নিজস্ব প্রতিবেদক, এপিএস নিউজ
কোভিড-১৯ তথা কারোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ঘরবন্দি থেকে এক মাসের সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ এলেও আসেনি উৎসব। কেননা কুলাকুলি, করমর্দন ও সামাজিক যোগাযোগ এক অন্যের বাড়িতে যাতায়াত নিষেধ করা হয়েছে।
অতি সংক্রামক ব্যাধি কোভিড-১৯ এর আতংক-ভীতির মধ্যেই আজ সারা দেশে উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মোবারক।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ-মিলনের আবহ ছাড়িয়ে যায় অন্য ধর্মাবলম্বীদের মনেও। তবে এবার সেই আনন্দ চাপা পড়েছে মহামারী করোনা সংক্রমণের আশংকা আর অনিশ্চয়তায়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি এই অঞ্চলের বহু দেশে আজ উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ও ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশ।
তবে এবারের ঈদ উদযাপনে এসেছে আকাশ-পাতাল ফারাক। সংক্রামক ব্যাধির কারণে অনেকটাই ভিন্নভাবে উদযাপন করা হচ্ছে এই ঈদ। মানতে হচ্ছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যেতে হচ্ছে ঈদের জামাতে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য বিরত থাকতে হচ্ছে কোলাকুলি ও মুসাহাফার মতো আবেগ ঘনিষ্ঠ সমাদর থেকেও।
ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই হাজারো বাড়িমুখো মানুষের যে ভিড় ট্রেন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে দেখা যেত এবার তা অতটা ছিল না। করোনার কারণে লকডাউন বা ছুটি থাকায় সাধারণ মানুষের বড় অংশ বাড়িও যেতে পারেননি।
তবে করোনার বড় প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। প্রতিবার ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের যে বাণিজ্য হতো এবার বিপণিবিতানে বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে।
ঈদ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মহামান্য রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রবিবার সন্ধ্যায় ঈদ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঘরে থেকে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান।
এদিকে করোনার কারণে জাতীয় ঈদগাহসহ উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে মুসল্লিরা ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় নিয়ে কাছের মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করছেন।
(এপিএস/২৫মে/পিটিআইএ)