রিয়াজুল করিম
আচ্ছা বন্ধুরা চাকু বা ছুরি ধার দিতে কি কখনও দেখেছেন?
ছুরি ধার দিতে কি ছুরির ইচ্ছা কার্যকরী?
না যিনি ধার দিচ্ছেন,তার ইচ্ছা কার্যকরী?
ছুরি কি স্বাধীন,না কারো কাছে দ্বায়বদ্ধ?
এই ছুরিকে যত আন্তরিক এবং নিষ্ঠার সাথে ঘষা যাবে,
ছুরির ধার ততোটাই তীক্ষ্ণ হবে,এটাই স্বাভাবিক।
নেতা নেতৃত্ব দিবেন,কাছের মানুষ,পাশের মানুষ,বিরোধী দলের মানুষ সমালোচনা করবেন এটাই স্বাভাবিক।
এই সমালোচনা যত করবে,ঐ নেতার যোগ্যতা ততো বেশী শানিত হবে।
নেতা বুঝতে পারবেন,
কেমন করে কথা বলতে হবে,
কত ওজনের কথা বলতে হবে।
কি ভাবে কাজ করলে সবাই খুশি থাকবে এবং কাজের মানটাও সুন্দর হবে।
কি করে বিরোধী পক্ষের বন্ধুদের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে নিজেকে শক্ত অবস্থানে দাড় করানো যায়।
আমরা আজ সমালোচনা মানতেই পারি না!
কেনো?
আমাদের সব কাজই সমালোচনার উপরে উঠে গেছে?
আমরা কবে পারবো একে অপরের বন্ধু হতে?
আমরা কবে পারবো একে অপরের ভাল কাজকে ভাল বলতে আর খারাপকে খারাপ বলতে?
বাস্তবতা হচ্ছে,সব সময় যদি বিরোধী পক্ষের মানুষের কথাই বলতে থাকি,
তবে তো তাদের প্রচারক হিসাবে নিজেই দ্বায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে পালন করে দিলাম!
এ দেশে সকল বিরোধীদল সহ ইসলামী দলগুলোর প্রচার যে কাজ ৫০ বছরে করতে পারতো না,
সেই কাজ আওয়ামী লীগ ১০ বছরে করে দিয়েছে।
মাইক আওয়ামী লীগের।
মঞ্চ আওয়ামী লীগের।
জনগণ আওয়ামী লীগের।
বক্তা আওয়ামী লীগের!
শুধু প্রচারটা অন্যের। কি দা রু ন না?
আসলেই দারুন!
কারনটা কি জানেন?
কারনটা হচ্ছে,
নেতার ৩০ মিনিট বক্তৃতার মধ্যে ২৬ মিনিট অন্যের বা বিরোধীদের দোষত্রুটি গায়।
যে গীত বর্তমানে সব নেতারাই গায়, কারন গীতটা বড্ড সুরেলা!
সবাই পছন্দ করে।
কিন্তু সমস্যাটা হয় তখন,
যখন একই গীত যে কোন সুরে সকলে গায়।
পরবর্তীতে সকলেই ঐ গীত গায়বে।
কেউ ইচ্ছা না করলেও মনের অজান্তেই ঐ সুর গুনগুনিয়ে উঠে।
বর্তমানে মানুষ নেতারা যা বলেন,তার বিপরীত বিষয় নিয়ে-ই ভাবেন।
কারন নেতাদের কথা বিশ্বাস করতে হলে অনেক কিছু বাছবিচার করতে হয়।
আজকে অনেকেই রাজনৈতিক পরিবারের সাথে আত্মীয়তা করতে চায়না।
তাদের বক্তব্য হলো, যারা রাজনীতি করে, তারা মিথ্যা বলে, তাদের ইনকাম অবৈধ!
এই কথা সবাই গোপনে সত্য বলবেন ১০০%।
কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থের কারনে প্রকাশ্যে সত্য বলার সাহস-ই রাখেন না অনেকেই।
শুনতে খারাপ লাগছে
তাই না?
কিন্তু এটাই বাস্তবতা।
এই প্রজন্ম আর রাজনীতি করতে চায়না।
এই প্রজন্ম আর চায়না রাজনীতির নামে মারামারি, হানাহানি, রক্তারক্তি করি।
এই প্রজন্ম চায় শান্তি,
চায় সৌহার্দ্য!
এখনও সময় আছে,
যদি এই জাতী বুদ্ধিজীবীদের রাজনীতিতে আনতে না পারেন,
যদি বিচক্ষণদের রাজনীতিতে আনতে না পারেন।
যদি মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে না পারেন, আজ যেমন নির্বাচন হচ্ছে ভোটার শূন্য।
তবে লিখে রাখেন আমি চ্যালেঞ্জ করছি
এই রাজনীতি একদিন হবে নেতা শূন্য,
হবে মেধাশুন্য।
যেখানে কোন শিক্ষিত লোকের মান থাকবে না।
যেখানে কোন জ্ঞানীর কদর থাকবে না।
এই রাজনীতি চলে যাবে
অশিক্ষিত, মূর্খ্য বেজন্মা মাস্তানদের হাতে।
তখন আপনারা
(আজকে যারা রাজনীতিতে আছেন সব দলের জন্যই)
তারা হয়ে যাবেন জিম্মি।
সুতরাং এখনই সময় জাতিকে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে নিতে দরকার সঠিক পদক্ষেপ।
যা হবে!
দেশটা মোদের সবার জন্য
এসো এবার গড়ি,
একই সাথে থাকবো মোরা
একই সাথে মরি।
লেখকঃ রিয়াজুল করিম, কবি ও লেখক।
মতামতের জন্য লেখকই দায়ী থাকবেন।