তালহা জাহিদঃ সম্পাদনার টেবিলে যারা থাকেন তারা প্রতিবেদকের কাছ থেকে তথ্যপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদন প্রত্যাশা করেন। একজন রিপোর্টার এমনভাবে প্রতিবেদন তৈরি করবেন যেন তাতে কেউই লাল-নীল কালির আঁচড় দিতে না পারেন। সহ-সম্পাদকের কলম যত কম একটি প্রতিবেদনের ওপর চলবে তত ভালো প্রতিবেদন সেটি; সেই প্রতিবেদকের কদরও বেশি। একটি প্রতিবেদনে অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা-সমস্যা-ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। সেসব সতর্কভাবে কাটিয়ে উঠতে পারলে একটি সাধারণ রিপোর্টও সৃজনশীল চিন্তা ও বিষয়-বৈচিত্র্যের জন্য অসাধারণ হয়ে ওঠতে পারে। কোনো কোনো প্রতিবেদনে প্রচুর পরিসংখ্যান থাকে কিন্তু পরিসংখ্যানগুলো কাদের তা উল্লেখ থাকে না। কিছু প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের বক্তব্য থাকে না অথচ বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনে একতরফা বক্তব্য স্থান পেতে পারে না। বর্ণনার ভাষা যদি রিপোর্টারের ভাষার মতো না হয়, অনেক বেশি তথ্যের সন্নিবেশের পরও তথ্যবিন্যাস ঠিকমতো না হলে, সোর্স উল্লেখ না থাকলে সেই প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বিবেচিত হয় না।
এক নজরে দেখে নিন-
লুকিয়ে রাখুন তথ্য স্ট্রং করতে সোর্স উল্লেখ করুন, কখনোই ঢালাও মন্তব্য নয়, সূচনা হবে সংক্ষিপ্ত কিন্তু সমৃদ্ধ,
ইন্ট্রোর সমর্থনে থাকতে হবে, তথ্য পরস্পর বিরোধী তথ্য নয়,
ভাষার দুর্বলতা নয়, পাঠক যাতে ধৈর্য না হারায়, রিপোর্টের রিডেবিলিটি ক্ষুণ্ন নয়,
পাঠক যাতে বিরক্ত না হয়,
পাঠকের জন্য সহজ করে লিখতে হবে, পক্ষপাতিত্ব করবেন না, অতি আবেগ পরিহার করুন, তথ্যের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিন, রিপোর্ট বড় করার প্রবণতা বাদ দিন, প্রতিবেদন যাতে হালকা হয়ে না যায়, রিপোর্ট স্মুথ করতে লেখা শেষে কয়েকবার পড়ুন,
খটমটে একটি লাইনও যাতে না থাকে, ফলোআপ প্রতিবেদনে ঘটনাটির রিক্যাপ করুন,
দায় সারা রিপোর্ট নয়,
সরাসরি অভিযোগ আনবেন না,
অপ্রয়োজনীয় অংশ অনায়াসে বাদ দিন।