বাংলাদেশেই উৎপাদন হবে করোনা ভাইরাসের চীনের টিকা। দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টাকে চীনের সিনোফার্মের টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। জানা গেছে, চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ মাসেই তারা (ইনসেপ্টা) কাজ শুরু করবে। তিন চারটি কোম্পানি আবেদন করেছিল। তাদের মধ্য থেকে ইনসেপ্টাকে টিকা উৎপাদনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটি-ক্যালসের এমডি আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী জানান, চীনের টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আমরা অনুমতি পেয়েছি। শিগিগরই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই উৎপাদনে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, টিকা উৎপাদনে তারা প্রস্তুত। ২০১১ সাল থেকেই টিকা তৈরি করে আসছে ইনসেপ্টা। করোনার টিকা উত্পাদনেও যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, চীনের টিকা দেশে উৎপাদিত হলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে। টিকা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কেটে যাবে।
এর আগে গত ১২ মে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেয় চীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঐ টিকা হস্তান্তর করেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ৫ লাখের মধ্যে ৩০ হাজার টিকা দেশে অবস্থানরত চীনের নাগরিকরা পাবেন। তাদের টিকা দেওয়া হবে আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাকি ৪ লাখ ৭০ হাজার টিকা দেশের নাগরিকদের দেওয়া হবে। এর আগে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে চীন থেকে এই টিকা আনা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার তৈরি স্পুিনক-ভি ও ২৯ এপ্রিল চীনের সিনোফার্মের টিকাকে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই দুটি দেশ থেকে টিকা কেনার পাশাপাশি সরকার তাদের টিকা দেশে উৎপাদনের প্রযুক্তি নিতে চায়