দেশের আকাশে চাঁদ উঠায় আগামী ২১ জুলাই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে কঠোর বিধিনিষেধ আবারও বাড়ানো হবে কিনা বিষয়টি সামনে এসেছে। সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এ বিষয়ে আজ সোমবার (১২ জুলাই) করোনা সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
রবিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই শেষ হলে এরপর কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনার যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংক্রমণ এবার এমনভাবে ছড়িয়েছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক। ১৪ জুলাইয়ের পরের সময়ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এ সংক্রমণ কমাতে চাই, তাহলে এ প্রক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট আছে, এ দুটিকে কীভাবে করলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পশু কেনার জন্য ডিজিটাল হাটের পাশাপাশি সারাদেশে খোলা মাঠে পশুর হাট বসানো হবে। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটের তিনটি পথ থাকবে। একটি পথ পশু প্রবেশের জন্য, একটি পথ দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপর একটি পথ থাকবে ক্রেতাদের বের হওয়ার জন্য। সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ হাটে প্রবেশ করতে হবে। তবে হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।’
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও বেড়ে গেলে আরেক সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ানো হয়।