রায়হান কাওসার
মহা পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতার আবির্ভাব আজ নয়। হাজার বছর আগে। সে সময় পৃথিবী বক্ষে এত বড় বড় শহর ছিল না; এত সুন্দর সুন্দর প্রাসাদ ছিল না। এখনকার পৃথিবীর অনেক আধুনিক শহরগুলোর লোকজন পোশাক কেটে-ছেটে অর্ধ্ব-উলঙ্গ থাকতে ভালবাসে। আজ থেকে হাজার বছর আগেও মানুষ অর্ধ-উলঙ্গ ছিল। তবে দুটি সময়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে অনেক। হাজার বছর আগে মানুষ সুন্দর সুন্দর পোশাক বানাতে জানত না বলে গাছের ছাল-বাকল পরে থাকত। বিধায় তাদের অর্ধ-উলঙ্গ দেখাত। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে অর্থাৎ হাজার বছর পরে অর্ধ-উলঙ্গ থাকা এক ধরনের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং অনেক উন্নত দেশে অর্ধ-উলঙ্গ পোশাক পরিধান ব্যক্তিস্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে। যাই হোক, আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় অর্ধ-উলঙ্গ পোশাক পরিধান করা নয়। আজকের আলোচনার বিষয় এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু। আজ থেকে হাজার বছর আগে এই মহাপৃথিবীর বক্ষ ছিল বন্য জীব-জন্তু আর জঙ্গলে ভরা। মানুষও ছিল পশুর মত। পশুর মতই ল্যাংটা। এটা সেটা শিকার করে পেট ভরাত। কাঁচা মাংস খেত; পরে আগুন আবিষ্কার হলে পুড়িয়ে খাওয়া শিখেছে এই বদগুলো। গাছের ফল-মূল আর পানি খেয়ে বেঁচে থাকত এরা।
তখন এদেরকে যাযাবর বলা হত। এখানে সেখানে দল-বল নিয়ে ঘুরে বেড়াত পেটের ক্ষুধা নিবারনের নিমিত্তে। সে সময় আইন ছিল না। দলের প্রধানের কথাই ছিল আইন। মাইরের উপর ওষুধ নাই- এটাই ছিল সেই সময়ের নীতি। অর্থাৎ মাইট ইজ রাইট প্রিন্সিপল ছিল সে সময়। ধীরে ধীরে মানুষ পশুকে পোষ মানাতে শিখল, শস্য বুনে চাষাবাদ করার দিকে অগ্রহী হলো। যাযাবর জীবন ছেড়ে তারা একটি জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করল।
স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোত্রে গোত্রে লাগত চরম মারামারি। অর্ধ-পশু আর কী! মারামারিতে চরম পন্থা ব্যবহৃত হওয়ায় চরম পরিমাণে মানুষ কচু কাটা হতো। কেউ বিজয়ী হতো। কেউ পরাজিত এবং আহত হতো। এই পরাজিত ও আহতদেরকে বিজয়ী গোত্রের নিকট বশ্যতা স্বীকার করতে হতো; নইলে কেল্লা ফতে। নির্দিষ্ট সময়ে উপঢৌকন দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হতো। সেই থেকেই আধিপত্য বিস্তার থেকে শুরু হলো সাম্রাজ্যবাদের উৎপত্তি। গোত্র হলো রাজ্য এবং রাজ্য হলো সাম্রাজ্যে পরিণত। গোত্রের প্রধানের কথাই ছিল আইন কিংবা রাজার কথাই ছিল আইন তখন। সে সময় বড় বড় সমস্যার বিচার রাজাই করত তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে। পরবর্তিতে প্রজাদের মধ্য যখন বহুরূপী সমস্যা বেড়ে চলল, তখন এদের বিচার করার জন্য সম্রাটগণ উজির-নাজির নিয়োগ দিল। এসব উজির-নাজিরদের বুদ্ধিমত্তা বা বিবেক-বিবেচনা ভাল ছিল বলে সম্রাট এদেরকেই বিচারের ভার অর্পণ করত। তবে উজির-নাজির যাই বিচার করুক না কেন, সম্রাটের কথাই ছিল শেষ কথা।
কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই সম্রাটও নেই, তার সাম্রাজ্যও নেই। তবে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে তাদের অত্যাচার আর আয়েসী জীবনের প্রতিচ্ছবি সেই মনোরম প্রাসাদগুলো। সময়ের বিবির্তনে প্রজারা হয়েছে জ্ঞানী, প্রজারা হয়েছে ব্যবসায়ী এবং সংঘবদ্ধ। অন্যদিকে সম্রাট হয়েছে দুর্বল।
শাসকদের দুর্বল হওয়ার কারণ হলো বিভিন্ন সময়ে তার চেয়ে আরও শক্তিশালী শাসক যখন তাদেরকে আক্রমণ করত তখন দুইটি ফলাফল অনিবার্য ছিল। এই দুইটি ফলাফলই যে কোন শাসকের জন্য নেতিবাচক হতো। কিভাবে? প্রথম ফলাফল হিসেবে ধরা যাক- বিজয় হয়েছে। সম্রাট বিজয়ী হলেও একটি যুদ্ধে সম্রাটের কোষাগার থেকে অনেক মুদ্রা ও সম্পদ ব্যয় হয়ে যেত। অনেক সৈন্য কতল হয়ে যেত। এতে দেখা যেত সম্রাট বিজয়ী হলেও তার সম্পদ ও ক্ষমতার অনেক ক্ষতি হয়ে যেত এবং যথারীতি তিনি দুর্বল হয়ে পড়তেন।
দ্বিতীয় ফলাফল ধরা যাক-পরাজয় হয়েছে। পরাজয় হলে হয় শাসকের মুন্ডু কাটা যাবে, নইলে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে। অবশ্য আরেকটু সুযোগ হাতে থাকে- সেটি হলো বশ্যতা স্বীকার এবং বশ্যতার প্রমাণ স্বরূপ বছরে বছরে বিজয়ী শাসককে নজরানা দেওয়া। সুতরাং রাজার পকেট খালি। প্রজারা খাজনা না দিলে ভিক্ষার প্লেট নিয়ে প্রজাদের দরজায় হাজির হওয়ার উপক্রম হতো রাজাদের। বড় লোকদের বড় টেনশন!
আবার, আধুনিককালে ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত হওয়ায় এবং দেশীয় ধূর্ত ও মীরজাফর প্রকৃতির লোকজনের কারণে পৃথিবীর বহু দেশের সম্রাজ্য ঔপনিবেশিক শক্তির হাতে চলে যায় এবং রাজাগুলো তাদের ক্ষমতা হারিয়ে সাধারণ জনতার কাতারে চলে আসে। এটা হলো মানব সভ্যতা ও এর ক্ষমতার বিবর্তনের সর্বশেষ পর্যায়।
মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সভ্যতার প্রথম দিকে কোন আইন ছিলনা। তখন মানুষ ছিল যাযাবর এবং দলের প্রধানের কথাই ছিল আইন। সেটাই মেনে চলতে হতো দলের লোকজনদের। পরবর্তিতে যখন ধীরে ধীরে মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটে সম্রাজ্য সৃষ্টি হলো তখন সম্রাটের আদেশই ছিল সর্বোচ্চ আইন। পরবর্তিতে সম্রাট নিজেই তার নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন অংশে বিভিক্ত করে উজির নায়েব নিয়োগ দেওয়া শুরু করলেন সেসব এলাকার অপরাধ দমন ও নাগরিকদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য।
পরবর্তিতে আধুনিক বিশ্বে ঔপনিবেশিক শক্তির পতন হলে ক্ষমতার নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে একটি ভূখন্ডের কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। এদেরকে সাধারণ জনতার প্রতিনিধিত্বকারী বলা যেতে পারে। আম জনতা এদের কাছে নানাভাবে নতি স্বীকার করতে বাধ্য থাকে। হয় এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সম্পদের কাছে, নইলে তাদের পেশিশক্তির কাছে। পেশীশক্তি মানে তাদের একার পেশীশক্তি নয়। প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের সম্মিলিত পেশী শক্তির কথা বলছি। এইসব প্রভাবশালী লোকদের সুন্দর একটি নাম দেওয়া হয়েছে- তা হলো রাজনীতিবীদ। অর্থাৎ রাজার নীতির মতই নীতি এদের।
