নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সামাজিক দূরত্ব মেইনটেইন করতে গিয়ে বাসায় যেতে না পারায় বিদ্যুতের কিছু ভুল বিল এসেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী মাসের বিল মনিটরিং করে গড় বিল করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (০৫ জুলাই) ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ড. সুলতান আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির চেয়ারম্যান ছাড়াও ভুতুড়ে বিলের কারণ অনুসন্ধান, সমাধান ও জড়িতদের শনাক্তকরণের জন্য গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা কনফারেন্সে অংশ নেন।বিদ্যুৎ সচিব জানান, ভুতুড়ে বিলের কারণে আমরা সমালোচিত হয়েছি। আমরা গ্রাহকদের নিশ্চিত করতে চাই; কোনোভাবেই তাদের থেকে ব্যবহৃত বিলের অতিরিক্ত বিল নেয়া হবে না। জুন মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করে বিল ঠিক করা হবে।গ্রাহকদের সেবার জন্য কোম্পানি গঠন করা হয়েছে, ব্যবসার জন্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবশ্যই এ ধরনের বিলের কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগের বাইরেও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো অন্য বিল পরীক্ষা করে সেগুলোর মধ্যেও অনেক ভুল পেয়েছেন। এসব ভুলের সঙ্গে জড়িত ৪টি কোম্পানির ২৯০ জন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু মিটার রিডার ও সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওইসব কোম্পানিগুলোর আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন শান্তি না পান সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা হবে।
বিদ্যুৎ সচিব আরো বলেন, শুধু আবাসিকের জন্য বিলম্ব ফি ছাড়া বিল দেয়ার সময় বাড়ানোর চিন্তা চলছে। তবে শিল্প বাণিজ্যের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।কনফারেন্সে জানানো হয়, কোম্পানিগুলো মিটার রিডার নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। অপরাধ চিহ্নিত হলে নিয়মানুযায়ী তাদের কারো তালিকাভুক্ত করা কিংবা চুক্তি বাতিলের মত ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রশ্নের উত্তরে ডিপিডিসি’র এমডি বিকাশ দেওয়ান জানান, মিটার রিডাররা ফিজিক্যালি রিডিং দেখার পর তা কম্পিউটারাইজড করা হয়। কিন্তু গড় বিল করায় তা ম্যানুয়ালি করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। তবে এসব ঠিক করা হচ্ছে।
এর আগে, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ভুতুড়ে বিল সমন্বয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত টাস্কফোর্স এ সুপারিশ করে।গত ২৫ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করে। সাতদিনের মধ্যে ভুতুড়ে বিলের সমাধান না করতে পারলে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি দেয়ার কথা বলে টাস্কফোর্স।