পৃথিবীতে বহু দেশ আছে যে দেশগুলিতে এখনও পুলিশের চাকরি অত্যন্ত সম্মানের এবং মর্যাদার। আমরা জানি ইউরোপের ও আমেরিকার অনেক দেশে এমনকি আমাদের এশিয়া মহাদেশেও এখনও সবার এক নং পছন্দ পুলিশের চাকরি। পুলিশে চাকরি করতে পারলে বা নিয়োগ পাইলে তাহারা গর্ববোধ করে। একটি দেশের সার্বিক শান্তি শৃংঙ্খলা এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটু ভেবে দেখেছেন, রৌদ্রে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে একজন ট্রাফিক পুলিশ কিভাবে জনগণের যান মালের নিরাপত্তার জন্য জীবন বাজী রেখে তার দায়িত্ব পালন করে আসছে, রাত্রেও পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব ও কর্তব্যের মাধ্যমে গ্রাম গঞ্জে পাড়া মহোল্লায় সারা রাত জেগে জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করা এবং জনগণের নিরাপত্তার জন্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু আমাদের দেশে পুলিশের চাকরিটা অনেকটা ঘৃণার চোখে দেখা হয়। আমাদের কালচারটা সেভাবে হয়ত বা গড়ে উঠে নাই হয়ত বা কোন একটা কারণ এর পিছনে আছে। এক দুই যুগ আগে অনেকেই পুলিশের চাকরি থেকে পদত্যাগ দিয়ে বা পালিয়ে বাড়ী আসতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে পুলিশের চাকরিটা অনেকেই বেঁছে নিয়েছেন অত্যন্ত মর্যাদার বলে এবং দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে পুলিশের চাকরিটা এখন অনেক সম্মানের চাকরীতে রুপান্তরিত হয়েছে।
কিছু দিন আগে পুলিশের আই জি পি ঘোষনা দিয়েছেন দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় নেই তাদেরকে আমরা নির্মূল করবোই তাই সে যে দলের বা যত বড় শক্তিশালী হউক। সত্যিই উনার এমন গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য আজকের পুলিশের ভাবমুর্তিকে যেমন উজ্জ্বল করেছে তেমনি জনগন ও পুলিশের উপর আস্থা ফিরে পেয়েছে। বর্তমান সময়ে আমাদের সাতক্ষীরা জেলার এস পি যে ভাবে তার পুলিশদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন তাহা প্রশংসা করার দাবিদার। বিশেষকরে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি, কলারোয়া থানার ওসি এবং সাতক্ষীরা জেলার অন্যান্য থানার ওসিসহ পুলিশ বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এ মুহুর্তে প্রশংস না করে পারছিনা। উনাদের অনেকের বক্তব্য আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শুনেছি। সাংবাদিকদের কাছে তাদের কর্ম তৎপরতার কথা শুনি, সত্যিই মুগ্ধ হবার মত। কোন নিরীহ মানুষ, সৎ মানুষ যারা ভাল মানুষ তারা যেন হয়রানি না হয়, শুধু যারা দুস্কৃতিকারী, চোরা চালানির সাথে বা মাদক দ্রব্যের সংগে যুক্ত বা দেশ বিরোধী কোন কর্মকান্ডে যুক্ত তাদের কোন ক্ষমা নেই।
সুতরাং এত সুন্দর কার্যকারী ভূমিকা রাখার জন্য সাতক্ষীরা জেলার জনগন এখন খুব শান্তিতে বসবাস করছে এবং আমরা আপনাদের কাছে আশা করবো অদুর ভবিষ্যতে যাতে আরও কার্যকরী ভূমিকা রেখে আমাদের সোনার বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারেন এবং পুলিশের চাকরিই বাংলাদেশে যেন একদিন গর্বের ও সম্মানের চাকরী হয় এবং সবাই যেন পুলিশে চাকরী করতে চায় এমন একটি পরিবেশ পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে আসুক আমরা এটাই আশা করি। আবার এটাও ঠিক বাংলাদেশে কিছু কিছু স্থানে পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য অনেক অপরাধের সাথে জড়িত যাহা আমাদের দেশের সমস্ত পুলিশ বাহিনীর কর্মকান্ডকে কলঙ্কিত করেছে সেই সমস্ত পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আমাদের উচিত ঘৃনা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। পুলিশ বাহিনী ইচ্ছা করলে যখন তখন বাংলাদেশ থেকে ঘুষ, দূর্নীতি এবং চোরাচালান কারবারী ও মাদকদ্রব্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং বাংলাদেশের সমস্ত জনগন শান্তিতে বসবাস করার ও নিরাপত্তার জন্য সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।
বর্তমান সময়ে মহামারী করোনার হাত থেকে জনগনকে রক্ষার জন্যে জীবন বাজি রেখে যে ভাবে পুলিশ বাহিনী কাজ করছেন তাতে আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। যারা করোনা মহামারী থেকাতে দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের আত্মার প্রতি পরম করুনাময়ের নিকট মাগফিরাত কামনা করি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবাররের প্রতি সহানুভুতি জানাই এবং যারা এখন ও পর্যন্ত এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে যুদ্ধ করছেন তাদের দ্রত সুস্থতা কামনা করি। আসুন আমরা সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ এবং হাতে হাত রেখে দেশটাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একই সংঙ্গে কাজ করি।
জাহিরুল ইসলাম শাহীন।
সহকারী অধ্যাপক