সরাসরি রাজার মত না হলেও রাজা যেভাবে তার ক্ষমতা ব্যবহার করতেন এবং প্রজাদের বশ্যতা স্বীকার করে নিতে বাধ্য করতেন রাজনীতিবীদরা সরাসরি ঠিক সেটি না করলেও রাজার মতই জনগণকে নানা বিষয় মানতে বাধ্য করেন এরা। এজন্যই ইনাদের বলা হয় রাজনীতিবীদ। অর্থাৎ রাজার নীতির মতই নীতি যাদের। রাজার যেমন লক্ষ্য থাকত ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ করা- সেটি যেভাবেই হোক না কেন। হয় আলোচনার মাধ্যমে, আর যদি তাতে না হয় তাহলে যুদ্ধের মাধ্যমে।
সুতরাং, বর্তমান বিশ্বের রাজনীতিবীদদের উদ্দেশ্যও হলো ক্ষমতায় আরোহণ করা। সেটি হতে পারে আলোচনার মাধ্যমে। তাতে না হলে জনগণকে নিয়ে শুরু হয় গদি পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে গণ আন্দোলন যাকে ভদ্রভাষায় বলা হয়ে থাকে হরতাল। আর সেটিতেও যদি কাজ না হয়, তবে শুরু হয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলন যাকে বলা যেতে পারে গৃহযুদ্ধ। এ যুদ্ধে রাজনীতিবীদরা বহু পক্ষকে সম্পৃক্ত করে। যেমন সে দেশের জনগণ, সে দেশের পুঁজিপতি, সামরিক বাহিনী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনীর সদস্য, মাস্তানী-দাঙ্গাবাজিতে যারা এক্সপার্ট, বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র ইত্যাদি।
এতে দেখা যায়, যারা জয়ী হয় তাদের দেওয়া হয় ফুলের মালা আর যারা হেরে যায় তাদের যেতে হয় জেলখানা। জেলখানার বালা পরানোর আগে সম্মান দেখিয়ে পরাজিত রাজনীতিবীদদের একটি সুযোগও দেয় বিজয়ী রাজনীতিবীদগণ। অর্থাৎ, পরাজিতদের হয় দেশ থেকে পালাতে হবে, নইলে তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ মামলা দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে রাখা হবে।
যাই হোক, যেহেতু, ক্ষমতার পালাবদলে প্রধান অবদান রাখেন রাজনীতিবীদরা এবং তাদের মধ্য থেকেই রাষ্ট্রের প্রধান কর্তা নির্বাচিত হয়ে থাকেন, সেহেতু তারা মনে করেন তারাই সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং তারা যে নীতি মনে ধারণ করেন, বিচার বিভাগও ঠিক সেই নীতিই মনে ধারণ করে বিচারকার্য পরিচালনা করবে। যেহেতু, তারাই সংসদের মাধ্যমে আইন প্রণয়ণ করেন এবং সেই আইন অনুযায়ী বিচার বিভাগ বিচার করে সুতরাং তারা বিচার বিভাগের চেয়ে কিছুটা হলেও ক্ষমতাধর এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তাদের নীতি অনুসরণ করেই নিতে হবে।
অপরপক্ষে বিচারবিভাগ মনে করে, আধুনিক পৃথিবীর নীতি অনুযায়ী একটি দেশের সকল নাগরিক জন্মগতভাবেই সমান মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। কেউ কারও ভৃত্য নয়, কেউ কারও মনিবও নয়, সকলেই স্বাধীন স্বত্তা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সম্মিলীতভাবে জনগণই একটি ভুখন্ডের মালিক। জনগণই ভোটাধিকারের মাধ্যেমে কিছু রাজনীতিবীদকে নির্বাচিত করেন যাতে এরা জনগণের পক্ষে এবং কল্যাণে কাজ করেন। নির্বাচিত এই রাজনীতিবীদগণ তখন জনগণের পক্ষে প্রণয়ন করেন সে দেশের সর্বোচ্চ আইন যাকে বলা হয় সংবিধান যেখানে লেখা থাকে জনগণই সে দেশের সর্বোচ্চ মালিক এবং অভিভাবক। তাদের হৃদয়ের সর্বোচ্চ প্রতিফলনই হলো এই সংবিধান।