তালহা জাহিদঃ বরিশালের উজিরপুরে লম্পট মাছ ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এসআই মাহাতাব, ধর্ষককে গ্রেফতার করে।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কাজীবাড়ি গ্রামের মৃত শরৎ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে বহু বিবাহের নায়ক (৬টি বিবাহ) ২ সন্তানের জনক মঙ্গল মন্ডল (৫০) পাশ্ববর্তী নাথারকান্দি গ্রামের হতদরিদ্র অনিল বালার মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৬মাস ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ছাত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে ছাত্রীর শরীরের অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে ছাত্রী অকপটে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। এরপর ঘটনা এলাকায় চাউর হয়ে যায়।
গত ২৮ জুলাই লম্পট মঙ্গল মন্ডল পুনরায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। আজ ছাত্রীর বাবা উজিরপুর মডেল থানায় ঐ লম্পটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই দিন দুপুরে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ধর্ষক মঙ্গল মন্ডলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, লম্পট মঙ্গল মন্ডল বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করত। এ সুবাদে ৬মাস পূর্বে ওই ছাত্রীর বাড়িতে মাছ বিক্রি করার জন্য গেলে লম্পটের লোলুপের দৃষ্টি পড়ে ছাত্রীর দিকে। সুযোগ নিয়ে প্রায়ই মাছ বিক্রির নাম করে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসত। এরই ধারাবাহিকতায় ৬মাস পূর্বে হঠাৎ একদিন ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এই ঘটনা পরিবারের লোকজনকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত বলে ছাত্রী জানায়। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে লোকলজ্জা ও ভয়ে নাবালিকা ছাত্রী বাধ্য হয়ে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়। ওই নারীলোভী লম্পট মাছ ব্যবসায়ী মঙ্গল মন্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার এসআই মাহাতাব উদ্দিন জানান, ধর্ষক মঙ্গল মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। অভিযুক্ত লম্পটের ফাঁসীর দাবী জানিয়ে ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে।