দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যা শেষ হবে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে তারপর কী হবে? এ বিধিনিষেধ আরো বাড়বে নাকি তা স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, বিধিনিষেধ আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কিন্তু কারিগরি পরামর্শক কমিটি বিধিনিষেধ বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সুপারিশ না করায় সরকারের পক্ষ থেকেও বিধিনিষেধ বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরই গুরুত্ব দেবে সরকার।
গত ১৬ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে বলেছিলেন, ‘সরকার পরামর্শ দিয়েছিল, এবারের ঈদে নিজ নিজ অবস্থান ছেড়ে যেন বাইরে না যাই। কিন্তু আমরা দেখেছি, বহু মানুষ এই পরামর্শ উপেক্ষা করে নানাভাবে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেখানে কিছু মর্মান্তিক দৃশ্যও দেখেছি। যারা বাড়িতে গেছেন, এখনো অফিস খোলেনি। স্কুল-কলেজে দেরি করে ফিরলেও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তারা অন্তত সাত থেকে ১৪ দিন দেরি করে ফিরে আসবেন।’
মুখপাত্রের মতে, ‘যাদের ইতোমধ্যে উপসর্গ দেখা গেছে, তারা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেবেন। ফিরে আসার সময় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের কাউকে কাউকে আমরা দেখেছি আইন অমান্য করে পালিয়ে যেতে। তারা এই কাজটি যেন না করেন। অন্যের জীবনকে যেন ঝুঁকির মুখে না ফেলেন। জেনে-শুনে আমরা যেন নিজ দেশের ক্ষতির কারণ না হই।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।