জালিস হোসেন তন্ময়, তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধিঃ-
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সেশনজট বর্তমানে চরম আকার ধারন করেছে৷এসব কলেজে যে সকল শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে নিজেদের দিন কাটাচ্ছেন৷উল্লেখ্য এসব কলেজে পড়ুয়ারত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার যথাযথ মান উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে এসব কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়৷শুরু থেকেই তারা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নধিপত্র জমা নিতে হিমশিম খায়৷তার ই পরিপ্রেক্ষিতে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নিয়মিত রুটিন মাফিক পরীক্ষা প্রায় নয় মাস পিছিয়ে যায়৷এসব সমস্যার কথা তুলে ধরে সেই সময়ে শিক্ষার্থী অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন৷অনেক শিক্ষার্থীরা আহতও হয়েছিলেন৷বহু আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যখন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সেশনজট অনেকাংশে কাটিয়ে উঠেছিল ঠিক তখনই ২০২০ সালের মার্চ মাসের দিকে করোনা ভাইরাস এসে সব থমকে দিল৷বর্তমানে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনার্স ২০১৪-১৫ সেশনের ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট এখনো অপেক্ষমান আছে,২০১৫-১৬ সেশনের আগষ্ট মাসে শেষ বর্ষের ইয়ার ফাইনাল এক্সাম এখন অনেকটা অনিশ্চিত৷২০১৬-১৭ সেশনের ৩য় বর্ষের ইয়ার ফাইনাল এক্সাম জুলাই মাসে হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে গেছে৷এদিকে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত তাদের ক্লাসগুলোও করতে পারছেন না৷ফলে তারা তাদের লেখাপড়া বাসায় বসে যথাযথভাবে চালিয়েও যেতে পারছেন না৷এপিএস নিউজ২৪ কে সরকারী তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদ হোসেন জানান যে-“করোনাকালীন এসময়ে আমরা বর্তমানে খুব হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি,আমাদের অনার্স ৪ বছরের কোর্স হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে আমাদের প্রায় ৫ বছর শেষ হতে চলল কিন্তু আমরা এখনো আমাদের অনার্স কোর্স শেষ করতে পারলাম না৷”এদিকে একই কলেজের ২০১৪-১৫ সেশনের গনিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী অহিদুল হক সৈকতের সাথে কথা বললে তিনিও তার অনার্স শেষ বর্ষের রেজাল্ট এখনো না পাওয়ার চাপা ক্ষোভের কথা এপিএস নিউজ২৪ এর কাছে তুলে ধরেছেন৷অন্যান্য সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরও একই অভিযোগের কথা শোনা গেছে৷ এমতাবস্থায় তাদের সকলের প্রাণের দাবি সাত কলেজের সাথে সম্পর্কিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দৈন্যদশা থেকে বেরিয়ে আসতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন৷