দরিদ্রদের নগদ অর্থসহায়তার তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে নতুন করে ১১ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার এই বরখাস্তের পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং পৃথক ইউপির ১০ সদস্য।
এ নিয়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বিভিন্ন অভিযোগে ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
বুধবার বরখাস্ত করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এবং জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্রদের দেওয়া নগদ অর্থসহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে বাকি যাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কুমারগাতা ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলাম, একই জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বম্বু ইউপির ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পারভীন আক্তার এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউপির ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোসা. মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবাল।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধিদের কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জন্য ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।