সব
facebook apsnews24.com
ইসলাম ধর্ম ও আলোচনা: - APSNews24.Com

ইসলাম ধর্ম ও আলোচনা:

ইসলাম ধর্ম ও আলোচনা:

ইসলাম আরবি শব্দ। এর অর্থ একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস। যার মূল শিক্ষা হল, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্রষ্টা নেই এবং মুহাম্মদ(সাঃ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী ও রাসূল।

এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম, যার অনুসারী সংখ্যা ১.৯ বিলিয়ন এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪%, যারা মুসলমান নামে পরিচিত। (উইকিপিডিয়া)

ইসলাম শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, দয়ালু, করুনাময় এবং একমাত্র ইবাদতযোগ্য অভিভাবক।
মানবজাতীকে পথ প্রদর্শনের জন্য আল্লাহ যুগে-যুগে অনেক নবী-রাসূল(আদম আঃ থেকে হযরত মুহাম্মাদ সাঃ), আসমানী কিতাব(যাবূর, তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআন) এবং বিভিন্ন নিদর্শন পাঠিয়েছেন।

ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো পবিত্র কুরআন যা স্বয়ং আল্লাহর বানী; আর সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী মুহাম্মদ (২৯ আগস্ট ৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতিকে সুন্নাহ বলা হয় যা হাদীস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

সৌদি আরবের মক্কার কাবা শরীফ; যেখানে সারা বিশ্বের লাখো মুসলিম একতার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে প্রার্থনা করে থাকেন।
ইসলামী ধর্মগ্রন্থানুযায়ী, ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। যা তুলনামূলক আর কোন ধর্ম দাবি করে না। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা-মদীনা বা আরব দেশগুলোর জন্য নয় বরং ইসলাম পৃথিবীর সকল বর্ণ, গোত্র, জাতি এবং ধনী-গরীব, সাদা-কালো ও আরব-অনারব সকল মানুষের জন্যই প্রেরিত।

আপনিও লিখতে পারেন আমাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা পরিবার, সাহিত্য ও মতামত পাতায় । আাপনার লেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সমৃদ্ধ হোক।
আপনার লেখা পাঠাতে আমাদের ইমেল করুন editor@apsnews24.com এই ঠিকানায়।
লেখার সাথে আপনার পরিচয়, ফোন নাম্বার ও ছবি দিবেন। প্রয়োজনে ফোনও করতে পারেন।

ইসলামী ধর্মমত অনুযায়ী, যুগে যুগে আদম, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা (আলাইহিসসালাম) সহ সকল রাসূলগণের উপর যেসব আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছিল, মূল আরবি কুরআন হল তারই সর্বশেষ, পূর্নাঙ্গ, অপরিবর্তিত চূড়ান্ত সংস্করণ।

অন্যান্য নবী, রসূলদের মতো হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও শেষবিচারের শিক্ষা দেয় যেখানে সৎকর্মশীলরা পুরষ্কারস্বরূপ জান্নাত পাবে আর পাপীরা জাহান্নামের সাজা পাবে। ধর্মীয় কর্মকান্ডের মধ্যে অন্যতম হল ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ, যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য । তাদেরকে ইসলামী আইন ও (শরীয়াহ্) মেনে চলতে হয়, যা প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও জীবনের সকল ক্ষেত্র ও যাবতীয় কার্যকলাপকে নির্ধারণ করে দেয় ।
মক্কা, মদিনা ও জেরুজালেম ইসলামে সবচেয়ে সম্মানিত ও পবিত্র তিন শহর।

ঐতিহাসিকভাবে আব্বাসীয় খিলাফতের আমলে মুসলিম বিশ্ব বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে উন্নতির শীর্ষে ছিল। ইসলামের প্রসার ঘটেছে মূলত ধর্মপ্রচার এবং রাজ্যজয়ের মাধ্যমে। রাজ্যজয়গুলো ঘটেছিল আলাদা আলাদা সম্রাজ্যের দ্বারা,যেমন উসমানীয় সম্রাজ্য, আর ধর্মান্তরিতকরণ ঘটেছিল ইসলামী ধর্মপ্রচার কার্যক্রমের (দাওয়াতের) মাধ্যমে, কাউকে জোর করে নয়।

ইসলামের মূল ভিত্তি কুরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী ইসলামে কোন দল বা সম্প্রদায় নেই। সকলের পরিচয়ই হবে মুসলমান এবং জীবন পরিচালনার ভিত্তি হবে এই দুটিই। কিন্তু কিছু মুসলমান কুরআন ও সহীহ হাদিসের শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করেছে, যা ইসলাম সমর্থন করে না।

সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া, বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ১৩%’ই এখানে বাস করেন। বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ৩১%’ই বাস করেন দক্ষিণ এশিয়ায়, মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশটাই এখানে। মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে বাস করেন ২০% এবং এটি এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান ধর্ম। ১৫% বাস করেন সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমান মুসলমান সম্প্রদায় দেখা যায় আমেরিকা, ককেশাস, মধ্য এশিয়া, চীন, ইউরোপ,ইন্দোচীন, ফিলিপাইন ও রাশিয়াতে। (উইকিপিডিয়া)

