কোরবানির সময় চামড়া বিদেশে রপ্তানির অনুমতি দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, চামরা রপ্তানির অনুমতি না দিলে এবারও কোরবানির সময় মুনাফাখোর চক্র সিন্ডিকেট তৈরি করবে। তাই এখনই সরকারের উচেত কোরবানির চামড়া সিন্ডিকেট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা। যাতে করে গত দুই-তিন বছরের মতো পশুর চামড়ার সঠিক দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা গরিবের হক। অথচ কয়েক বছর ধরে এ দেশে কোরবানির সময় পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না হওয়ায় গরিব-দুঃখী, অসহায় ও দুস্থরা তাদের প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা দুঃখজনক।
নেতৃদ্বয় বলেন, অসাধু ও ‘শক্তিশালী’ সিন্ডিকেটের বেড়াজালে দেশে কয়েক বছর ধরে ঈদের আগেই কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে আসছে। গত দুই বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ফেলে দেয়, যার অধিকাংশই মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়।
তারা আরো বলেন, চামড়ার বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে চামড়া বাজারের নেপথ্যে থাকা ‘সিন্ডিকেট’র সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়ে দ্রæত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এদের খুঁজে বের করতে প্রয়োজন শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা। যাতে করে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা প্রতিবছরের মত একে অপরকে দোষারোপ করে পার পেয়ে যেতে না পারে।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার প্রভাবে স্বাভাবিকভাবেই দেশের গরিব, দুঃখী মানুষের অবস্থা আগের চাইতেও খারাপ। এর মধ্যে তারা যদি কোরবানির চামড়া বিক্রির টাকা হক হিসেবে একটু বেশি পরিমাণে পান, তাহলে তাদের জন্য সুবিধা হয়। কিন্তু চামড়ার মূল্য গত বছরের মতো হলে ওইসব গরিব-দুঃখীর কষ্ট লাঘব হবে না। সার্বিক দিক বিচেনায় দেশের চামড়া বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সঠিক বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবি।