চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এক যুবক। তাতে উপমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগের এক নেতা। এ মামলায় বুধবার নগরের বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার এনামুল হক বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকার মো. শরীফের ছেলে। তার বড় ভাই বাকলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য। দুই ভাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিত।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষা উপমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। সে মামলার আসামি এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও স্থগিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী চমেক হাসপাতালে দুটি ন্যাজাল ক্যানুলা দিতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের বিষয়ে উপমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে স্থানীয় একটি দৈনিকে নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজটি ফেসবুকে শেয়ার করে শিক্ষা উপমন্ত্রীকে ‘ভাইপুত’ ও তার সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া অনুসারীদের ‘টোকাই’ উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন এনামুল। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষা উপমন্ত্রীর মানহানি করার অভিযোগে এনে এনামুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল উদ্দিন রুবেল।