এক এগারোর সময় বিশেষ সাবজেলে, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজার পর কারাগারে ঈদ কেটেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার৷ পরে কারা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঈদ কেটেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলের কেবিনে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় এবার বিএনপি প্রধানের ঈদুল ফিতর কাটবে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরার এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
গত ১১ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর শুরুতে গুলশানে বাসভবন ফিরোজাতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি নেত্রী। পরে ২৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় খালেদা জিয়াকে।
৩ মে খালেদা জিয়ার অবস্থা অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে খালেদার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও এখনো সিসিইউতে আছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। আগের থেকে অনেকটা ভালো। তবে পোস্ট কোভিড সময়টা তো আনপ্রেডিক্টেবল। তাই আরও কিছুদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে। এবারের ঈদ তিনি হাসপাতালেই কাটাবেন। সবাই ওনার জন্য দোয়া করবেন।
বেগম জিয়ার এখনো অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া এখনো সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ইমপ্রুভ হচ্ছে। অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে না। ম্যাডামের শারীরিক যে সমস্যাগুলো আছে ডাক্তাররা খুব নিবিড়ভাবে তার পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে পোস্ট কোভিড রোগীর শারীরিক অবস্থা যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন।
পরে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে আসেন শামীম ইস্কান্দার। চিঠিটি পর্যালোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোনো বিধি নেই।