নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উজিরপুর আলিম মাদ্রাসায় পৌনে তিন কোটি টাকায় ৪তলা একাডেমিক ভবনের একতলা শেষ হতে না হতেই হুমকির মুখে ঐ ভবনটি। একতলার ছাদ ঢালাইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে সেন্টারিং খুলে ফেলায় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিম্নমানের বালি, খোয়া ও রড দিয়ে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ইঞ্জিনিয়ার সালমান এর বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ।
সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে এসসিজেভি লিঃ নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী সুমন আহমেদ নামের একজন ঠিকাদার এই ভবনের কাজটি পান। সেই মোতাবেক একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিছুদিন পরে ঐ ভবনের কাজ শুরু করেন সাব কন্ট্রাক্টর মোতালেব হোসেন। গত ৯ জুলাই ঐ ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করার মাত্র ৮দিন পরে ১৭ জুলাই শুক্রবার ভবনের সেন্টারিং খুলে ফেলা হয়। বিষয়টি দেখে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল হক আজাহারী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ রাজ মিস্ত্রিদের ভবনের সেন্টারিং খুলতে নিষেধ করেন। ততক্ষণে পুরো বারান্দার সেন্টারিং খোলা শেষ করে তারা দ্বিতীয় তলার সেন্টারিং করা শুরু করে। তবে বাধার মুখে পুনরায় ১৮ জুলাই শনিবার খুলে ফেলা সেন্টারিং কিছু কিছু সংযুক্ত করে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরিশাল জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি শুনে ঐ ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সালমান আহমেদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে প্রকৌশলী সালমান আহমেদকে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।ঠিকাদার সুমন আহমেদ জানান, রাজ মিস্ত্রিরা ভুল বশতঃ কাজটি করে ফেলেছে। প্রধান রাজমিস্ত্রি রুবেল বলেন, বিষয়টি আমাদের ভুল হয়েছে।মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ জানান, ভবনটির কাজ সন্তোষজনক নয়। ৮ দিনের মধ্যে সেন্টারিং খুলে ফেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অধ্যক্ষ নুরুল হক আজাহারী জানান, আমরা মাদ্রাসার পাশ দিয়ে হাটতে ভয় পাচ্ছি। তবে শনিবার খুলে ফেলা সেন্টারিং সংযুক্ত করে দিয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনতি বিশ্বাস জানান, বিষয়টি শুনেছি, দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।