, হিমশিম খাচ্ছে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। পিএসসি,বিসিএস,ক্যাডার,ননক্যাডার,চুক্তিভিত্তিক,স্বায়ত্তশাসিত,কর্পোরেট,বেসরকারি,পাবলিক, প্রাইভেট,এনজিও,কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেন সবাই কথিত দেশ/জনসেবার নামে লুটেপুটে খাচ্ছে পুরো দেশটাকে। এখন ই সময় লাগাম টেনে ধরার,একটা বড় পরিবর্তনের। সরকার,সরকারি কর্মকমিশন ও মানব সম্পদ বিশেষজ্ঞদের ভাবতে হবে সব নতুন করে। অযোগ্য ও অপেশাদার সবাই লবিং ও তেলবাজী করে মহাপরিচালক/সচিব/সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ পাবে। যোগ্য ও পেশাদারীত্বের কোন বালাই থাকবেনা,তাই পেশাদারীত্ব অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী সচিব পদ/সমমানের পর চৌকষ না হলে পদোন্নতি বন্ধ অথবা কোটা বাতিল করে সব জেনারেল ক্যাডার এর বাৎসরিক গোপনীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী সমন্বিত বা একত্রীভুত করে পদায়ন করলে সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে,আর একটা কথা যারা বিজ্ঞান(ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,কৃষি,ফলিত,পদার্থ,রসায়ন,পরিসংখ্যান,জীব সহ সব বিষয়) পড়ে তারা যদি বিষয় এর বাহিরে চাকুরী করে তা হলে রাস্ট্রের এত টাকা খরচের কি দরকার? রাস্ট্র কি উপকার পাবে? আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি,তখন স্যাররা বলত,তোমাদের কাজ গবেষণা করা,আর বিজ্ঞান বিষয়ে যারা পড়াশোনা করে তাদের একটা বিষয়ও কি আছে যাহা সিভিল সার্ভিস সম্পর্কিত? অন্য বিষয়ে অনেকটা/কিছুটা জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় সবসময়ই মনে হতো হয়তো গবেষণা, নয়তো শিক্ষকতা। কৃপণতা নয় সব উজার করে জাতি গঠনের দৃঢ প্রত্যয়।বিধি বাম পরিবার,সমাজ ও রাস্ট্রের স্বীকৃতি,মূল্যায়ন এবং দৃষ্টিভঙ্গীর কারনেই রাস্ট্রের কোটি টাকার খরচ করা আমরা,বিবেকের কাছে অসহায় ও ধাপে ধাপে বিচ্যুত হতে থাকি,শুধু মাত্র নির্বাহী ক্ষমতা ও লোভের কাছে!আমরা এখন এমন এক জায়গায় অাছি,যেখানে পড়ালেখার হয়তো কোন মিল নেই।আমাদের মধ্যে যারা ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে তাদের উকিল/শিক্ষক হলে দেশের কোন ক্ষতি নেই,যে যার অবস্থানে থেকে সৎ এবং পেশাদারীত্ব দেখালেই হলো।দেশ এগিয়ে যাবে,কিন্তু হতাশা কি জানেন,সবাই নিজেকে এগিয়ে নিতে এখন খুবই ব্যস্ত ও পারদর্শী।আমাদের দেশে যে আইন পড়ে না,জানেনা শুধু প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে চালায় মোবাইল কোর্ট,যা পরে ৯০%ভুল প্রমাণিত!যা নিয়ে উচ্চ আদালতও হতাশ,কে বলবে এইসব কথা!পড়াশোনার সাথে চাকুরির কোন মিল নেই।ল্যাব এর ছাত্র মাঠে,মাঠের ছাত্র অর্থে,সবই হ-য-ব-র-ল,তাহলে রাস্ট্র সেবাটা পাবে কিভাবে?পেশাদারীত্ব এবং বিষয় এর প্রভাব/আচরন কি এমনিতেই চলে আসবে? মনে রাখবেন এক দশকেই এর প্রভাব পড়বে,এখনই ভাবা ও পরিকল্পনা করা উচিত সরকার/রাস্ট্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগকে,কেমন হবে আগামীর বাংলাদেশ।সব সংকটেই কিআমরা চেয়ে থাকব প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দিকে?না নিজেদেরই থাকবে এক বিশাল মানবসম্পদ,যাদের মুল-মন্ত্র টেকসই উন্নয়নের যুতসই বহুমাত্রিক সক্ষমতা।ধন্যবাদ ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন মজুমদার(রিটু)
শিক্ষক ও গবেষক,
২৮তম ব্যাচ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।