সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তুমুল গোলাগুলির পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বান্দরবানের থানচিতে।
স্থানীয়রা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য বলে জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কেএনএফের সদস্য কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় পৌনে একঘণ্টা গোলাগুলির পর রাত ৯টা ২৫ মিনিটের সময় সন্ত্রাসীরা বাজার ত্যাগ করেছে।
থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকলে পুলিশ এবং বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে থানচিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ৪-৫শ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকেও গুলি করা হয়েছে। তবে কত রাউন্ড তা এখনো বলা যাচ্ছে না। একইভাবে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক গুলি করেছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বান্দরবানের থানচি থানা সংলগ্ন এলাকায় আক্রমণ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তারা থানার দিকে মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। বর্তমানে গোলাগুলি থামলেও এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
থানচির ১ নম্বর রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মার্মা বলেন, ‘গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে বসেছিলাম।’