ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দৌরাত্ম এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সব অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।’
শুক্রবার বিএনপির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব বলেন। গত ২০ মার্চ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ জন নেতাকর্মী শেরপুর জডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। তারা জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিটি দেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী কতৃর্ত্ববাদী সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর যে জুলুম চালাচ্ছে সেটির আরও একটি কু-নজীর স্থাপিত হলো মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারের পাঠানোর মধ্য দিয়ে।
ফখরুল বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্যে যখন মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছে তখন অবৈধ আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য-নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের হিড়িক অব্যাহত রেখেছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দূর্বিষহ সংকট।
মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে মাহমুদুল হক রুবেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।