পশ্চিম জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ৮০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। এছাড়া নিখোঁজ আছেন আরও এক হাজার ৩০০ মানুষ। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে শুরু হওয়া এই বন্যায় জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাইনলান্ড-পালাটিনেট প্রদেশে ৬টি ভবন ধসে পড়েছে এবং নিখোঁজ আছেন অনেকে। জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বন্যা থেকে বাচতে অনেক মানুষ অবস্থান নিয়েছে বাড়ির ছাদে। তবে সেখানে মোট কতজন অবস্থান করছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। অনেক এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো অব্যাহত আছে। শেষ হলে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
এদিকে বন্যার কারণে দেশটির রাইন নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে স্থানীয় রেল, সড়ক ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে উদ্ধারকারী বাহিনী। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে প্রদেশের ভুলকানাইফেল জেলায়।
এই ঘটনায় জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এমন বিপর্যয়ে আমি হতবাক। বন্যায় অনেক মানুষ বিপাকে পড়েছেন। নিহত ও নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
জার্মানির পাশাপাশি ইউরোপের বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও আবহাওয়ার একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দুই দেশেও ভারী বর্ষণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। বেলজিয়ামে প্রায় ১ হাজার বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জার্মানিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে ১৯৬২ সালে। সেবার উত্তর সাগরের এক বন্যার কারণে ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।