অনেকেই মনে করে ইসলাম একটা নতুন ধর্ম– যা এসেছে ১৪০০ বছর আগে। আর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) হচ্ছেন ধর্মের প্রবর্তক।কিন্তু এই ধারণাটা সঠিক নয়। ইসলাম এই পৃথিবীতে এসেছে সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকে।
যখন থেকে এই পৃথিবীতে আল্লাহ্ মানুষ তথা আদম (আঃ)-কে পাঠিয়েছেন তখন থেকেই মানুষের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য বিধি-বিধান, আইন-কানুন স্বরূপ ইসলামকে আল্লাহ্ দিয়েছেন। মানুষ যেটা মনে করে যে– পূর্বে মানুষ ছিল বর্বর, তারা বনে-জঙ্গলে বসবাস করতো, উলঙ্গ থাকতো। এই বিশ্বাসটি সঠিক নয়, এটি তাদের একটি ধারণা মাত্র।
তাই ইসলাম কোন নতুন ধর্মের নাম নয়, এমন নয় যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই ধর্ম তৈরি করেছেন, এর আগে ইসলাম ছিলো না।
তার আগেও সকল রাসুল আল্লাহর দ্বীন নিয়ে এসেছেন । ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকে।

মহান আল্লাহ্ বলেন-
“আর সমস্ত মানুষ একই দ্বীনের (ইসলামের) উম্মত ছিলো, পরে পৃথক হয়ে গেছে। (সূরা ইউনুসঃ১৯)

“বলুন, আমি (মুহাম্মদ) তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ আর কিছু নই।” (সূরা আল আহক্বাফঃ৯)

“তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের দ্বীনে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন “মুসলিম” , পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা মানবজাতির সাক্ষ্যদাতা হও। ” ( সূরা হাজ্জঃ৭৮)

“আমি হুকুম করলাম, তোমরা (আদম ও হাওয়া) সবাই নীচে(দুনিয়াতে) নেমে যাও। অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে হিদায়াত (ইসলাম) পৌঁছবে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হিদায়াত অনুসারে চলবে, তার কোন ভয়-দুশ্চিন্তা নেই, আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; তারা অন্তকাল সেখানে থাকবে।”
(সুরা বাকারাঃ ৩৮-৩৯)

আদম (আঃ) এর পরবর্তীতে, মানুষদের মধ্যে অনেকেই আল্লাহর নিদর্শন ও নিয়ম/নিতি আসার পর, জানার পর, সেই নিয়ম/নিতি লঙ্ঘন ও অস্বীকার করলো, তথা ইসলাম অস্বীকার করলো, অনেকেই সমাজ থেকে আলাদা হয়ে বনে-জঙ্গলে চলে গেল, অনেকে বর্বর হয়ে গেল, কেউ বিভ্রান্ত হয়ে মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়ে গেল, বিভিন্ন প্রকার শির্কে লিপ্ত হলো।
শুরু হল নতুন নতুন ধর্ম, দল , মতাদর্শ , মাজহাব।
এই পৃথিবীতে একমাত্র সঠিক ও ন্যায়- নিষ্ঠতার ধর্ম, মাজহাব, দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। তাই সঙ্গত কারনেই ন্যায় পরায়ণ আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।

মহান আল্লাহ্ বলেন-
“নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।” ……….।
“যদি তারা তোমার সাথে তর্ক বিতর্কে অবতীর্ণ হয় তবে বলে দাও, “আমি এবং আমার অনুসরণকারীগণ আমরা আল্লহর কাছে আত্মস্মারপন করেছি বা মুসলিম হয়েছি ।”
(সুরা আলে ইমরানঃ ১৯)

“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম/মাজহাব/সংবিধান/জীবন আদর্শ তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
(সুরা আলে ইমরানঃ ৮৫)

কোরআনের পরিভাষায় ‘দ্বীন’ সেসব মূলনীতি ও বিধিবিধানকে বলা হয় যা হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সব নবীর মধ্যে সমভাবেই বিদ্যমান রয়েছে। এতে বোঝা যায়, সব নবীর দ্বীনই এক ও অভিন্ন ছিল। সাধারণত ওই দ্বীন ও শরিয়তকেই ‘ইসলাম’ বলা হয়, যা নিয়ে সবার শেষে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আগমন করেছেন এবং বিগত সব শরিয়তকে রহিত করে দিয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত যে দ্বীন কায়েম থাকবে।
তাই রসুল (সা.) ইসলামের ব্যাখ্যায় বলেন,
“”এ কথার স্বীকৃতি দিতে হবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজান শরিফের রোজা রাখা, সম্পদ থাকলে হজ করা””। তিনি এ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন জিব্রাইল (আ.)-এর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে (বুখারি ও মুসলিম)।
উল্লিখিত আয়াতের দ্বারা প্রমাণিত হয়, একমাত্র ইসলাম ছাড়া এই পৃথিবীতে তথাকথিত যত ধর্ম ও মতবাদ আছে কোনোটাই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আর এ কারণেই মুসলিমরা অন্যান্য ধর্মের লোকদের নিজের ধর্মের ব্যপারে জানায় এবং দাওয়াতি কাজ পরিচালনা করে থাকে। অনেকে এটাকে অন্য চোখে দেখে থাকেন। আসলে মুসলিমরা কখনোই কাউকে ইসলাম ধর্ম পালনে জবরদস্তি করতে পারবে না। কেউ যদি জোর, জবরদস্তি করে, তাহলে সে প্রকৃত মুসলিম নয়। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করিও না। শুধু দাওয়াত টুকু দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ এটা মুসলিমদের ধর্মীয় দায়িত্ব।

