আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। রোববার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মায়ের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বনানীতে মোহাম্মদ নাসিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পরে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। গত ৫ জুন ভোররাতে ব্রেন স্ট্রোক হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর থেকেই গভীর অচেতন অবস্থায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ভেন্টিলেশন মেশিনের সাহায্যে তিনি কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতাকে।
মোহাম্মদ নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
এপিএস/১৪জুন/পিটিআই