করোনা ঝুঁকি এড়াতে আদালত বন্ধ। সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে সরকার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্য কি করে সংসার চলবে তাই নিয়ে চিন্তিত নবীন-প্রবীণ আইনজীবীরা। আইনজীবীদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দাবি উঠেছে, নবীন-প্রবীণ আইনজীবী সদস্যদের বিশেষ ঋণ দেওয়ার।
আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নজীবুল্লা বলেন, প্রতিটি বার থেকে সমিতি আকারে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে পরবর্তীতে সমন্বয় করে নেওয়া হবে—এই শর্তে ঋণ দিতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে সভাপতি থাকাকালীন সময়ে চিকিৎসা বাবদ একটি ফান্ড করেছিলেনÜসেখান থেকে একজন অসুস্থ আইনজীবী চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আমীন উদ্দিন বলেন, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি। আইনজীবীদের যাতে সমস্যা না হয়, এ জন্য আপৎকালীন ঋণ দেওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা আছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান বলেন, আইনজীবী সদস্যদের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে এখনো তারা কোনো চিন্তা ভাবনা করেনি। তবে দুস্থ আইনজীবীদের জন্য ঋণ দেওয়ার জন্য একটি ফান্ড চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নবীন-প্রবীণ আইনজীবীদের আর্থিক সহযোগিতা করতে ৪ এপ্রিলের আগেই আইনজীবী সমিতির উচিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এফ এম রেজাউল করিম বলেন, আইন পেশায় নির্দিষ্ট কোনো বেতন কাঠামো নেই। এই আপৎকালীন সময় কতটা দীর্ঘ হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। সে কারণে সীমিত আকারে হলেও আর্থিক সহায়তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নবীন আইনজীবী আবদুর রহিম বলেন, আইনজীবীরা চাইলেও কারও কাছে গিয়ে সাহায্য চাইতে পারবেন না। তা ছাড়া দেশের এই অবস্থায় কে কাকে সাহায্য করবেন, সকলেই আতঙ্কিত।
সূত্রঃ প্রথম আলো অনলাইন