করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের ছুটি শেষে ফের কঠোর লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে শুক্রবার ভোর থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার, ড্রাইভার, স্টাফ, যাত্রীসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে।
গত ১৭ জুলাই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, ঈদের পর ১৪ দিন যে লকডাউন আসছে তা কঠোর থেকে কঠোরতম হবে।