রোজার আগেই নাগালের বাইরে বেগুন, ক্রেতাদের ক্ষোভ
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আর একদিন পরেই শুরু হবে রমজান মাস। কিন্তু রমজান আসার আগেই ইফতার সামগ্রীর অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
রোববার (১০ মার্চ) মোহাম্মদপুর স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি।
এছাড়া কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আলু কেজি ৩০ টাকা ও হালিপ্রতি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় যা গত সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল।
রমজানের আগে বেগুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বাজার করতে আসা আবদুর রশীদ বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো হয়, আর আমাদের দেশে যেন তার উল্টোটা। কিছুদিন আগে যে বেগুন কিনলাম ৬০ টাকায়, সেটা আজ ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
আরেক ক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন, রোজা এলে বেগুনের চাহিদা বাড়ে, আর সেটারই ফায়দা নেয় ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করার কেউ নেই।
ফেরদৌস মাহমুদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, প্রতি মাসেই তো কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু রমজানে কি সেসবের দাম একটু কম রাখা যায় না? ব্যবসায়ীরা তো সারা মাসই ব্যবসা করছেন।
রমজানে মানুষকে জিম্মি করলে কেউ রেহাই পাবে না
রোজা সামনে রেখে বাড়ছে মাছ-মাংস ও সবজির দাম
আসছে রোজা, ঊর্ধ্বমুখী বাজার
অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন পাইকারি বাজারকে। তারা বলছেন, আড়তে যেখান থেকে পাইকারি বিক্রি হয় সেখানেই সবকিছু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর আমাদের তাদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে খুচরাপর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা তো লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারব না।
ব্যবসায়ী মুসলেম উদ্দীন বলেন, পাইকারিতে হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে, এখানে আমরা কি করব। যে দামে কিনতে হয়, সামান্য লাভ রেখেই তারপর বিক্রি করতে হয়।
আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোবারক বলেন, আমরা যেখান থেকে পণ্য কিনে আনি, সেখানকার দাম অনুযায়ী খুচরায় বিক্রি করে থাকি। ফলে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ালে আমাদেরও বেশি দামেই রেট দিতে হয়। রোজা আসলে বিভিন্ন আইটেমের দাম বেড়ে যায়, কিন্তু এখানে আমাদের কিছু করার নেই।