মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য। হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন দিবসের ন্যায় ২৩ নভেম্বর দিনটি ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছে বন্ধু সমাজ। তাদেরকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীবের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, ভাষা সৈনিক মঞ্জুরুল হক সিকদার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মুইনুজ্জামান লিটু, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সংগঠনের বন্ধু কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, মানবাধিকার সংগঠক এইচ এম মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।
দেশবাসীকে ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালন করার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মানুষজাতির পক্ষে একযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালনের জন্য ইতোমধ্যে ঘোষনা দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেয়ার প্রত্যাশাও জ্ঞাপন করছি।
এসময় তিনি বাংলাদেশকে সম্প্রীতি এবং বন্ধুত্বের দেশ গড়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান আগামী ২৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষনা দেন সংগঠনের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব। পাশাপাশি ওই অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্করনের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
আলোচনা শেষে ইফতারের আগ মুহুর্তে দেশবাসীসহ পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণে চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে মুক্তির লক্ষ্যে মহান আল্লাহর সু-দৃষ্টি প্রাপ্তিতে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।