ঢাকা: “বাংলাদেশ” এমন একটি শব্দ যার সাথে মিশে আছে লাল রক্ত এবং সবুজের সমাহার। ১৯৭১ সালে গঠিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে সুপরিচিত। অর্ধলক্ষাধিক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তখন থেকেই কাজ করছে শিশুশ্রম বন্ধ রাখার জন্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অব্দি শিশুশ্রম বন্ধের কার্যক্রম চলমান। আজ ২০২১, আমরা ২০১৯ এ ফিরে গেলেই দেখতে পাই শিশুশ্রম নিধনের যে কার্যক্রম বাংলাদেশ সরকার করে আসছে তা প্রায় সর্বনিম্ন চলে এসেছে, কিন্তু করোনা মহামারী বাংলাদেশে আগমনের সাথে সাথেই লক্ষাধিক শিশু আবার এই নিযুক্ত হয়েছে।
বর্তমানে প্রতিটি পরিবারে রয়েছে অভাব-অনটন, দারিদ্রতা কাঁধে তুলে নিয়েছে লক্ষাধিক পরিবার,আর এই দারিদ্রতার হার থেকে পরিবারকে মুক্তি দিতে ১২ বছরের শিশুটি হাতে তুলে দিচ্ছে কঠিন থেকে কঠিনতম কাজ!
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুশ্রম-নিরসনে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট আটটি সেক্টরকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮ ধরনের কাজ চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা হালনাগাদ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদযাপন, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানায়, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশু শ্রমের অবসান’। প্রতিবারের মতো বাংলাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি এবারও পালন করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম নিরসন বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। আইএলও ১৯৯২ সালে প্রথম শিশু শ্রমের জন্য প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী ২০০২ সালের ১২ জুন থেকে আইএলও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর ‘শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে।
আহম্মেদ কাওসার ইবু