এজি লাভলু: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা পাঠানটারী গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেনের (৪৬) চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে রাস্তায় নেমেছে ওই গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বনিতা। আলমগীর হোসেন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভ্যান চালিয়ে কোনভাবে সংসার চালিয়ে আসছে। ঘরে তার ছোট ছোট দুটি ছেলে মেয়ে। ৫ শতাংশ জমির উপর ছোট্ট একটি কুঠিরে অভাব থাকলেও ভালই দিন যাচ্ছিল তার। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থাকলেও সংসার চালানোর তাগিদে প্রতিনিয়ত ভ্যান চালাতো আলমগীর হোসেন। হঠাৎ করে মাসখানেক আগে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে আলমগীর হোসেন। এলাকাবাসী আলমগীরের চিকিৎসা করার জন্য রংপুরে নিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আলমগীরের লিভার সিরোসিস রোগ ধরা পড়ে। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ নওশাদ আলী চিকিৎসা পত্র প্রদান করেন। পরে আলমগীর হোসেনকে এলাকাবাসী বাড়িতে নিয়ে আসলে অর্থের অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করতে না পারায় এলাকাবাসী রাস্তায় তার চিকিৎসার খরচ জোগাতে রাস্তায় কালেকশন শুরু করেন।
এ সময় এলাকাবাসী ইউনুছ আলী, বদিয়ার ও রুবেল জানান, আলমগীর হোসেন একজন নিরীহ মানুষ এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা তার পক্ষে করা সম্ভব না হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য আমরা এলাকাবাসী রাস্তায় কালেকশন করছি। সেইসঙ্গে এলাকার দানশীল ব্যক্তি ও সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি।
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী আনজু জানান, আমার স্বামী একজন ভ্যানচালক, ভ্যান চালিয়ে যা ইনকাম করত তা দিয়ে কোনভাবেই আমরা সংসার চালাতাম। এখন যে অসুখ হয়েছে তার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য আমাদের নাই। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার দুটি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য যদি একটু সহযোগিতা করে তাহলে আমার স্বামী হয়তো সুস্থ হতো।
ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন জানান, আমি সামান্য একজন ভ্যানচালক, আমি চিকিৎসার জন্য এত টাকা কোথায় পাবো । কোন সহৃদয় ব্যক্তি অথবা সরকারের পক্ষ থেকে যদি আমাকে একটু সাহায্য করত তাহলে হয়তো এ কঠিন রোগ থেকে আমি বেঁচে যেতাম। এ সময় তিনি তার পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার ০১৭৪০৩৪৯৪৯৩ দিয়ে সহৃদয় ও দানশীল ব্যক্তির কাছে সাহায্যের আবেদন জানান।