আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি ওষুধ মজুত করে বিক্রি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে রাজধানীর কাকরাইলে লাজ ফার্মাকে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৩ জুলাই) এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় অননুমোদিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ৭৬ ধরনের ওষুধ জব্দ করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাকরাইলে লাজ ফার্মায় অভিযান চালান। রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত চলা অভিযানে র্যাব-৩ এর একটি দল ও ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অভিযান চলার সময় র্যাব দেখতে পান যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের আমদানি নিষিদ্ধ ইনজেকশন, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ফুড সাপ্লিমেন্টসহ প্রায় ৭৬ ধরনের বিভিন্ন রোগের ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও আর নবায়ন করা হয়নি।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু গণমাধ্যমকে বলেন, লাজ ফার্মা শুধু আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধই বিক্রি করত না। তারা কয়েকমাস আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধ ঘষামাজা করে মনমতো তারিখ বসিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন। ওষুধ আমদানির বৈধ কাগজপত্র কিংবা রাজস্ব পরিশোধ করার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
পলাশ কুমার বসু জানান, অভিযান চলার সময় এমন একজন ভুক্তভোগী সেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে লাজ ফার্মায় আসেন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাছে অভিযোগ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ঔষধ আইনের ১৯৪০ ধারায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক রতন সরকারসহ সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা ও আনাদায়ে তিন মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা জরিমানার টাকা দিয়ে ছাড়া পান। জব্দ করা ওষুধের দাম ৪০ লাখ টাকা। পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়