মোঃ মিশন আলী, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। হরিণাকুন্ডু এলজিইজি’র এক প্রকৌশলীকে পিটিয়ে আহত ও মামলার আসামী হওয়ার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়। মামলার পর পুলিশ তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে জেল হাজতেও পাঠায়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী গত ১৯ জুলাই এ সংক্রান্ত আদেশে সাক্ষর করেন।
মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন পেয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আরিফ-উজ-জামান বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। মামলার নথি ও মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন সুত্রে জানা গেছে, হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা রওশন হাবিব নামে এক সহকারী উপজেলা প্রকৌশলীকে মারিধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।
এ ঘটনায় গত ১৮ মে (সোমবার) হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা করেন প্রকৌশলী রওশন হাবিব। তিনি অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান একটি ঠিকাদারী কাজের বিল নিয়ে প্রকৌশলী রওশন হাবিবের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তাকে অফিসের মধ্যে ফেলে মারপিট করেন। সে সময় চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারপিটের কথা অস্বীকার করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গ্রেফতার হন ফজলুর রহমান। প্রকৌশলী রওশন হাবিব জানান, হরিণাকুন্ডু উপজেলা ৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে। এ জন্য ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার বিল এসেছে। ঈদুল ফিতর সামনে করে সব ঠিকাদারকেই কম বেশি বিল পরিশোধ করা হচ্ছিল। ফান্ডের ১৬ লাখ টাকা ফজলু চেয়ারম্যান একাই নিতে চান। অন্যসব ঠিকাদরকে বঞ্চিত করে একজনকে সব টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রকৌশলী রওশন হাবিবকে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। ৫ মাস আগে মামুন নামে আরেক প্রকৌশলীকে চেয়ারম্যান ফজলু মারপিট করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু আওয়ামীলীগ করার কারণে কেও বিচার করেনি। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিধি মোতাবেক একজন প্যানেল চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িক্ব পালন করবেন।