(তালহা জাহিদ) বিশেষ প্রতিবেদনঃ- ব্রেকআপ! এটি কোনো সহজ বিষয় নয়, বরং পুরো ঘটনাটিই কষ্টদায়ক। কিন্তু আপনার ব্রেকআপ হয়েছে এর মানে এই নয় যে আপনার জীবনের সব ভালো অধ্যায় এখানেই শেষ। হয়তো একা একা এমনটাই ভাবছেন আপনি কিংবা তার কথা গুলো বার বার বলছেন, এটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। এই সময়টাতে নিজেকে কিছু কিছু বিষয়ে সংযত রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই ব্রেকআপের পর কিছু ছোট বিষয় এড়িয়ে চলুন, যা আপনার কষ্টের মুহূর্তকে ভুলে থাকতে সাহায্য করবে।
সব সময় মনে রাখবেন, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো কাছের মানুষ ছাড়া অন্য কারো কাছে বলার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ সবাই আপনার মনের কষ্ট অনুভব করবে না। বরং এটা নিয়ে অন্যেরা আড়ালে বিভিন্ন ধরনের কথাও ছড়াতে পারে। তাই যারা আপনার কষ্ট বুঝবে এবং আপনাকে সঠিক উপদেশ দিতে পারবে তাদের কাছেই বিষয়টি বলতে পারেন।
ব্রেকআপ হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেছে। অথচ আজ খুব মনে পড়ছে তার কথা। এমনটা হতেই পারে। তার মানে এই নয় যে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করতে হবে অথবা এসএমএসই করে বসলেন। এতে সে এমন কিছু আবেগময় আচারন করতে পারে। এমনকি আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণও করতে পারে। যা নতুন করে আপনার মধ্যে কষ্ট অথবা রাগ সৃষ্টি করবে। তাই এ ধরনের আচরণ না করাই ভালো।
যে জিনিসগুলো আপনাদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয় সেগুলো নিজের কাছে না রাখাই ভালো। পুরোনো ছবি অথবা এসএমএস ডিলিট করে ফেলুন আজই। এগুলো নিজের কাছে রেখে অযথা কষ্ট পাওয়ার কোনো মানে নেই। পেছনের স্মৃতি ভুলে নতুন করে জীবন সাজানোর চেষ্টা করুন।
আমরা কখনই চাই না আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাক। তবুও মাঝে মাঝে সময়ের মুখোমুখি হতে হয়। প্রেমের সম্পর্ক ভাঙলে যেমন শূন্যতা তৈরি হয়, তেমনি কষ্টকর হয়ে পড়ে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসাটাও যেহেতু আমাদের এটা কাম্য নয়। সম্পর্ক ভাঙার সময় এমন কিছু জিনিষ সামনে চলে আসে যেমন আগের দেওয়া কোন কথা বা একসাথে কাটানো মুহূর্ত গুলোর জন্যই কিন্তু পরিস্থিতি আরও বিষিয়ে তোলে ।
যেগুলো করা উচিত……
১। নিজেকে অনেক বেশি সময় দেওয়া । নতুন করে নিজেকে চেনা। নিজের বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটান। আর এটা মনে রাখুন অনেক ভাল সময় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
২।সম্পর্ক ভাঙার অনেক কারণ থাকতে পারে। কখনই নিজেকে অসহায় বা ভিক্টিম মনে করবেন না। এতে নিজের প্রতি হারিয়ে ফেলবেন ভরসা ও শ্রদ্ধাবোধ। সব সময় এটা ভাববেন ওপাশের মানুষটি আপনার যোগ্য ছিল না।
৩।কখনই নিজের সাথে নিজেই ওপাশের মানুষটিকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন না যতটা সম্ভব তাকে তিরস্কার করবেন।মনে রাখবেন সম্মান দিয়ে কথা বললে আপনার তার প্রতি মায়া জন্মাতে পারে। তবে অন্যদের সামনে তাকে নিয়ে কথা না বলাই উত্তম।
৪।আপনি নিজে কি করতে পারেন ? নিজের ভিতরে কি সৃজনশীলতা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করুন। মনযোগী হন , নিজের সৃজনশীলতাকে শ্রদ্ধা করুন এবং সময় দিন সৃজনশীলতাকে। দেখবেন কালকের সকালের সূর্যটা আপনার, এবং আপনার সাফল্য আপনার হাতে।
৫।গান শুনতে পছন্দ করলে অবশ্যই শুনবেন। তবে গান শুনবেন হাসার জন্য। লেরিক বুজে কষ্ট পাওয়ার জন্য নয়, যতটা সম্ভব দুঃখের গান এড়িয়ে যেতে।
৬।দ্রুত গতিতে চলার চেষ্টা করবেন। ভাল্লাগেনা, হেন্তেন.. এসব থেকে দূরে থাকুন।নিজেকে সবসময়ই অনেক ব্যস্ত মনে করুন। যতটা পারবেন বাস্তবতা নিয়ে ভাববেন।
বর্তনান পেক্ষাপটে মোট অপমৃত্যুর সিংহভাগ প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আত্মহত্যার মত ভূলপদক্ষেপ। তাই সবসময় একটি ব্যাপার মাথায় রাখবেন, ভূল সিদ্ধান্তে ক্ষতি আপনার ও আপনার পরিবারের হবে। যে চলে গেছে তার কিছুই হবে না। তাই ডিপ্রেশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। একদিন সুখ পাখি অবশ্যই আপনাকে ধরা দিবে।