অনেকে ইসলাম ধর্মের একটি শব্দ(জিহাদ) নিয়েও সমালোচনা করে থাকেন। আসলে ইসলাম ধর্মে এর ব্যবহার কিভাবে হয় সেটাই মুখ্য বিষয়।
জিহাদ শব্দের সাধারণ অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ/ সংগ্রাম। আর ইসলামে এটাকে প্রধানত এই অর্থে ব্যবহার করা হয় যে, “নিজের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা”। কুপ্রবৃত্তি অর্থ সকল ধরনের পাপ কাজ।
নিজেকে পাপ থেকে দূরে রাখার সংগ্রাম-ই হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মুসলিমদের প্রধান যুদ্ধ/সংগ্রাম।
আবার, নবী (সাঃ) যখন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছিলেন তখন অনেকে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছিল। শুধু প্রত্যাখ্যান করে চলে গেলে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু প্রত্যাখ্যান করার সাথে সাথে নবী (সাঃ) কে মক্কা থেকে তারিয়ে দিতে চেয়েছিল। তখন নবী (সাঃ) এর প্রতিবাদ করেছিলেন। এটাকেও “জিহাদ” বলা হয়েছে। তাঁর মানে জনস্বার্থের পরিপন্থী কোন অবৈধ কাজের প্রতিবাদ ও জিহাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইসলামী পণ্ডিত ইয়াহিয়া ইবন শরাফ আল-নাদভী বলেছেন, (জিহাদ অর্থ) “সমাজের সবার সামগ্রিক দায়িত্ব হলো ন্যায্য প্রতিবাদে অংশ নেয়া, ধর্মের সমস্যা দূর করা, স্রষ্টার আইনের কথা জানা, ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করা ও অন্যায়কে দূর করা।”.
কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী স্থানভেদে জিহাদ তিন রূপ হতে পারেঃ
(ক) পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য স্বীয় কুপ্রবৃত্তির বিরূদ্ধে জিহাদ,
(খ) মুসলিম সমাজকে উন্নয়নের সংগ্রাম, এবং (গ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে সংগ্রাম।

ইসলাম ধর্মে বিনা অপরাধে কাউকে হত্যা করা হারাম/নিষেধ। এমনকি আত্মহত্যা করাও ইসলাম ধর্মে হারাম। এই ধর্ম সব সময় মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার কথা বলে । সকল ধরনের পাপ থেকে মুক্ত হওয়া হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূল উদ্দেশ্য । সব ধরনের জঙ্গিবাদ, হত্যা, ধর্ষণ, খুন, মানুষকে ছোট করা, হিংসা, বিদ্বেষ, রাহাজানি, ছিনতাই, চুরি এবং ছোট থেকে বড় যে সকল অপরাধ আমরা দেখি সবগুলোই ইসলাম ধর্মে সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে। কেউ যদি এসব কাজ করে তাহলে সে প্রকৃত মুসলিম নয় কারণ প্রকৃত মুসলিম হতে হলে অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে কোরআন এবং হাদিস মেনে চলতে হবে।
ইসলাম ধর্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কিংবা কারো নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষা কে সমর্থন করে এবং কোন অন্যায়/অত্যাচার কে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকে। আল্লাহ-তা-আলার সকল ধরনের আদেশ-নির্দেশ কোরআন শরীফ এবং নবী (সাঃ) এর মাধ্যমে হাদিসে সংকলিত হয়েছে । এই কুরআন এবং হাদিস অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা প্রত্যেক মুসলমানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
তাই, মুসলিমরা যদি বাস্তবতাকে বুঝতে চায়, যদি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চায়, যদি সকল পরিস্থিতিতে নিজের লক্ষ্য স্থির রাখতে চায় এবং সকল ধরনের খারাপ কাজ থেকে মুক্ত থাকতে চায় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে ।

আপনার মতামত লিখুন :

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

পারিবারিক আদালত আইন ২০২৩, যেসব বিষয় জানা জরুরী

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

সামাজিক ব্যাধি পরকীয়া: কারণ ও আইনী প্রতিকার

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

মুক্তিযুদ্ধ ও গৌরব গাঁথা মার্চ মাস

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে কতজন সাক্ষী প্রয়োজন, আইন কি বলে!

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

বাংলা ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত হোক

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পাওয়ার পথে সমস্যা: সমাধানের উপায়

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: ApsNews24.Com (২০১২-২০২০)

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
০১৬২৫৪৬১৮৭৬

editor@apsnews24.com, info@apsnews24.com
Developed By Feroj