বিচারিক কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিস্টেম চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারাগারের অভ্যন্তরে ভার্চুয়াল সিস্টেম স্থাপন করে মামলা-মোকাদ্দমা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাতে চালানো যায় সে ব্যবস্থার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আজ রবিবার (২১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, জামালপুরের কারাগারে ভার্চুয়াল কোর্ট করতে হবে যাতে মামলা মোকাদ্দমা ডিজিটালই সম্ভব। শুধু জামালপুরই নয় অন্যান্য জেলা কারাগারে সার্বিকভাবে ভার্চুয়াল সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। অনেক সময় (আসামিকে) তাকে নেয়ার দারকার নেই। ওখানে বসেই বিচার হয়ে যায় ভার্চুয়ালি। কিছু কিছু কয়েদি আছে নিরাপত্তাজনিত কারণে কোর্টে না নেয়াই সেইফ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কারাগারে যেন ফ্যান ও টিভি দেখার ব্যবস্থা থাকে। আর কারাগারে যারা পণ্য তৈরি করে তারা যেন সে পণ্য বিক্রির ৫০ শতাংশ লাভ পায়। বাড়িতে যাওয়ার সময় সেটা নিয়ে যেতে পারে। সকল জেলেই এটা করতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার শুধু জামালপুর নয়, অন্যান্য জেলকেও সংস্কার করতে হবে। মিনিমাম চমৎকার আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যাতে যারা জেলের বাসিন্দা তারা যেন মোটামুটি মানসম্পন্নভাবে থাকতে পারে।
এর আগে একনেক সভায় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে ‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপির জন্য বরাদ্দ ৬৪৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ও প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সাংসদসহ দেশে এবং প্রবাসে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি এবং এর কবল থেকে সকলের মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।