চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়ালেও এবারের আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমানের সময়টা দীর্ঘ হচ্ছে না। শিগগিরই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য কাটার মাস্টারকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
এই সিরিজের পর আইপিএলের বাকি অংশ খেলার সুযোগ থাকলেও ইনজুরি শঙ্কায় মুস্তাফিজকে আর অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
যদিও এবারের আসরের শুরুতেই বাজিমাত করেছেন ফিজ। তবুও প্রশ্ন ছিল, মুস্তাফিজের সার্ভিস কি চেন্নাই পুরো মৌসুমজুড়ে পাবে? আইপিএলের জন্য বিসিবির কাছে চাওয়া অনাপত্তিপত্রে এই বাঁহাতি পেসারের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগ পর্যন্ত। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ নির্ধারিত হওয়ায় মুস্তাফিজের আইপিএল ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আইপিএল ফাইনাল। প্লে অফ পর্ব মাঠে গড়াবে মে মাসের মাঝামাঝি। এদিকে ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে এসে ৩ মে শুরু হবে টাইগারদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অবশ্য প্রস্তুতি শুরু হবে এরও আগে। চট্টগ্রাম ঘুরে মিরপুরে ১২ মে সিরিজের শেষ ম্যাচ।
তাতে আইপিএলে মুস্তাফিজের ভবিষ্যৎ কি? বিসিবি সূত্রের খবর, জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে থেকেই কাটার মাস্টারকে জাতীয় দলে যোগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ৫ ম্যাচের সিরিজে এই পেসারকে বিশ্রাম দিয়ে খেলাবে টিম ম্যানেজমেন্ট। মূলত ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্টের কারণেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বাংলাদেশ।
১২ তারিখ জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হবার পরেও অবশ্য দ্য ফিজের সামনে সুযোগ থাকবে আইপিএলে ফেরত যাবার। সেখানে অবশ্য বিসিবির ভাবনা ভিন্ন। বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার ১০ দিন আগে খেলোয়াড়দের পূর্ণ বিশ্রামে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তাই সুযোগ থাকলেও মুস্তাফিজের জন্য আইপিএলে ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
তবে মুস্তাফিজকে নিয়ে ভিন্ন পথেও হাঁটতে পারত বিসিবি। একে তো ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ। দ্বিতীয়ত, বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্ট বাজিয়ে দেখতে পারত বেঞ্চ শক্তিমত্তা। পাইপলাইনে তানজিম সাকিব-হাসান মাহমুদদের মতো পেসাররা পর্যাপ্ত ম্যাচ পাচ্ছেন না। এই সিরিজ তাদের জন্য হতে পারতো নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ। অন্যদিকে, কাটার মাস্টার পেতেন আরও বেশি কম্পেটেটিভ ক্রিকেট খেলার সুযোগ।