নাটোরের বড়াইগ্রামে করোনা নিয়ে সংকটের এই সময়ে চাকরি হারানোর পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জেনি বেবী কস্তা (৪০) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের ধারণা চাকরি হারানোর হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার বিকেলে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালী খ্রিস্টান পল্লিতে এ ঘটনা ঘটে। জেনি বেবী কস্তা (৪০) ওই গ্রামের মৃত আব্রাহাম কস্তার মেয়ে।
মৃত্যুর আগে জেনি তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, জন্মেছি আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে। মরবো এই সুন্দর পৃথিবীতেই। তবে মৃত্যু তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ো না। আমি তৈরি তুমি এসো, ভালবেসে গ্রহণ করো।”
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জেনি ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। করোনাভাইরাস মহামারীতে চাকরি চলে গেলে তিনি বাড়ি চলে আসেন।
তিনি জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। নিঃসন্তান এই নারী ও তার ছোটভাই বিলাশ কস্তার পরিবার একসঙ্গে থাকতেন। বিলাশ ঢাকায় একটি বাইং হাউজে চাকরি করেন। শুক্রবার বিলাশ কস্তার স্ত্রী বাচ্চাদের নিয়ে বাবার বাড়ি যায়। এসময় জেনি একাই বাড়িতে ছিলেন। বিকেলে কোন এক সময় তিনি নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়নায় ঝুলে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চাকরি হারানোর হতাশায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় রোববার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।