দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। সরকার এবং প্রশাসন লকডাউন নিশ্চিত করতে রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
এই বারের লকডাউনে জেল জরিমানা করতে দেখা গেছে কয়েক হাজার মানুষ কে। তবুও যেন থামছে না চোর পুলিশ খেলা। নগরীর প্রধান সড়ক গুলোতে তেমন জনসমাগম দেখা না গেলেও বিভিন্ন অলিগলিতে দিনে কিংবা রাতে জনসমাগম চোখে পড়ার মতো। এদের অনেকেই ঘুরছিলেন কোন প্রকার প্রয়োজন ছাড়া। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধিকে তারা যেন বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন
করছেন।
চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় বাদে অন্যরা কি কারনে বের হয়েছেন জানতে চাইলে কেউ কেউ বলেন শুধুমাত্র চা-সিগারেটে, পান খেতে, আড্ডা দিতে আর লকডাউন কেমন যাচ্ছে তা দেখতেই নাকি তারা বাইরে।
খেটে-খাওয়া মানুষের কথা বাদ দিলে বিনা প্রয়োজনে বাইরে থাকা বেশিরভাগ মানুষ শিক্ষিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নন? নাকি এত লকডাউন কিংবা করা করির পরেও জনগনের মনে সঠিক যে সচেতনতা তৈরি সেটা সম্ভব হয়নি। তবে অনুমান করা যায় জনগন এখনও সচেতন না হলে সামনে হয়ত আরও বেশি খারাপ পরিস্থিতির শিকার হতে হবে দেশেকে।