আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে করোনা পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্তরা। যেমন কমেছে আয় রোজগার। তেমনি বেড়েছে ঋণের বোঝা। অনেকে হারিয়েছেন চাকুরি ও কাজ কর্ম। ২০২০ সালের করোনার প্রথম ধাক্কায় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মানুষ। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মধ্যবিত্তরা। ২০২১ সালে আবারও দ্বিতীয় ধাপে করোনা মহামারি মধ্যবিত্তরা অর্থনৈতিক সংকটে হুমকির মুখে পড়ে জীবন-জীবিকা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন।
এ সংকটময় মুহুর্তে দেশ জুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পরিবার পরিজনের দৈনন্দিন চাহিদা পুরণ করতে পারছেন না সিলেটের মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ। সিলেট জুড়ে নিত্যপণ্যের দাম এতো চওড়া যাহা সিলেটের মানুষের দিশেহারা করে তুলেছে। লকডাউনের পর থেকে চাল, তেল, চিনি পিয়াজসহ অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়া।
যার ফলে বাধ্য হয়ে কম মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে টিসিবি’র ট্রাকে ভিড় করতে দেখা যায় নানা শ্রেণির পেশার মানুষ। কিন্তু বাজারে অস্থিরতার কারণে অনেক চাকুরিজীবি, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ দিন ব্যাপী টিসিবির লাইনে দাড়িয়ে প্রচন্ড গরমের মাঝে নিত্যপণ্য দ্রব্য ক্রয় করতে দেখা যায়।
সরজমিন ঘুরে দেখা, সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ক্বীন ব্রিজ, তালতলা পয়েন্টে, আম্বারখানা পয়েন্ট, শিবগঞ্জ, টিলাগড় পয়েন্টে, দক্ষিণ সুরমা কদমতলী পয়েন্টে, কুশিঘাট এলাকায় দীর্ঘ লাইনের দাড়িয়ে আছেন লোকজন এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।
কুশিঘাট এলাকার একজন ক্রেতা জানান, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল,১০০ টাকা দরের ৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে ৫ কেজি পিয়াজ কিনতে পারছেন। এছাড়া রমজানের ইফতারের জন্য ২ কেজি ছোলা ৫৫ টাকা দরে ১ কেজি খেজুর ৮০ টাকা মুল্যে ক্রয় করতে পারছেন।
অনেকে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের দেওয়ালে পিঠ লেগে গেছে। বাধ্য হয়ে আমারা এই প্রচন্ড গরম ও রোধে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভিড় উপপেক্ষা নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে।
ক্বিন ব্রিজ এলাকায় টিসিবি’র পণ্য বিক্রেতা ট্রাকসেল থেকে জানান, আগে শুধু গরীব মানুষ টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে আসতো। রিক্সাচালক, বস্তির লোকজন, দিনমজুর মানুষ এখন ওই লোকদের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত লোকজন আসেন। লকডাউন চলা অবস্থায় টিসিবির পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায় আগে টিসিবির পণ্য বরাদ্ধ ছিল চিনিতে ১০০ কেজি এখন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮০০ কেজি। তার প্রতি ট্রাকের জন্য বর্তমানে ৬০০ কেজি ডাল ও ৪০০ কেজি ছোলা বরাদ্দ থাকছে । তবে রমজানে চাহিদা বাড়তি থাকলে আরও টিসিবির বরাদ্দ বাড়ানো হবে জানান কর্তৃপক্ষ।