লকডাউনে প্রয়োজনে সব আদালত ভার্চুয়ালি রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ফেসবুক পেজে এক লাইভে তিনি তার মতামতের কথা জানান।
এর আগে রোববার এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ব্যবস্থার কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। যিনি একইসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে সাতদিনের দেয়া নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগে চেম্বার জজ আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগে চারটি বেঞ্চ ভার্চুয়ালই চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এছাড়া প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক বলেন, রোববারের সিদ্ধান্তের (প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনার পর) পরিপ্রেক্ষিতে আজকে থেকে সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ এবং সারা দেশে শুধুমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কার্যত আমাদের এ পেশা এবং বিচার কার্যক্রম অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রোববার আদালত খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার মতামত গ্রহণ করার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এই মর্মে অনুরোধ করি, তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যাতে আইনজীবীরা তাদের পেশা সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারেন। আমি সমস্ত আদালতগুলো প্রয়োজনে ভার্চুয়ালই রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছিলাম। আমি আশা করব লকডাউন যদি পরবর্তীতে বৃদ্ধি পায় তাহলে আমার মতামত গ্রহণ করা হবে।
আইনজীবীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা ও চিকিৎসার বিষয়ে সমিতির সম্পাদক বলেন, করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। সে কারণে অবিলম্বে বার কাউন্সিলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে একটি আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করতে হবে।এ ছাড়া আইনজীবী ও তাদের পরিবারের সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।