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি নিশ্চিত করা এবং সংবিধানের নীতি সমূহের যথাযথ হেফাজত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টকে। সুতরাং একটি দেশের আদালত যখন রাষ্ট্রীয় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রায় প্রদান করে কিংবা সংবিধানের কোন বিশেষ বিধানের বিশেষ ব্যখ্যা প্রদান করে রায় প্রদান করে এবং সেটি যদি শাসক দলের নীতির বিরুদ্ধে যায়, তখন বিচার বিভাগ এবং সংসদের মধ্যে একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং অনেক সময় দেশ একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগোতে থাকে।
যদিও বলা হয়ে থাকে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু সাংবিধানিক কোন বিষয় নিয়ে সংসদ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে যদি কোন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, জনগণ সেটি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসে না। তারা নিশ্চুপ থাকে অর্থাৎ দেখেও না দেখার ভাণ করে। ব্যক্তিগত হয়রানী, আহত বা প্রাণনাশের ভয়ে জনগণ রাস্তায় নেমে আসতে ভয় পায়। এছাড়াও ক্ষমতার অন্যান্য নিয়ামক যেমন বিরোধী দল, সামরিক বাহিনী কিংবা আন্তর্জাতিক শক্তিগুলি যদি খুব একটা আগ্রহী না হয় তাহলে বিচারবিভাগ এবং সংসদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে সংসদ তথা রাজনীতিবীদরা বিজয়ী হয়।
সাংবিধানিক বিতর্কিত বিষয়ের প্রধান খেলোয়াড় আপাতত সংসদ এবং বিচার বিভাগকে দেখা গেলেও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রয়ছে এখানে, যাদের সদিচ্ছা ও সক্ষমতার উপরও নির্ভর করে একটি বিশেষ বিষয়ে সংসদের ইচ্ছার প্রাধান্য থাকবে না বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। অন্য খেলয়াড়গুলি হলো- সেদেশের জনগণ, বিরোধী দল, সামরিক বাহিনী, বিদেশী শক্তি এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। যে যত বেশি অন্য খেলোয়াড়দের সমর্থন নিতে পারবে তার পক্ষেই সিদ্ধান্ত যাবে।
তবে আধুনিক বিশ্বের সভ্য দেশগুলিতে বড় ধরণের সাংবিধানিক বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করা হয়ে থাকে যাতে জনগনই তাদের বিষয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সংসদ বিচার বিভাগের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ায় না। আবার, একজন ব্যক্তি রাষ্টের যত বড় প্রভাবশালী পদেই আসীন থাকেন না কেন, অন্য নাগরিকের ক্ষেত্রে আইন যেভাবে আচরন করেছিল, সেই রাষ্ট্রীয় প্রাভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধেও আইন একইভাবে আচরণ করে। এবং উক্ত বিষয়ের সমাধান আদালত এবং ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সেটা নিয়ে খুব একটা রাজনীতি হয় না।
লেখকঃ মোঃ রায়হান কাওসার, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। সাবেক শিক্ষার্থী আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মতামতের জন্য লেখকই দায়বদ্ধ থাকিবেন। মতামতের বক্তব্য সম্পাদকীয় নীতির সাথে নাও মিলতে পারে।